নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ও ঢাকা
সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত জনসভাস্থলে পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বেলা ৩টা ৭ মিনিটে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ সেখানে উপস্থিত হন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী জনসংযোগ ও জনসভা এটি।
আজ বুধবার সকালে সিলেটের দুই ধর্মীয় স্থান হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জিয়ারত শেষে তিনি সিলেট সার্কিট হাউসে যান। সেখান থেকে পৌঁছান জনসভায়।
এর আগে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে জিয়ারত শেষে শেখ হাসিনা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচন বানচাল করতে চায়, মানুষকে ভোট দিতে দিবে না। মানুষ কিন্তু ভোটের পক্ষে, নির্বাচনের পক্ষে। মানুষ তো তাদের হরতালে সাড়া দিচ্ছে না। মানুষ বরং ভোটের মিছিলে যোগ দিচ্ছে। এরপরও আবার কেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোট জনগণের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। সেই ভোট জনগণে দেবে। সেই ভোট দিতে জনগণকে বাধা দেওয়া, তাদের খুন করা, এই অধিকার কারও নাই। এটা বাংলাদেশের কেউ মানবেও না। এটা যারা করবে তাদের একদিন এ দেশের মানুষ উৎখাত করবে।’
তিনি বলেন, ‘তারা তো হরতাল দিয়েছে, এ দেশের মানুষ হরতাল মানেও নাই। তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তাদের বোঝা উচিত—এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়।’
বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন ঠেকানোর প্রচেষ্টা সফল হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারা কোনো দিন সফল হবে না, হতে পারে না। এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। জনগণকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের (বিএনপি-জামায়াত) অভিজ্ঞতা নাই? ২০১৩ সালে পারেনি, ২০১৪ সালে পারেনি। তাহলে আবার কেন এই আগুন দিয়ে পোড়ানো। বেশ ভালোই খেলা চলছে! একজন লন্ডনে বসে হুকুম দেয় আর এখানে তার কিছু চ্যালা আছে, তারা আগুন দেয়। বাংলাদেশে এভাবে খেলা, এই দুর্বৃত্তপরায়ণতা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিবে না।’
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যারা নির্বাচন করবে না, তারা করবে না! কিন্তু আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা, আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি, সরকারি সম্পত্তি মানে জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে।’
অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি বিভিন্ন জায়গায়। আমরা পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু এই যে হঠাৎ হঠাৎ একেকটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলা, এই ঘটনাগুলো তারা এভাবে ঘটাচ্ছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা, যারা এই অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িত, যারা এই হত্যা করেছে কারও ক্ষমা নেই। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে।’
রেল-বাসে আগুনের জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রেলে আগুন দিল, একজন মা সন্তানকে নিয়ে সে আগুনে পুড়ে মারা গেল। মা সন্তানকে কিন্তু বুকের মাঝে চেপে ধরে রেখেছে। এর চেয়ে কষ্টের দৃশ্য আর কিছু হতে পারে না। কী করে একটা মানুষ এসব করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে নারী-শিশু, পুলিশের ওপর হামলা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, জনগণের ওপর হামলা—এসব কোন ধরনের রাজনীতি। জনগণের কাছে তাদের কর্মসূচি নিয়ে যাবে, জনগণ যদি তাদের ডাকে সাড়া দেয় তখন।’
আগামী নির্বাচনে জয় লাভ করলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বার্তা একটাই দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার যে স্বপ্ন আমার বাবা দেখেছেন, সেটা পূরণ করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটাই কথা—আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণের কল্যাণ হয়। ২০০৯-এ সরকার গঠন করেছিলাম, বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, ২০১৮ সালে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, আবার যদি সরকার গঠন করতে পারি, পুরো বাংলাদেশকেই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ করব। আর কোনো মানুষই ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের নিয়ত—বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে বাংলাদেশটাকে উন্নত-সমৃদ্ধ করা।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। কিন্তু সেটাকে কার্যকর করতে হবে। আমি জানি, আমাদের সরকার আসলে পরেই এটা কার্যকর হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সিলেটে কিন্তু এখন আর কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নাই। প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর করে দিতে পেরেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক দিয়েছি তাদের চিকিৎসার জন্য। অর্থাৎ মানুষের যে মৌলিক চাহিদাগুলো, সেগুলো আমরা পূরণ করে যাচ্ছি। যেটুকু বাকি আছে সেগুলো করব ইনশা আল্লাহ।’
সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত জনসভাস্থলে পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বেলা ৩টা ৭ মিনিটে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ সেখানে উপস্থিত হন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী জনসংযোগ ও জনসভা এটি।
আজ বুধবার সকালে সিলেটের দুই ধর্মীয় স্থান হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জিয়ারত শেষে তিনি সিলেট সার্কিট হাউসে যান। সেখান থেকে পৌঁছান জনসভায়।
এর আগে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে জিয়ারত শেষে শেখ হাসিনা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচন বানচাল করতে চায়, মানুষকে ভোট দিতে দিবে না। মানুষ কিন্তু ভোটের পক্ষে, নির্বাচনের পক্ষে। মানুষ তো তাদের হরতালে সাড়া দিচ্ছে না। মানুষ বরং ভোটের মিছিলে যোগ দিচ্ছে। এরপরও আবার কেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোট জনগণের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। সেই ভোট জনগণে দেবে। সেই ভোট দিতে জনগণকে বাধা দেওয়া, তাদের খুন করা, এই অধিকার কারও নাই। এটা বাংলাদেশের কেউ মানবেও না। এটা যারা করবে তাদের একদিন এ দেশের মানুষ উৎখাত করবে।’
তিনি বলেন, ‘তারা তো হরতাল দিয়েছে, এ দেশের মানুষ হরতাল মানেও নাই। তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তাদের বোঝা উচিত—এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়।’
বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন ঠেকানোর প্রচেষ্টা সফল হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারা কোনো দিন সফল হবে না, হতে পারে না। এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। জনগণকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের (বিএনপি-জামায়াত) অভিজ্ঞতা নাই? ২০১৩ সালে পারেনি, ২০১৪ সালে পারেনি। তাহলে আবার কেন এই আগুন দিয়ে পোড়ানো। বেশ ভালোই খেলা চলছে! একজন লন্ডনে বসে হুকুম দেয় আর এখানে তার কিছু চ্যালা আছে, তারা আগুন দেয়। বাংলাদেশে এভাবে খেলা, এই দুর্বৃত্তপরায়ণতা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিবে না।’
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যারা নির্বাচন করবে না, তারা করবে না! কিন্তু আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা, আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি, সরকারি সম্পত্তি মানে জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে।’
অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি বিভিন্ন জায়গায়। আমরা পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু এই যে হঠাৎ হঠাৎ একেকটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলা, এই ঘটনাগুলো তারা এভাবে ঘটাচ্ছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা, যারা এই অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িত, যারা এই হত্যা করেছে কারও ক্ষমা নেই। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে।’
রেল-বাসে আগুনের জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রেলে আগুন দিল, একজন মা সন্তানকে নিয়ে সে আগুনে পুড়ে মারা গেল। মা সন্তানকে কিন্তু বুকের মাঝে চেপে ধরে রেখেছে। এর চেয়ে কষ্টের দৃশ্য আর কিছু হতে পারে না। কী করে একটা মানুষ এসব করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে নারী-শিশু, পুলিশের ওপর হামলা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, জনগণের ওপর হামলা—এসব কোন ধরনের রাজনীতি। জনগণের কাছে তাদের কর্মসূচি নিয়ে যাবে, জনগণ যদি তাদের ডাকে সাড়া দেয় তখন।’
আগামী নির্বাচনে জয় লাভ করলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বার্তা একটাই দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার যে স্বপ্ন আমার বাবা দেখেছেন, সেটা পূরণ করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটাই কথা—আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণের কল্যাণ হয়। ২০০৯-এ সরকার গঠন করেছিলাম, বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, ২০১৮ সালে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, আবার যদি সরকার গঠন করতে পারি, পুরো বাংলাদেশকেই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ করব। আর কোনো মানুষই ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের নিয়ত—বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে বাংলাদেশটাকে উন্নত-সমৃদ্ধ করা।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। কিন্তু সেটাকে কার্যকর করতে হবে। আমি জানি, আমাদের সরকার আসলে পরেই এটা কার্যকর হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সিলেটে কিন্তু এখন আর কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নাই। প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর করে দিতে পেরেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক দিয়েছি তাদের চিকিৎসার জন্য। অর্থাৎ মানুষের যে মৌলিক চাহিদাগুলো, সেগুলো আমরা পূরণ করে যাচ্ছি। যেটুকু বাকি আছে সেগুলো করব ইনশা আল্লাহ।’
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৭ মিনিট আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৬ ঘণ্টা আগে