ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আমানুল্লাহ আমান। তিনি আবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক উপসম্পাদক। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২৬৪ নম্বর কক্ষ দখল করে থাকেন একাই। অথচ নিয়মিত শিক্ষার্থীরা থাকেন ‘গণরুমে’, গাদাগাদি করে।
নিয়মিত অফিস না করলেও রাজনীতির মাঠে বেশ সক্রিয় আমানুল্লাহ আমান। ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী তিনি।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, আমান সাইফুর রহমান সোহাগ ও মো. জাকির হোসেনের কমিটির সদস্য ছিলেন। রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীর সময়ে কোনো পদ পাননি আমান। পরে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য ছাত্রলীগের দায়িত্ব পেলে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ফলও পান হাতে হাতে। পেয়ে যান কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপসম্পাদক পদ।
সর্বশেষ গত ৩১ জুলাই বর্ধিত কমিটিতে আমানকে সহসভাপতি পদে পদায়ন করা হয়েছে—কয়েক দিন ধরে এমন একটি চিঠি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আমানের অনুসারীরা ফেসবুকে তাঁকে অভিনন্দন জানায়। তবে বর্ধিত কমিটির সবাইকে সাদা-কালো চিঠির মাধ্যমে পদায়ন করা হলেও আমানের সহসভাপতি হওয়ার বিজ্ঞপ্তিটি রঙিন। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অন্য যারা পদ পেয়েছেন কেউই রঙিন চিঠি পাননি। এ নিয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দেননি আমান।
রেজিস্ট্রার ভবন সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমমানের স্যানিটারি সুপারভাইজার (নিম্নমান সহকারী) হিসেবে যোগদান করেন আমান। তবে নিয়মিত অফিস করেন না। তিনি ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে। আল নাহিয়ান খান জয়ের সঙ্গে কখনো গাড়িতে, কখনো মোটরসাইকেলে আবার কখনো উড়োজাহাজে সহযাত্রী হতে দেখা যায় আমানকে। আজ রোববার বিকেলে অফিস আওয়ার শেষ হওয়ার আগে এস্টেট অফিসে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ অফিসে আসেননি আমান। ছুটি নিয়েছেন বলেও কেউ জানাতে পারেননি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসে নিরাপত্তা শাখায় অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সার্কুলারে বর্ণিত চাকরির শর্তাবলি পূরণ না হলেও আমান সেখানে আবেদন করেছেন। পদটি পাওয়ার জন্য এরই মধ্যে তিনি বিভিন্ন জায়গায় লবিং শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে রেজিস্ট্রার ভবনের কর্মচারী হয়েও হলে পুরো একটি কক্ষ দখল করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। এরই মধ্যে নতুন শিক্ষার্থী দিয়েছি। কোনো অবৈধ শিক্ষার্থী হলে থাকার সুযোগ নেই।’
আমানের বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের অবস্থান জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আল নাহিয়ান খান জয় গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন রনি।
ছাত্রলীগের আরেক নেতা এস এম রিয়াদ হাসান। চাকরি করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহসভাপতি পদ পেয়েছেন। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চাকরিজীবীদের ছাত্রলীগের পদে থাকার সুযোগ নেই। চাকরিজীবী এই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হলের ৩১৩ নম্বর কক্ষে থাকেন এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগিয়ে। কক্ষে আছে রেফ্রিজারেটরও।
এই এসএম রিয়াদ হাসান ও আমানুল্লাহ আমান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি হওয়ার বিষয়ে দপ্তর সেল কিছু জানে না বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মো. রাহিম উদ্দিন (রাহিম সরকার)।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আমানুল্লাহ আমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় পাওয়ার পর সন্ধ্যায় টিএসসিতে দেখা করবেন বলে জানান। সেখানেই সরাসরি কথা হবে, এই বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে সন্ধ্যায় একাধিকবার কল করা হলেও তিনি আর রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব দেননি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকেও একাধিকবার ফোন কলা হয়। কিন্তু তাঁরা রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আমানুল্লাহ আমান। তিনি আবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক উপসম্পাদক। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২৬৪ নম্বর কক্ষ দখল করে থাকেন একাই। অথচ নিয়মিত শিক্ষার্থীরা থাকেন ‘গণরুমে’, গাদাগাদি করে।
নিয়মিত অফিস না করলেও রাজনীতির মাঠে বেশ সক্রিয় আমানুল্লাহ আমান। ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী তিনি।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, আমান সাইফুর রহমান সোহাগ ও মো. জাকির হোসেনের কমিটির সদস্য ছিলেন। রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীর সময়ে কোনো পদ পাননি আমান। পরে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য ছাত্রলীগের দায়িত্ব পেলে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ফলও পান হাতে হাতে। পেয়ে যান কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপসম্পাদক পদ।
সর্বশেষ গত ৩১ জুলাই বর্ধিত কমিটিতে আমানকে সহসভাপতি পদে পদায়ন করা হয়েছে—কয়েক দিন ধরে এমন একটি চিঠি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আমানের অনুসারীরা ফেসবুকে তাঁকে অভিনন্দন জানায়। তবে বর্ধিত কমিটির সবাইকে সাদা-কালো চিঠির মাধ্যমে পদায়ন করা হলেও আমানের সহসভাপতি হওয়ার বিজ্ঞপ্তিটি রঙিন। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অন্য যারা পদ পেয়েছেন কেউই রঙিন চিঠি পাননি। এ নিয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দেননি আমান।
রেজিস্ট্রার ভবন সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমমানের স্যানিটারি সুপারভাইজার (নিম্নমান সহকারী) হিসেবে যোগদান করেন আমান। তবে নিয়মিত অফিস করেন না। তিনি ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে। আল নাহিয়ান খান জয়ের সঙ্গে কখনো গাড়িতে, কখনো মোটরসাইকেলে আবার কখনো উড়োজাহাজে সহযাত্রী হতে দেখা যায় আমানকে। আজ রোববার বিকেলে অফিস আওয়ার শেষ হওয়ার আগে এস্টেট অফিসে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ অফিসে আসেননি আমান। ছুটি নিয়েছেন বলেও কেউ জানাতে পারেননি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসে নিরাপত্তা শাখায় অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সার্কুলারে বর্ণিত চাকরির শর্তাবলি পূরণ না হলেও আমান সেখানে আবেদন করেছেন। পদটি পাওয়ার জন্য এরই মধ্যে তিনি বিভিন্ন জায়গায় লবিং শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে রেজিস্ট্রার ভবনের কর্মচারী হয়েও হলে পুরো একটি কক্ষ দখল করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। এরই মধ্যে নতুন শিক্ষার্থী দিয়েছি। কোনো অবৈধ শিক্ষার্থী হলে থাকার সুযোগ নেই।’
আমানের বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের অবস্থান জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আল নাহিয়ান খান জয় গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন রনি।
ছাত্রলীগের আরেক নেতা এস এম রিয়াদ হাসান। চাকরি করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহসভাপতি পদ পেয়েছেন। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চাকরিজীবীদের ছাত্রলীগের পদে থাকার সুযোগ নেই। চাকরিজীবী এই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হলের ৩১৩ নম্বর কক্ষে থাকেন এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগিয়ে। কক্ষে আছে রেফ্রিজারেটরও।
এই এসএম রিয়াদ হাসান ও আমানুল্লাহ আমান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি হওয়ার বিষয়ে দপ্তর সেল কিছু জানে না বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মো. রাহিম উদ্দিন (রাহিম সরকার)।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আমানুল্লাহ আমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় পাওয়ার পর সন্ধ্যায় টিএসসিতে দেখা করবেন বলে জানান। সেখানেই সরাসরি কথা হবে, এই বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে সন্ধ্যায় একাধিকবার কল করা হলেও তিনি আর রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব দেননি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকেও একাধিকবার ফোন কলা হয়। কিন্তু তাঁরা রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তাঁদের দায়িত্ব হচ্ছে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা এবং ভোটের একটা সময় নির্ধারণ করা। সে জন্য আমরা বলছি, অতি দ্রুত একটি নির্বাচনী রোডম্য
৮ ঘণ্টা আগেদেশের শত্রুরা পেছনে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি
৮ ঘণ্টা আগেসাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. জয়নুল আবদীন ফারুককে দুর্নীতির একটি মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এসএম জিয়াউর রহমান রায়ে খালাসের এই আদেশ দেন।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবের মূল অংশে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র পরিবর্তনের বিধান ১৫ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যা করেছিল সেগুলোসহ কিছু নতুন প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।
১৩ ঘণ্টা আগে