নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনতে পারছে না। অন্যদিকে সরকার আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে ডিসি-এসপি যাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাঁদের বিপুল পরিমাণ টাকা দিচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সোনালি দল আয়োজিত ‘কৃষি উপকরণ ও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি: সরকারের অব্যবস্থাপনা, কৃষক ও জনগণের’—শীর্ষক সেমিনারে ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ডিম কিনতে পারছে না, লাউ, শাক কিনতে পারছে না। কিন্তু ইলেকশনে গুন্ডা, ইউএনও, ডিসিদের জন্য ৬৫ কোটি টাকার গাড়ি দিচ্ছে। তাদের আলাদা করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ডিসি-এসপি যাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাঁদের কাছে টাকা পৌঁছে গেছে।’
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সব দেশেই খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে যা বেড়েছে তা অবিশ্বাস্য, নজিরবিহীন। এর মূল কারণ বর্তমান সরকার জবাবদিহিহীন সরকার। তাকে কোথাও কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। তারা তাদের ইচ্ছামতো যা খুশি তাই করছে।
সরকার গত ১৫ বছরে দেশটাকে লুটের রাজত্বে পরিণত করেছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘তাদের এই লুটের পরিণতি আজকে বাংলাদেশের মানুষকে ভোগ করতে হচ্ছে। যে ঋণ নিয়ে উন্নয়ন করেছে, সেগুলোও আমাদের ঘাড়েই এসে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আমার খাদ্য নিরাপত্তার অধিকার তো নিশ্চিত করতে হবে। সেই অধিকার তো গেছেই, আমাদের ভোটের অধিকারটাও কেড়ে নিয়েছে। বিচার পাওয়ার অধিকারও নেই। মগের মুল্লুক তৈরির যে প্রক্রিয়া, এ থেকে তারা সহজে বের হতে চায় না।’
আওয়ামী লীগ দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন নতুন সুর শুরু করেছে। তারা বলছে, বিএনপি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি সন্ত্রাসী দল হলে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের বাবা। আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুরো রাষ্ট্রকেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছেন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা খালি হাতে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি। আমাদের হাতে বন্দুক-পিস্তল নেই যে আপনাদের ভয় দেখাব, গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসব। নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করব, নির্যাতন করব—সেই পথ আমাদের নেই।’
সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার বলছে যদি পরিবেশ অনুকূল হয়, তার মানে পরিবেশ অনুকূল নয়। তাহলে আর দরকারটা কী? পদত্যাগ করো, আসো আমাদের সঙ্গে। শেষবারের মতো সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সরে যান। দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন।’
সেমিনারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, সরকার খাদ্যপণ্য আমদানির তথ্য গোপন করে। হলুদ-রসুন থেকে শুরু করে চাল—সবই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আমদানি খরচ বাড়তে বাড়তে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেলেও সরকারের কোনো হুঁশ নেই। উল্টো বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন বলে মিথ্যা প্রচার চালায়। মিথ্যা পরিসংখ্যান দেখিয়ে অপপ্রচার চালায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, কৃষিতে উৎপাদন-পরবর্তী দুটি গ্যাপ রয়েছে—মার্কেট চেইন আর সাপ্লাই চেইন। এ দুটি ঠিক না থাকলে উৎপাদন করলেও লাভ নেই। এই সরকারের প্রতিপালিত সিন্ডিকেট এ দুটোই দখল করে রেখেছে। এই সরকার নিজেই বলেছে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করলেও কার্যকর করতে পারছে না। কারণ সরকারের সুবিধাভোগী অলিগার্করা মন্ত্রীদের কথা পাত্তা দেয় না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনতে পারছে না। অন্যদিকে সরকার আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে ডিসি-এসপি যাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাঁদের বিপুল পরিমাণ টাকা দিচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সোনালি দল আয়োজিত ‘কৃষি উপকরণ ও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি: সরকারের অব্যবস্থাপনা, কৃষক ও জনগণের’—শীর্ষক সেমিনারে ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ডিম কিনতে পারছে না, লাউ, শাক কিনতে পারছে না। কিন্তু ইলেকশনে গুন্ডা, ইউএনও, ডিসিদের জন্য ৬৫ কোটি টাকার গাড়ি দিচ্ছে। তাদের আলাদা করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ডিসি-এসপি যাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাঁদের কাছে টাকা পৌঁছে গেছে।’
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সব দেশেই খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে যা বেড়েছে তা অবিশ্বাস্য, নজিরবিহীন। এর মূল কারণ বর্তমান সরকার জবাবদিহিহীন সরকার। তাকে কোথাও কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। তারা তাদের ইচ্ছামতো যা খুশি তাই করছে।
সরকার গত ১৫ বছরে দেশটাকে লুটের রাজত্বে পরিণত করেছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘তাদের এই লুটের পরিণতি আজকে বাংলাদেশের মানুষকে ভোগ করতে হচ্ছে। যে ঋণ নিয়ে উন্নয়ন করেছে, সেগুলোও আমাদের ঘাড়েই এসে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আমার খাদ্য নিরাপত্তার অধিকার তো নিশ্চিত করতে হবে। সেই অধিকার তো গেছেই, আমাদের ভোটের অধিকারটাও কেড়ে নিয়েছে। বিচার পাওয়ার অধিকারও নেই। মগের মুল্লুক তৈরির যে প্রক্রিয়া, এ থেকে তারা সহজে বের হতে চায় না।’
আওয়ামী লীগ দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন নতুন সুর শুরু করেছে। তারা বলছে, বিএনপি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি সন্ত্রাসী দল হলে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের বাবা। আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুরো রাষ্ট্রকেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছেন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা খালি হাতে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি। আমাদের হাতে বন্দুক-পিস্তল নেই যে আপনাদের ভয় দেখাব, গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসব। নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করব, নির্যাতন করব—সেই পথ আমাদের নেই।’
সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার বলছে যদি পরিবেশ অনুকূল হয়, তার মানে পরিবেশ অনুকূল নয়। তাহলে আর দরকারটা কী? পদত্যাগ করো, আসো আমাদের সঙ্গে। শেষবারের মতো সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সরে যান। দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন।’
সেমিনারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, সরকার খাদ্যপণ্য আমদানির তথ্য গোপন করে। হলুদ-রসুন থেকে শুরু করে চাল—সবই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আমদানি খরচ বাড়তে বাড়তে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেলেও সরকারের কোনো হুঁশ নেই। উল্টো বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন বলে মিথ্যা প্রচার চালায়। মিথ্যা পরিসংখ্যান দেখিয়ে অপপ্রচার চালায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, কৃষিতে উৎপাদন-পরবর্তী দুটি গ্যাপ রয়েছে—মার্কেট চেইন আর সাপ্লাই চেইন। এ দুটি ঠিক না থাকলে উৎপাদন করলেও লাভ নেই। এই সরকারের প্রতিপালিত সিন্ডিকেট এ দুটোই দখল করে রেখেছে। এই সরকার নিজেই বলেছে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করলেও কার্যকর করতে পারছে না। কারণ সরকারের সুবিধাভোগী অলিগার্করা মন্ত্রীদের কথা পাত্তা দেয় না।
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১০ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
১৬ ঘণ্টা আগে