নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ৫৬
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২: ০৪

একসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা নির্বাচন কমিশনকে আইন করে স্বাধীন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ক্ষমতা দখলকারীরা উর্দি খুলে হঠাৎ রাজনীতিবিদ হয়ে যায়।’ এ সময় জিয়াউর রহমানকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই সংবিধান স্থগিত করে মার্শাল ল জারি করে। হ্যাঁ/না ভোটের ‘না’ বাক্স খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তারা গণতন্ত্রের নামে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে।’ 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের নাক গলানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশ কথা বললেও যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছিল, তখন তাদের চেতনা কোথায় ছিল?’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ পদত্যাগ করতে হয়েছে।’ 

আওয়ামী লীগই নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে আওয়ামী লীগ সরকার আইন করে দিয়েছে, যার অধীনে এখন দেশে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। 
৮২টি সংশোধনী এনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী আইন করে দিয়েছে সরকার।’ 

বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের শক্তি ও দেশের জনগণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহার অনুযায়ী প্রতিবছর বাজেট প্রণয়ন ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এখন আওয়ামী লীগের লক্ষ্য দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করে স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি গঠন করা।’ 

বিগত দুই নির্বাচনে বিএনপি ও বিরোধীদের অবস্থান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৪ সালে আত্মবিশ্বাস ছিল না বলেই জ্বালাও-পোড়াও করে তারা নির্বাচনে আসেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে অপবাদ দিলেও কেউ এখন পর্যন্ত অনিয়মের একটি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত