জনগণ তৈরি আছে, বিএনপিকে প্রস্তুত হতে হবে: খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ২৫
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ৩৬

সরকার পতনের আন্দোলনে জনগণ রাস্তায় নেমে গেছে এবং চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। চূড়ান্ত ওই আন্দোলনের জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি। 

রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আজ সোমবার বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এই সভার আয়োজন করে। 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশগুলো থেকে জনগণ এই বার্তা দিয়েছে যে, তারা এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। কাজেই এই সরকারকে বিদায় করার কোনো বিকল্প নাই। সে অনুযায়ী এই সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করাই এখন প্রথম কাজ।’ 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘জনগণ যেভাবে রাস্তায় নেমেছে এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই অবস্থায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব নিয়ে প্রস্তুত হতে হবে। জনগণ তৈরি আছে। কাউকে না কাউকে নেতৃত্ব দিতে হবে। ঐতিহাসিক কারণে আমাদেরই (বিএনপি) নেতৃত্ব দিতে হবে। এ জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, ‘গত ১৪ বছরে এই সরকারের কাছে নানা দাবি আমরা জানিয়েছি। তারা শোনেনি। যে কারণে আমরা এখন তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। এই দাবি মানার মতো এই সরকার না। কাজেই আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য করব। এটা করার ইতিহাস আমাদের আছে। আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান বিদায় হতে বাধ্য হয়েছেন, এরশাদের পতন হয়েছে। আজকে আমাদের সার্বিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। যদি আইয়ুব খানের সময় জনগণ পারে, এরশাদের সময় যদি ছাত্র-জনতা পারে, তবে এখনো সম্ভব। সময় আমাদের অতি সন্নিকটে, সময় কিন্তু উত্তপ্ত। এই উত্তপ্ত সময়ে আমরা আশা করি আইয়ুব খান, এরশাদের মতো বর্তমান স্বৈরাচারকেও সরানো সম্ভব হবে।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘১৪ বছর যাবৎ সব অধিকার হারিয়ে আমরা অন্ধকারে আছি। আমরা যে ১০ দফা এবং ২৭ দফা দিয়েছি, তার আলোকে আমরা বিশ্বাস করি ২০২৩ হবে আলোয় উদ্ভাসিত বাংলাদেশের বছর। অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাবে বাংলাদেশ। সেই আলোর পথ দেখাবে বিএনপির নেতা-কর্মী এবং গণতন্ত্রকামীরা। এই বছর স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করব। এই সরকারকে সরানোর পর যে পরিবর্তন আসবে, সেই পরিবর্তন যাতে অর্থবহ হয়, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যাতে বাস্তবায়ন করতে পারি, সে জন্যই এই ২৭ দফা কর্মসূচি।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত