মাছ বিক্রি ও পেনশন ভাতায় চলেন ইবরাহিম

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩: ৫৫
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ১৭

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তাঁর আয়ের উৎস মাছ বিক্রি এবং সরকারের কাছ থেকে পাওয়া পেনশন ও ভাতা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।  

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের হলফনামা থেকে জানা যায়, তিনি পৈতৃক জলাশয়ের মাছ বিক্রি থেকে বার্ষিক আয় করেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া পেনশন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বীর প্রতীক সম্মানী হিসেবে আয় করেন ৯ লাখ ২৬ হাজার ২১৩ টাকা।
কল্যাণ পার্টির প্রধান ইবরাহিম ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। সে সময় তিনি সম্মানী পেতেন ৬ লাখ ৮০ হাজার ৯৭৪ টাকা। তখন কৃষি খাত থেকে তাঁর আয় ছিল ১২ লাখ ৭ হাজার ৬৩২ টাকা।

গতবারের তুলনায় তাঁর বার্ষিক আয় কমেছে ৮ লাখ ২২ হাজার ২১৩ টাকা। আয় কমলেও সৈয়দ ইবরাহিম ও তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে, কমেছে স্থাবর সম্পত্তি। স্নাতকোত্তর পাস এই রাজনীতিবিদ বর্তমানে ব্যবসা, গবেষণা ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নগদ টাকা আছে ৬৫ লাখ ২৯৩। স্ত্রীর আছে ৮৩ হাজার টাকা। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ১ লাখ ২ হাজার ৬০৭ টাকা, স্ত্রীর নামে জমা আছে ১৫ লাখ ৫৮৭ টাকা।

একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের অকৃষি জমির পরিমাণ পরিবর্তিত হয়নি। তেমনি স্ত্রীরও পরিবর্তিত হয়নি। হলফনামা অনুযায়ী, ইবরাহিমের ৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ১০ লাখ ১১ হাজার টাকার অকৃষি জমি আছে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ৫৬ লাখ টাকা দামের দালান রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত