নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জরুরি সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের যে উপাদানগুলো আছে, এগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের যেসব সুপারিশ থাকে, সেগুলো নতুন সরকার এলে বিবেচনা করবে। তাই আমরা বলছি, যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারগুলো শেষ করে আপনি (অন্তর্বর্তী সরকার) অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উদ্যোগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তাহমিদ ও মাসুদ রানার পরিবারের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর মিরপুরে যান রিজভী। সান্ত্বনার পাশাপাশি দুটি পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তাও করেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বজনহারা পরিবারের কাছে নেতারা অঙ্গীকার করেন, যাঁরা গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ সব সময় মনে রাখবে বিএনপি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম একটা মাপকাঠি। এই নির্বাচন থেকে বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫-১৬ বছর যাবৎ বঞ্চিত ছিল। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি উপাদান। যদিও কোনো কিছু দিয়ে এটাকে মাপা যায় না। এটা একটা জাতির সাইকোলজিক্যাল বিষয় যে আমি বন্দী, কি বন্দী না। কারাগারের বাইরে থাকলেও যখন ফ্যাসিবাদ থাকে তখন নিজেকে বন্দী মনে হয়। সে জন্য এটা (গণতন্ত্র) গুনে গুনে ক্যালকুলেশন করে করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে পূর্ণাঙ্গ করার জন্য যে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন, আইনের শাসন এবং সংবাদপত্রের ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আমাদের দেখতে হবে। আর অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে কীভাবে তাদের কাজগুলো করছে, সেটা জনগণ দেখবে।’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার মাফিয়া সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয়। এ ছাড়া তাঁর আমলে করা বিভিন্ন চুক্তি কেন জনগণের সামনে উন্মোচন করা হচ্ছে না, সে প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে। ফলে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচনের বিকল্প নেই।’
শেখ হাসিনা মাফিয়া সিন্ডিকেটের প্রধান ছিলেন মন্তব্য রিজভী আরও বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী দস্যু দলের প্রধান ছিলেন। মাফিয়া সিন্ডিকেট যেভাবে কাজ করে, সেভাবেই শেখ হাসিনা কর্মকাণ্ড চালিয়েছিলেন। পুলিশ প্রশাসন, সিভিল প্রশাসনের প্রত্যেকটি জায়গায় তাঁর আশীর্বাদপুষ্টরা শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। এ জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম খানের গ্রামের বাড়িতে ৬তলা বিল্ডিং, এই দিয়েই প্রশাসন সাজানো হয়েছে। এখন এরাই বিভিন্ন লেভেলে আছে। যারা অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, তারা এখন শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘প্রতিদিন প্রশাসনের বিভিন্ন খবর আমরা পাচ্ছি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিপ্লবী সরকার দ্রুত গতিতে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে বিষাক্ত রক্ত বের করে দেয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা একটি বিপ্লবী সরকার বলি, তাহলে কি করে দুর্নীতিবাজ, লুণ্ঠনকারী, টাকা পাচারকারীরা কীভাবে এখানে অবস্থান করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল গোটা পৃথিবীর মধ্যে অতি ধনী লোক সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছিল এক নম্বরে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, মেগা প্রজেক্ট, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্নভাবে একের পর এক টাকা লুট করেছে, তারাই আজকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তাদের লোকজনই আজকে বিভিন্ন জায়গায় (সরকারের) অবস্থান করছে।’
এ সময় বিএনপি ও আমরা বিএনপি পরিবারের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জরুরি সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের যে উপাদানগুলো আছে, এগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের যেসব সুপারিশ থাকে, সেগুলো নতুন সরকার এলে বিবেচনা করবে। তাই আমরা বলছি, যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারগুলো শেষ করে আপনি (অন্তর্বর্তী সরকার) অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উদ্যোগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তাহমিদ ও মাসুদ রানার পরিবারের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর মিরপুরে যান রিজভী। সান্ত্বনার পাশাপাশি দুটি পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তাও করেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বজনহারা পরিবারের কাছে নেতারা অঙ্গীকার করেন, যাঁরা গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ সব সময় মনে রাখবে বিএনপি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম একটা মাপকাঠি। এই নির্বাচন থেকে বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫-১৬ বছর যাবৎ বঞ্চিত ছিল। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি উপাদান। যদিও কোনো কিছু দিয়ে এটাকে মাপা যায় না। এটা একটা জাতির সাইকোলজিক্যাল বিষয় যে আমি বন্দী, কি বন্দী না। কারাগারের বাইরে থাকলেও যখন ফ্যাসিবাদ থাকে তখন নিজেকে বন্দী মনে হয়। সে জন্য এটা (গণতন্ত্র) গুনে গুনে ক্যালকুলেশন করে করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে পূর্ণাঙ্গ করার জন্য যে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন, আইনের শাসন এবং সংবাদপত্রের ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আমাদের দেখতে হবে। আর অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে কীভাবে তাদের কাজগুলো করছে, সেটা জনগণ দেখবে।’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার মাফিয়া সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয়। এ ছাড়া তাঁর আমলে করা বিভিন্ন চুক্তি কেন জনগণের সামনে উন্মোচন করা হচ্ছে না, সে প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে। ফলে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচনের বিকল্প নেই।’
শেখ হাসিনা মাফিয়া সিন্ডিকেটের প্রধান ছিলেন মন্তব্য রিজভী আরও বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী দস্যু দলের প্রধান ছিলেন। মাফিয়া সিন্ডিকেট যেভাবে কাজ করে, সেভাবেই শেখ হাসিনা কর্মকাণ্ড চালিয়েছিলেন। পুলিশ প্রশাসন, সিভিল প্রশাসনের প্রত্যেকটি জায়গায় তাঁর আশীর্বাদপুষ্টরা শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। এ জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম খানের গ্রামের বাড়িতে ৬তলা বিল্ডিং, এই দিয়েই প্রশাসন সাজানো হয়েছে। এখন এরাই বিভিন্ন লেভেলে আছে। যারা অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, তারা এখন শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘প্রতিদিন প্রশাসনের বিভিন্ন খবর আমরা পাচ্ছি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিপ্লবী সরকার দ্রুত গতিতে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে বিষাক্ত রক্ত বের করে দেয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা একটি বিপ্লবী সরকার বলি, তাহলে কি করে দুর্নীতিবাজ, লুণ্ঠনকারী, টাকা পাচারকারীরা কীভাবে এখানে অবস্থান করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল গোটা পৃথিবীর মধ্যে অতি ধনী লোক সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছিল এক নম্বরে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, মেগা প্রজেক্ট, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্নভাবে একের পর এক টাকা লুট করেছে, তারাই আজকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তাদের লোকজনই আজকে বিভিন্ন জায়গায় (সরকারের) অবস্থান করছে।’
এ সময় বিএনপি ও আমরা বিএনপি পরিবারের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১৪ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১৬ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে