নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব বাধা পাশ কাটিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ম্যান্ডেট ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই পথে তাঁরা যত দ্রুত এগিয়ে যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল।
আজ বুধবার রাজধানীর মোমেনবাগে দি মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেমোক্রেসি অডিটোরিয়ামে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ১০০ দিন’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এতে সভাপতিত্ব করেন দি মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের বৈধতার জন্য নতুন আইন তৈরি প্রসঙ্গ টেনে মঈন খান বলেন, ‘এই সরকার একটি আইন করতে যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এটি একটি ইনডেমনিটি অ্যাক্ট। ১০০ দিন পর এসে কেন অন্তর্বর্তী সরকারকে এই আইন পাস করতে হচ্ছে? সরকারের মনে কেন ভয় ঢুকল, কেন ইনডেমনিটি আইন করতে হবে? এ আইন নিয়ে আমি শঙ্কিত। এই সরকার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় আছে। এখানে আইনের প্রশ্ন বাধ্যবাধকতা মাত্র।’
মঈন খান আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন ও ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ১০০ দিন সম্পূর্ণ ভিন্ন। ৫ আগস্ট বাংলাদেশে একটি অভূতপূর্ব বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। গত ৫ আগস্ট গণভবন দখল করে বাংলাদেশের মানুষ তার অধিকার পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। ৫ আগস্ট ছিল সত্যিকারের জনগণের বিপ্লব।
এ সময় ছাত্রদের উদ্দেশে মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আসছে। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন বিশ্বের ইতিহাসে স্থান পাবে। বিপ্লব হয়, প্রতিবিপ্লব হয়। ঘাত-প্রতিঘাত থাকবে, বাধা-বিপত্তি থাকবে, আলোচনা-সমালোচনা হবে, এর মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘৭১ সালে সরকার গঠনের সময় আমরা একটি ভুল করেছিলাম। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম। তখন একটি রাজনৈতিক দল সাড়া দেয়নি। সেই একই রাজনৈতিক দল গত ১৫ বছর ধরে লুণ্ঠন করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আজকে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আবারও নতুনভাবে উদ্ভাসিত হয়েছে। ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাজনীতিকে আগে রিস্ট্রোর করতে হবে। ফ্যাসিস্ট থেকে গণতন্ত্র তৈরি করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করা দরকার। সব সংস্কারই অন্তর্বর্তী সরকার করতে হবে কেন, অধিকাংশ সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার।
নতুন তিন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়াকে ‘ছেলে খেলা’র মতো মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর করতে হলে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোই ছাত্রদের ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমান সরকার আমাদের সরকার, এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কিছু নাই। এ সরকার আমাদের প্রতিপক্ষ না।’
নির্দিষ্ট সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার বিদায় নেবে এমন আশা ব্যক্ত বরে সাকি বলেন, ‘দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর করতে হলে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। কেবল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে সরকার পরিচালনা করলে জনগণের সঙ্গে দিন দিন দূরত্ব তৈরি হবে। সর্বশেষ উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল, না হলে এমন পরিস্থিতির তৈরি হতো না। সরকার ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হব।’ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কারগুলো করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন—গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণফোরামের কো-চেয়ারম্যান সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব বাধা পাশ কাটিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ম্যান্ডেট ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই পথে তাঁরা যত দ্রুত এগিয়ে যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল।
আজ বুধবার রাজধানীর মোমেনবাগে দি মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেমোক্রেসি অডিটোরিয়ামে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ১০০ দিন’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এতে সভাপতিত্ব করেন দি মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের বৈধতার জন্য নতুন আইন তৈরি প্রসঙ্গ টেনে মঈন খান বলেন, ‘এই সরকার একটি আইন করতে যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এটি একটি ইনডেমনিটি অ্যাক্ট। ১০০ দিন পর এসে কেন অন্তর্বর্তী সরকারকে এই আইন পাস করতে হচ্ছে? সরকারের মনে কেন ভয় ঢুকল, কেন ইনডেমনিটি আইন করতে হবে? এ আইন নিয়ে আমি শঙ্কিত। এই সরকার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় আছে। এখানে আইনের প্রশ্ন বাধ্যবাধকতা মাত্র।’
মঈন খান আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন ও ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ১০০ দিন সম্পূর্ণ ভিন্ন। ৫ আগস্ট বাংলাদেশে একটি অভূতপূর্ব বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। গত ৫ আগস্ট গণভবন দখল করে বাংলাদেশের মানুষ তার অধিকার পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। ৫ আগস্ট ছিল সত্যিকারের জনগণের বিপ্লব।
এ সময় ছাত্রদের উদ্দেশে মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আসছে। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন বিশ্বের ইতিহাসে স্থান পাবে। বিপ্লব হয়, প্রতিবিপ্লব হয়। ঘাত-প্রতিঘাত থাকবে, বাধা-বিপত্তি থাকবে, আলোচনা-সমালোচনা হবে, এর মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘৭১ সালে সরকার গঠনের সময় আমরা একটি ভুল করেছিলাম। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম। তখন একটি রাজনৈতিক দল সাড়া দেয়নি। সেই একই রাজনৈতিক দল গত ১৫ বছর ধরে লুণ্ঠন করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আজকে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আবারও নতুনভাবে উদ্ভাসিত হয়েছে। ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাজনীতিকে আগে রিস্ট্রোর করতে হবে। ফ্যাসিস্ট থেকে গণতন্ত্র তৈরি করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করা দরকার। সব সংস্কারই অন্তর্বর্তী সরকার করতে হবে কেন, অধিকাংশ সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার।
নতুন তিন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়াকে ‘ছেলে খেলা’র মতো মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর করতে হলে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোই ছাত্রদের ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমান সরকার আমাদের সরকার, এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কিছু নাই। এ সরকার আমাদের প্রতিপক্ষ না।’
নির্দিষ্ট সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার বিদায় নেবে এমন আশা ব্যক্ত বরে সাকি বলেন, ‘দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর করতে হলে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। কেবল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে সরকার পরিচালনা করলে জনগণের সঙ্গে দিন দিন দূরত্ব তৈরি হবে। সর্বশেষ উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল, না হলে এমন পরিস্থিতির তৈরি হতো না। সরকার ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হব।’ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কারগুলো করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন—গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণফোরামের কো-চেয়ারম্যান সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
৯ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১৯ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগে