নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় পার্টি (জাপা) যখনই জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চায়, তখনই সরকার দল ভাঙার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন দলের চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।
আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘দলকে বাঁচাতে হলে গৃহপালিত হওয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, গৃহপালিত দলের প্রয়োজনীয়তা দেশ ও জাতির কাছে নাই। সরকার আমাদের দুর্বল করার জন্য সব সময় আমাদের পেছনে একটি জোট বানিয়ে রাখবে। আমরা যখনই জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চাই, তখনই সরকার আমাদের দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে।’
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের যারা জাতীয় পার্টি করে, তাদের জাতীয় পার্টিই করতে হবে। আর যারা জাতীয় পার্টির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অন্য কোনো দল করতে চায়, তাদের জাতীয় পার্টি থেকে বের করে দিতে হবে। যদি এসব করা যায় তাহলে এই দল টিকবে। এসব করতে না পারলে দল টিকবে না। গৃহপালিত দলের প্রয়োজনীয়তা দেশ ও জাতির কাছে নাই। পরজীবী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির থাকার প্রয়োজন আছে, কিন্তু গৃহপালিত দল হিসেবে নয়।’
আমরা এখন আছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল—এমনটা জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা এখন আছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল হিসেবে, এটাই বাস্তবতা। কারণ হচ্ছে, সরকারি দল থেকে বিভিন্ন এজেন্ট আমাদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা আমাদের দল করে, কিন্তু রাজনীতি করে সরকারি দলের। এরা কিন্তু ঠিকই আমাদের দল করে, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেয়, কিন্তু বার্গিনিংয়ের সময় সরকারের পক্ষে চলে যায়। ফলে আমরা যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাই, তখনই তারা দল ভেঙে আরেকটা রাজনৈতিক দল করার চেষ্টা করে। আর এ সবকিছু সরকার প্রতিনিয়ত করে এসেছে। যাতে আমরা স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে না পারি এবং সরকারের গৃহপালিত দল হিসেবে থাকি।’
জাতীয় পার্টি এখন বন্দী হয়ে আছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘আগে আমরা পরজীবী হলেও আমাদের একটা চয়েজ ছিল। আমরা এখানে যেতে পারি বা চাইলে অন্য খানেও যেতে পারি। আর এখন আমরা বন্দী হয়ে গেছি। একজন ছাড়া অন্য কারও কাছে যেতে পারব না।’
বন্দী থাকার কারণ হিসেবে রওশন এরশাদকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘আমাদের আরেকজন লোক সরকারের পাশে বসে থাকেন। তিনি যখন ডাক দেবেন, সরকার তাঁকে মদদ দেবে। মিডিয়া তাঁকে বিভিন্নভাবে কাভারেজ দেবে। আর আমাদের দল ভেঙে যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে বলে ভেঙে দেওয়া হবে এবং আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের লাঙ্গল প্রতীক সব নিয়ে যাওয়া হবে; এই ধরনের ধমকি দেওয়া হবে। এই ধরনের সমস্যায় জাতীয় পার্টি ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে। আর এসবের কারণ হচ্ছে আমাদের দুর্বলতা।’
একুশে ফেব্রুয়ারি পর তিনি কোথাও বক্তব্য দিতে পারেননি জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল দেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করার জন্য। তবে বৈষম্য দূর করার জন্য শহীদেরা যে রক্ত দিয়েছিলেন, তার মূল লক্ষ্য এখনো পূরণ হয়নি।
সরকার সমাজে বৈষম্য দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে অভিযোগ করে কাদের আরও বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। কোনো চাকরি করতে গেলে জিজ্ঞাসা করা হয়, সেই প্রার্থী বা পরিবারের কেউ কি আওয়ামী লীগ করছেন কি না। এই ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের এই একুশের সংগ্রাম।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর, জাতীয় পার্টির নারী সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, জাপা ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক তৈয়বুর রহমান, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের প্রমুখ।
জাতীয় পার্টি (জাপা) যখনই জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চায়, তখনই সরকার দল ভাঙার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন দলের চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।
আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘দলকে বাঁচাতে হলে গৃহপালিত হওয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, গৃহপালিত দলের প্রয়োজনীয়তা দেশ ও জাতির কাছে নাই। সরকার আমাদের দুর্বল করার জন্য সব সময় আমাদের পেছনে একটি জোট বানিয়ে রাখবে। আমরা যখনই জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চাই, তখনই সরকার আমাদের দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে।’
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের যারা জাতীয় পার্টি করে, তাদের জাতীয় পার্টিই করতে হবে। আর যারা জাতীয় পার্টির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অন্য কোনো দল করতে চায়, তাদের জাতীয় পার্টি থেকে বের করে দিতে হবে। যদি এসব করা যায় তাহলে এই দল টিকবে। এসব করতে না পারলে দল টিকবে না। গৃহপালিত দলের প্রয়োজনীয়তা দেশ ও জাতির কাছে নাই। পরজীবী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির থাকার প্রয়োজন আছে, কিন্তু গৃহপালিত দল হিসেবে নয়।’
আমরা এখন আছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল—এমনটা জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা এখন আছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল হিসেবে, এটাই বাস্তবতা। কারণ হচ্ছে, সরকারি দল থেকে বিভিন্ন এজেন্ট আমাদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা আমাদের দল করে, কিন্তু রাজনীতি করে সরকারি দলের। এরা কিন্তু ঠিকই আমাদের দল করে, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেয়, কিন্তু বার্গিনিংয়ের সময় সরকারের পক্ষে চলে যায়। ফলে আমরা যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাই, তখনই তারা দল ভেঙে আরেকটা রাজনৈতিক দল করার চেষ্টা করে। আর এ সবকিছু সরকার প্রতিনিয়ত করে এসেছে। যাতে আমরা স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে না পারি এবং সরকারের গৃহপালিত দল হিসেবে থাকি।’
জাতীয় পার্টি এখন বন্দী হয়ে আছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘আগে আমরা পরজীবী হলেও আমাদের একটা চয়েজ ছিল। আমরা এখানে যেতে পারি বা চাইলে অন্য খানেও যেতে পারি। আর এখন আমরা বন্দী হয়ে গেছি। একজন ছাড়া অন্য কারও কাছে যেতে পারব না।’
বন্দী থাকার কারণ হিসেবে রওশন এরশাদকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘আমাদের আরেকজন লোক সরকারের পাশে বসে থাকেন। তিনি যখন ডাক দেবেন, সরকার তাঁকে মদদ দেবে। মিডিয়া তাঁকে বিভিন্নভাবে কাভারেজ দেবে। আর আমাদের দল ভেঙে যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে বলে ভেঙে দেওয়া হবে এবং আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের লাঙ্গল প্রতীক সব নিয়ে যাওয়া হবে; এই ধরনের ধমকি দেওয়া হবে। এই ধরনের সমস্যায় জাতীয় পার্টি ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে। আর এসবের কারণ হচ্ছে আমাদের দুর্বলতা।’
একুশে ফেব্রুয়ারি পর তিনি কোথাও বক্তব্য দিতে পারেননি জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল দেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করার জন্য। তবে বৈষম্য দূর করার জন্য শহীদেরা যে রক্ত দিয়েছিলেন, তার মূল লক্ষ্য এখনো পূরণ হয়নি।
সরকার সমাজে বৈষম্য দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে অভিযোগ করে কাদের আরও বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। কোনো চাকরি করতে গেলে জিজ্ঞাসা করা হয়, সেই প্রার্থী বা পরিবারের কেউ কি আওয়ামী লীগ করছেন কি না। এই ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের এই একুশের সংগ্রাম।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর, জাতীয় পার্টির নারী সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, জাপা ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক তৈয়বুর রহমান, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের প্রমুখ।
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৭ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৯ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
১৩ ঘণ্টা আগে