নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: বাবুনগরীর নেতৃত্বেই হচ্ছে হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি। তবে ৩৫-৩৮ সদস্যবিশিষ্ট নতুন এ কমিটিতে যারা রাজনীতি করেন, এমন নেতাদের রাখা হচ্ছে না। যে কারণে নতুন কমিটিতে জায়গা হচ্ছে না হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব নানাভাবে সমালোচিত মামুনল হকের। কমিটিতে মহাসচিবের দায়িত্ব পাচ্ছেন বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদী। আজকের পত্রিকাকে নতুন কমিটির খবরটি দিলেন তিনি নিজেই। জানালেন, কাল (সোমবার) সকাল ১১টায় কমিটির ঘোষণা দেওয়া হবে। খিলগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত ২৫ এপ্রিল এক ভিডিও বার্তায় হেফাজতে ইসলামের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। ওই রাতেই বাবুনগরীকে আহ্বায়ক ও নুরুল ইসলাম জেহাদীকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।
সম্প্রতি মোদি বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে নানা কারণে লন্ডভন্ড হয়ে যায় হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির শীর্ষ নেতারাসহ অনেক নেতা কর্মী এখনো কারাগারে আছেন। আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের সঙ্গে নানাভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেছে তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় একাধিকবার আসা-যাওয়া করেছেন সংগঠনটির নেতারা। বাবুনগরীর অনুসারীদের কঠিন সময়ে সরব হয় দীর্ঘদিন নীরব থাকা হেফাজতের কোণঠাসা নেতা কর্মীরাও। শফীপন্থী হিসেবে পরিচিত এ অংশটিও এই সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। ধারণা করা হচ্ছিল দুটি অংশের সমন্বয়েই নতুন কমিটি হবে। তবে সেটা আর হচ্ছে না। বিলুপ্ত কমিটির নিয়ন্ত্রণেই থাকছে নয়া কমিটি।
এর আগে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বাবুনগরীকে আমির করে ১৫১ সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটিতে আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানির অনুসারী হিসেবে পরিচিত হেফাজত নেতাদের কাউকে রাখা হয়নি। নয়া কমিটিতেও তাদের কাউকে রাখা হয়নি বলে জানান শফীপন্থী নেতারা।
গত ২ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে বাবুনগরীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভক্তরা। সেখানে সাবেক হেফাজত নেতা নুরুল ইসলাম জাদীদ বলেন, ‘গঠনতন্ত্রে না থাকলেও এককভাবেই তিনি (বাবুনগরী) নিয়ম বহির্ভূত ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন। এই আহ্বায়ক কমিটিই আবারও নিজেদের পছন্দমাফিক লোকদের দিয়ে নতুন কমিটি জন্ম দেওয়ার নীলনকশা চূড়ান্ত করছে।’
নয়া কমিটির বিষয়ে হেফাজতের শফীপন্থী নেতা মঈনুদ্দীন রুহীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনলাম আগামীকাল (সোমবার) তারা কমিটি দিতে যাচ্ছে। তারা আমাদের কিছু বলেননি। আমাদের ধারণা কেউ তাদের এই কমিটি করে দিচ্ছে।’
শফীপন্থী কোনো নেতা এই কমিটিতে থাকছেন কীনা জানতে চাইলে হেফাজতের এ নেতা বলেন, ‘নাই, নাই। কমিটিতে আমাদের কেউ নাই। হুজুরের (আহমদ শফী) বড় ছেলে ইউসুফ মাদানীর নাম দেওয়া হয়ছিল। তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জেনেছি।’
মার্চে মোদিবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে সরকারের মুখোমুখি দাঁড়ায় হেফাজত। এরপর ৩ এপ্রিল মামুনুলের রিসোর্টকাণ্ডের পরে হেফাজতের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যায় সরকার। একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন সংগঠনটির নেতা কর্মীরা। প্রায় অর্ধশত শীর্ষ নেতা এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। নারী কেলেঙ্কারি, উসকানিসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন মামুনুল হক। এসব ঘটনায় নতুন কমিটি গঠনে রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছেন, এমন নেতাদের না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে সমাবেশের নামে তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফী। ২০২০ এর ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান শফী। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে ১৭ ডিসেম্বর একটি মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল এ বিষয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শফীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’বলে যে অভিযোগ, তার সত্যতা থাকার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ৪৩ জন অভিযুক্তের মধ্যে বাবুনগরীর নাম উল্লেখ রয়েছে।
ঢাকা: বাবুনগরীর নেতৃত্বেই হচ্ছে হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি। তবে ৩৫-৩৮ সদস্যবিশিষ্ট নতুন এ কমিটিতে যারা রাজনীতি করেন, এমন নেতাদের রাখা হচ্ছে না। যে কারণে নতুন কমিটিতে জায়গা হচ্ছে না হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব নানাভাবে সমালোচিত মামুনল হকের। কমিটিতে মহাসচিবের দায়িত্ব পাচ্ছেন বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদী। আজকের পত্রিকাকে নতুন কমিটির খবরটি দিলেন তিনি নিজেই। জানালেন, কাল (সোমবার) সকাল ১১টায় কমিটির ঘোষণা দেওয়া হবে। খিলগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত ২৫ এপ্রিল এক ভিডিও বার্তায় হেফাজতে ইসলামের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। ওই রাতেই বাবুনগরীকে আহ্বায়ক ও নুরুল ইসলাম জেহাদীকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।
সম্প্রতি মোদি বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে নানা কারণে লন্ডভন্ড হয়ে যায় হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির শীর্ষ নেতারাসহ অনেক নেতা কর্মী এখনো কারাগারে আছেন। আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের সঙ্গে নানাভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেছে তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় একাধিকবার আসা-যাওয়া করেছেন সংগঠনটির নেতারা। বাবুনগরীর অনুসারীদের কঠিন সময়ে সরব হয় দীর্ঘদিন নীরব থাকা হেফাজতের কোণঠাসা নেতা কর্মীরাও। শফীপন্থী হিসেবে পরিচিত এ অংশটিও এই সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। ধারণা করা হচ্ছিল দুটি অংশের সমন্বয়েই নতুন কমিটি হবে। তবে সেটা আর হচ্ছে না। বিলুপ্ত কমিটির নিয়ন্ত্রণেই থাকছে নয়া কমিটি।
এর আগে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বাবুনগরীকে আমির করে ১৫১ সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটিতে আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানির অনুসারী হিসেবে পরিচিত হেফাজত নেতাদের কাউকে রাখা হয়নি। নয়া কমিটিতেও তাদের কাউকে রাখা হয়নি বলে জানান শফীপন্থী নেতারা।
গত ২ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে বাবুনগরীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভক্তরা। সেখানে সাবেক হেফাজত নেতা নুরুল ইসলাম জাদীদ বলেন, ‘গঠনতন্ত্রে না থাকলেও এককভাবেই তিনি (বাবুনগরী) নিয়ম বহির্ভূত ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন। এই আহ্বায়ক কমিটিই আবারও নিজেদের পছন্দমাফিক লোকদের দিয়ে নতুন কমিটি জন্ম দেওয়ার নীলনকশা চূড়ান্ত করছে।’
নয়া কমিটির বিষয়ে হেফাজতের শফীপন্থী নেতা মঈনুদ্দীন রুহীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনলাম আগামীকাল (সোমবার) তারা কমিটি দিতে যাচ্ছে। তারা আমাদের কিছু বলেননি। আমাদের ধারণা কেউ তাদের এই কমিটি করে দিচ্ছে।’
শফীপন্থী কোনো নেতা এই কমিটিতে থাকছেন কীনা জানতে চাইলে হেফাজতের এ নেতা বলেন, ‘নাই, নাই। কমিটিতে আমাদের কেউ নাই। হুজুরের (আহমদ শফী) বড় ছেলে ইউসুফ মাদানীর নাম দেওয়া হয়ছিল। তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জেনেছি।’
মার্চে মোদিবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে সরকারের মুখোমুখি দাঁড়ায় হেফাজত। এরপর ৩ এপ্রিল মামুনুলের রিসোর্টকাণ্ডের পরে হেফাজতের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যায় সরকার। একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন সংগঠনটির নেতা কর্মীরা। প্রায় অর্ধশত শীর্ষ নেতা এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। নারী কেলেঙ্কারি, উসকানিসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন মামুনুল হক। এসব ঘটনায় নতুন কমিটি গঠনে রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছেন, এমন নেতাদের না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে সমাবেশের নামে তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফী। ২০২০ এর ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান শফী। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে ১৭ ডিসেম্বর একটি মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল এ বিষয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শফীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’বলে যে অভিযোগ, তার সত্যতা থাকার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ৪৩ জন অভিযুক্তের মধ্যে বাবুনগরীর নাম উল্লেখ রয়েছে।
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৪ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৭ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
১০ ঘণ্টা আগে