নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, অন্তর্ভুক্তি এবং ন্যায়বিচার: জনপরিসরে গণতন্ত্র’ শীর্ষক সমসাময়িক বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের বিশেষ সেমিনারে সামিনা লুৎফা এই কথা বলেন।
সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক লুৎফা বলেন, ‘এটা বিপ্লবী সরকার না। ছাত্র-জনতা বিপ্লব করেনি, অভ্যুত্থান করেছে। তবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন জরুরি। আওয়ামী লীগ সরকারের মতো আচরণ করা যাবে না। বর্তমানে একজন উপদেষ্টা আগের একজন আওয়ামী মন্ত্রীর মতো আচরণ করছেন। এ ক্ষেত্রেও সাবধান হতে হবে। সরকারের পরিষদের বেশির ভাগ এনজিও সম্পৃক্ত।’ এ ছাড়া এখনো আর্মড ফোর্সেস মেজর প্লেয়ার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, এই সময়কালে শুধু সংখ্যালঘুরা (মাইনরিটি) ভিকটিম হয়েছেন তা নয়, সংখ্যাগুরুও (মেজরিটি) ভিকটিম হয়েছেন। দেশের অধিকাংশ লোক নিজেদের মজলুম বলে অনুভব করছেন। কেউ তাঁর ধর্মের জন্য, কেউ তার বঞ্চনার জন্য, কেউ তার ন্যায় বিচার না পাওয়ার জন্য, কেউ পদোন্নতি, কেউ হিজাবের জন্য, কেউ পোশাকের জন্য, কেউ সিঁদুরের জন্য ইত্যাদি।
গত ৫-৮ আগস্ট পর্যন্ত কার্যত দেশে কোনো সরকার ছিল না। এই সময়ে ও তার পরবর্তী সময়ে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। এগুলো নিয়ে আলোচনা হয় না। হওয়া উচিত।
সামিনা লুৎফা আরও বলেন, বিভিন্ন মতাদর্শ ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ডেমোক্রেটিক ভায়োলেন্স সংঘটিত হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের কার্যকারিতার বিষয়ে লুৎফা আলোকপাত করে বলেন, নির্দিষ্ট নেতৃত্ব না থাকাটা বা খুঁজে না পাওয়াটা, আন্দোলনকারীদের একটি কৌশল।
এ সময় বিআইএসআরের ইন্টার্ন রাশেদ আঞ্জুম নিলয় ‘একটি আন্দোলন আরেকটি আন্দোলনের জন্ম দেয় কিনা’— জানতে চাইলে সামিনা লুৎফা বলেন, আন্দোলন বিফল হলেই পরবর্তীতে আরও আন্দোলনের জন্ম হয়।
দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, শিক্ষক-ছাত্ররা হাইব্রিড উপায়ে এই বিশেষ সেমিনারে অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, অন্তর্ভুক্তি এবং ন্যায়বিচার: জনপরিসরে গণতন্ত্র’ শীর্ষক সমসাময়িক বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের বিশেষ সেমিনারে সামিনা লুৎফা এই কথা বলেন।
সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক লুৎফা বলেন, ‘এটা বিপ্লবী সরকার না। ছাত্র-জনতা বিপ্লব করেনি, অভ্যুত্থান করেছে। তবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন জরুরি। আওয়ামী লীগ সরকারের মতো আচরণ করা যাবে না। বর্তমানে একজন উপদেষ্টা আগের একজন আওয়ামী মন্ত্রীর মতো আচরণ করছেন। এ ক্ষেত্রেও সাবধান হতে হবে। সরকারের পরিষদের বেশির ভাগ এনজিও সম্পৃক্ত।’ এ ছাড়া এখনো আর্মড ফোর্সেস মেজর প্লেয়ার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, এই সময়কালে শুধু সংখ্যালঘুরা (মাইনরিটি) ভিকটিম হয়েছেন তা নয়, সংখ্যাগুরুও (মেজরিটি) ভিকটিম হয়েছেন। দেশের অধিকাংশ লোক নিজেদের মজলুম বলে অনুভব করছেন। কেউ তাঁর ধর্মের জন্য, কেউ তার বঞ্চনার জন্য, কেউ তার ন্যায় বিচার না পাওয়ার জন্য, কেউ পদোন্নতি, কেউ হিজাবের জন্য, কেউ পোশাকের জন্য, কেউ সিঁদুরের জন্য ইত্যাদি।
গত ৫-৮ আগস্ট পর্যন্ত কার্যত দেশে কোনো সরকার ছিল না। এই সময়ে ও তার পরবর্তী সময়ে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। এগুলো নিয়ে আলোচনা হয় না। হওয়া উচিত।
সামিনা লুৎফা আরও বলেন, বিভিন্ন মতাদর্শ ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ডেমোক্রেটিক ভায়োলেন্স সংঘটিত হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের কার্যকারিতার বিষয়ে লুৎফা আলোকপাত করে বলেন, নির্দিষ্ট নেতৃত্ব না থাকাটা বা খুঁজে না পাওয়াটা, আন্দোলনকারীদের একটি কৌশল।
এ সময় বিআইএসআরের ইন্টার্ন রাশেদ আঞ্জুম নিলয় ‘একটি আন্দোলন আরেকটি আন্দোলনের জন্ম দেয় কিনা’— জানতে চাইলে সামিনা লুৎফা বলেন, আন্দোলন বিফল হলেই পরবর্তীতে আরও আন্দোলনের জন্ম হয়।
দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, শিক্ষক-ছাত্ররা হাইব্রিড উপায়ে এই বিশেষ সেমিনারে অংশ নেন।
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১০ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১১ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১২ ঘণ্টা আগেবিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রীসহ কোনো ব্যক্তি যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো ব্যক্তি এমনকি প্রধানমন্ত্রীও স্বৈরাচারী হয়ে যেন ক্ষমতার অপব্যবহা
১৩ ঘণ্টা আগে