Ajker Patrika

মতানৈক্য রেখেই সংলাপ শেষ করল বিএনপি

  • জ্যেষ্ঠ তিনজন থেকে প্রধান বিচারপতির প্রস্তাব।
  • আইসিটির চার্জশিটভুক্ত ব্যক্তিদের নির্বাচনে অযোগ্য করা মানেনি।
  • জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনে অমত।
  • উচ্চকক্ষে ১০০ সদস্যের বিষয়ে একমত।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মতানৈক্য রেখেই সংলাপ শেষ করল বিএনপি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে মত–দ্বিমত জানানোর মাধ্যমে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ করলো বিএনপি। রাষ্ট্র পরিচালনায় ঝুঁকি এবং নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করতে পারে মনে করে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলে (এনসিসি) একমত হয়নি দলটি। ডকট্রিন অব নেসেসিটি (প্রয়োজনের নিরিখে) বিবেচনায় রেখে প্রবীণতম তিনজন বিচারকের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব দলটির। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের (আইসিটি) মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামীদের নির্বাচনে অযোগ্য করার প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে তারা।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিএনপির সঙ্গে জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেদিন সংবিধান ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শেষে বৈঠক মূলতবি হয়। এরপর রোববারের বৈঠকও একই বিষয়ে আলোচনার পর মূলতবি হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় আবার শুরু হওয়া বৈঠক দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে চলে প্রায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত। এতে সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থা বিষয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করে বিএনপি। সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের সুপারিশে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে আলাদা সংস্থা করা, আসন সীমানা নির্ধারনে স্বতন্ত্র কমিশন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও শপথ ভঙ্গের ক্ষেত্রে পরবর্তী সংসদীয় কমিটি তদন্ত এবং আইসিটি আদালতের মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামী হলেই নির্বাচনে অযোগ্য– এই চারটি বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে বিএনপি। তাদের কথা হচ্ছে, প্রথম তিনটি বাস্তবায়ন হলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হবে এবং কমিশনের স্বাধীন সত্তায় আঘাত আসবে। এ তিনটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও চিঠি পাঠানো হয়েছিল।

সংস্কার কমিশন আইসিটি আদালতে সাজাপ্রাপ্তদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরপরই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করার সুপারিশ করেছে। অর্থাৎ এই সুপারিশ কার্যকর হলে কোনো ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হলেই আর প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে আপিল করা না–করা কোনো ভূমিকা রাখবে না। এ বিষয়ে দ্বিমত জানিয়ে বিএনপি বলেছে, বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে যুক্তিসঙ্গত নয়।

বিচার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে প্রবীণতম বিচারপতিকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি করার কথা বলা হয়েছে। বিএনপি বিষয়টিতে দ্বিমত জানিয়ে বলেছে, ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ বিবেচনায় রেখে প্রবীণতম তিনজন বিচারকের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা যেতে পারে। এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে... রাষ্ট্রের মধ্যে কিছু অসঙ্গতি আগে দেখা গেছে। সর্বক্ষেত্রে আমরা যদি নির্দিষ্ট করে দিই, কোন বিকল্প না থাকলে, ভবিষ্যতে যেহেতু আমরা বিচারবিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে চাই, সেক্ষেত্রে আগের মত কোন বিতর্কিত ব্যক্তি (যদি) প্রধান বিচারপতি হন, এটা রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হবে না।’

একজন সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের এমন প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে বিএনপি। দলটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে দুইবারের পরে বিরতি দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে রোববার মূলতবি হওয়া বৈঠকের আলোচনায় একজন সর্বোচ্চ তিনবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন এমন কথা হয়েছিল। এ বিষয়টি বিএনপি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিকল্প প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করুন। আর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবটি দেয়নি।’

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষের ১০০ সদস্য নির্বাচিত হবেন। বিএনপি উচ্চকক্ষে ১০০ সদস্যের বিষয়ে একমত হলেও তা বিদ্যমান সংবিধানের নারী আসন মনোনয়ন পদ্ধতির মতো নির্বাচিত আসন সংখ্যার অনুপাতে ভাগ করার পক্ষে।

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবের সঙ্গেও বিএনপি একমত নয়। দলটি বলেছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক, সংসদীয় চর্চা এবং বাস্তবতার নিরিখে এটা সুবিবেচিত ধারণা নয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন এই ধারণা ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে। এটি নির্বাহী বিভাগকে একটি দুর্বল অঙ্গে পরিণত করার প্রয়াস বলে মনে হয়।

এ বিষয়ে সালাহ্উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এনসিসি ধারণাটা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও সংসদীয় ইতিহাসে একটা নতুন আইডিয়া। আমরা পরীক্ষা করে যতটুকু দেখলাম, এখানে দুইটা সময়ে যখন সংসদ থাকবে না অথবা সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে তখন মাত্র চারজন ব্যক্তি থাকবেন। তার মধ্যে একজন কেবল পরোক্ষভাবে নির্বাচিত থাকবেন। বাকি তিনজনের হাতে সুপ্রিম পাওয়ার (সর্বোচ্চ ক্ষমতা) থাকবে। তখন রাষ্ট্রের অবস্থা হয়তো ভারসাম্যহীন হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া সংবিধানের সেন্স (ভাবধারা) হচ্ছে যে, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া।’

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক নাগরিক কমিটি গঠনের প্রস্তাবেও একমত নয় বিএনপি। মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা কমানো, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদের নাম পরিবর্তন ,উপজেলা জননিরাপত্তা কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু এবং পৌরসভা শক্তিশালী করণের মতো বিষয়গুলোতেও একমত নয় দলটি।

বিএনপি একমত হয়নি এমন অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস পদ সৃষ্টি করা, বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের পাবলিক একাউন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর সভাপতি করা ইত্যাদি।

এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে নতুন নতুন প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেছেন, আলোচনায় নতুন প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কারণ এগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এসেছে কমিশনগুলোর কাছ থেকেই।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সচিব আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।

মে দিবসে ঢাকায় বড় সমাবেশ

আগামী ১ মে মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে রাজধানীতে বড় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। এর আগে মে দিবস উদ্‌যাপন নিয়ে দলের যৌথ সভা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন। এতে ঢাকার পাশাপাশি আশপাশের জেলাগুলোর নেতা-কর্মীরাও অংশ নেবেন। ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরে স্থানীয় শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান নজরুল ইসলাম খান। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তা বিএনপি সমর্থন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আসিফ-মাহফুজকে ঘিরে এনসিপিতে নতুন সমীকরণ

  • জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আসতে পারেন মাহফুজ।
  • সদস্যসচিব পদমর্যাদা চান আসিফ মাহমুদ।
  • এ দুজন এলে বিএনপি-এনসিপির জোট হতে পারে।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম। ফাইল ছবি
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।

মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।

মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।

চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।

চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।

এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।

এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাক বাহিনীর হয়ে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে কারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, ভালো করেই জানি: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।

ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’

আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তানিরা নয়, ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল: গোলাম পরওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫১
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’

ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’

জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসে বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিজয় দিবসে বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচি

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।

এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত