১২টি এক্সপ্রেসওয়ে: পাঁচ বছরের ইশতেহারে ১৮ বছরের অঙ্গীকার আ.লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪: ৪১
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ২২

২০৪১ সাল নাগাদ ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার ইশতেহারে জানিয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণায় যোগাযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকারনামায় এ কথা বলা হয়েছে। এবারের ইশতেহারের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। দলটির ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণা করছেন। 

ইশতেহারে বলা হয়েছে, ২০৪১ সাল নাগাদ ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। এক্সপ্রেসওয়েগুলো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-চট্টগ্রাম (এলিভেটেড), ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা আউটার রিং রোড, ঢাকা-বগুড়া, মিরসরাই-কক্সবাজার, ময়মনসিংহ-বগুড়া, গাবতলী-পাটুরিয়া-কাজীরহাট, ফেনী-বরিশাল, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-দাশুরিয়া। বর্তমানে দেশে একটি এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে (ঢাকা-ভাঙ্গা)। 

জাতীয় মহাসড়ক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়ককে চার লেন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমআরটি-১ (বিমানবন্দর-কমলাপুর ও নতুন বাজার-পূর্বাচল ডিপো), এমআরটি-২ (গাবতলী-কাঁচপুর সেতু), এমআরটি-৪ (কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ) ও এমআরটি-৫ (সাভার-ভাটারা) নির্মাণ ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং এক্সপ্রেস রেলওয়ে নির্মাণ সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য চিলাহাটি থেকে বর্তার পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। ছোট-বড় নদী খনন অব্যাহত থাকবে, নদীগুলোতে পরিচ্ছন্নতা এবং সারা বছর নাব্যতা নিশ্চিত করে সারা দেশে অতীতের নৌযোগাযোগ ব্যবস্থাগুলো আধুনিকায়ন করা হবে। এতে পরিবহন খরচ কমে আসবে। ঢাকার চারদিকের নদীগুলোর নাব্যতা নিশ্চিত করে চক্রাকারে নৌযোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এতে গণপরিবহনের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে। 

ইশতেহারে আরও বলা হয়েছে, আঞ্চলিক বাণিজ্য সহজ ও সম্প্রসারণের জন্য স্থলবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করার লক্ষ্যে মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গড়ে তোলা এবং নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে। রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল বিমানবন্দরকে আরও উন্নত করা হবে। 

বাগেরহাট খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ অগ্রাধিকারসহ বিবেচনা করা হবে। বাংলাদেশ বিমানে সর্বাধুনিক বিমান যুক্ত করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটিকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

সড়ক নিরাপদ করার জন্য একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত