ফরিদপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং কর্মসূচিতে যোগদানের লক্ষ্যে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে পাথরঘাটা যাওয়ার পথে সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল হক মনির গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আজ রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আবারও অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে সরকার দানবীয় রূপ ধারণ করেছে। 

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই বর্তমান বিনা ভোটের সরকার বিরোধী দল ও মতকে পরোয়া করছে না। মানুষের কল্যাণে কাজ না করে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা দেশকে দখলে নিতে চায় তারা। সারা দেশে গুম, খুন, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচিতে দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ও পুলিশ দিয়ে হামলা সংঘটনের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আবারও অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই উদ্দেশ্য পূরণে সরকার এখন আরও বেশি মাত্রায় দানবীয় রূপ ধারণ করেছে। 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করতে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হিংস্রতা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ফরিদপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে পাথরঘাটা যাওয়ার পথে সাবেক এমপি নুরুল হক মনির গাড়িবহরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা চালিয়ে নেতা–কর্মীদের আহত করাসহ প্রায় ২০০ মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নিরবচ্ছিন্নভাবে রাষ্ট্রক্ষমতার স্বাদ পেতে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্যই এখন বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে হামলা চালাচ্ছে সরকার। অবিলম্বে ফরিদপুরে শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ নেতা-কর্মীদের ওপর এবং নুরুল হক মনির গাড়িবহরে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানান তিনি। 

পৃথক এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আলহাজ্ব শাহজাদা মিয়া এবং জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেন, শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ নেতা-কর্মীদের গুরুতর আহত করার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী দল ও মত দমন করতে আরও ভয়ানক হিংস্র রূপ ধারণ করেছে। জনগণের ভোটে নয় বরং জোর করে আবারও ক্ষমতা দখল করতে চায় তারা। বিএনপির জনপ্রিয়তা এবং সভা-সমাবেশে বিপুল জনসমাগম দেখে আওয়ামী সরকার হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে বলেই তারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশকেও বরদাশত করছে না।