Ajker Patrika

প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক লেনিন: মেনন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘পুঁজিবাদের চরম উৎকর্ষতার মধ্যে বিশ্বব্যাপী যখন যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করছে, তখন যুদ্ধের বিপরীতে দাঁড়িয়ে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতার মাধ্যমে সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠাই মুক্তিকামী মানুষের একমাত্র অবলম্বন। আর সেই পথ দেখিয়েছিলেন কমরেড লেনিন। তিনি কেবল একজন বিপ্লবী নন, তিনি প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও পরিবর্তনের পথ প্রদর্শক।’ 

আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের পথপ্রদর্শক মহামতি কমরেড লেনিনের ১৫৪ তম জন্মবার্ষিকীতে ‘পুঁজিবাদের আগ্রাসী ভূ-রাজনীতি ও লেনিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। 

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমরা যখন অপেক্ষা করছি আরেকটা বিশ্বযুদ্ধের জন্য, অথবা চীনকে কেন্দ্র করে জাপান, ফিলিপাইন যেভাবে মহড়া দিচ্ছে, এমন প্রেক্ষাপটে আমরা যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাদের সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন, অপতৎপরতা ভেদ করে এগিয়ে যেতে হবে।’ 

লেনিন বর্তমান সময়েও প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সোভিয়েত পতনের পর যেভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, সমাজতন্ত্রের অবসান ঘটে গেছে, লেনিনকে ইতিহাস থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু আজকেও বর্তমান বিশ্বে আমরা লেনিনের প্রাসঙ্গিকতা দেখতে পাচ্ছি।’

মেনন বলেন, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করছি। পুঁজিবাদ বর্তমানে এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে যে, এখন যুদ্ধ ছাড়া তার আর কোনো উপায় নাই। যুদ্ধ আজকে শুধু উপস্থিত নয়, তার ব্যাপ্তি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কেন আজকে আমেরিকাকে এত আগ্রাসী হতে হচ্ছে? কেন মার্কিন কংগ্রেসকে ইসরায়েলে যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির জন্য রেজুলেশন পাস করতে হচ্ছে? কারণ পুঁজিবাদের দুষ্টচক্র। আমেরিকার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি পরিপূর্ণভাবে অস্ত্র বিক্রির ওপর নির্ভরশীল। তাই পুঁজিবাদকে রক্ষা করতে হলে, তার নতুন করে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বাধানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। লেনিন খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়ে গেছে, এই যুদ্ধ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ।’ 

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯০ সালের পরে বিশ্বব্যবস্থা, চিন্তা-চেতনার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ৯০ সালের আগে বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর তরুণ-তরুণীরা ছিল। এখন গোটা উপমহাদেশে ৪৭ এর ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি ফেরত এসেছে। আজকে বিপ্লবের প্রশ্ন যখন আসছে, তখন বর্তমান সমাজের ধরনটা কী, চ্যালেঞ্জগুলো কী, তা বিশ্লেষণ না করে শুধু তত্ত্ব বিশ্লেষণ করলে খুব বেশি লাভবান হবো না।’ 

সভাপতির বক্তব্যে পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কামরুল আহসান বলেন, ‘লেনিন এই পৃথিবীর প্রথম সার্থক বিপ্লবী। তিনি পুঁজিবাদীদের উৎখাত করে শ্রমিক শ্রেণির রাষ্ট্র গঠনে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তার শিক্ষা আমলে নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তার আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা সাজাবে।’ 

সভায় মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন—বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শরীফ শামশির। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন-কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাদাকাত হোসেন বাবুল, আবুল হোসেন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী সহকর্মীর সঙ্গে রাতযাপন: হাইটেক পার্কের ডিডি আতিক বরখাস্ত

বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ

পদ্মা সেতু ও ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারত থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ! ভাইরাল ভিডিওর পেছনের ঘটনা জানুন

২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত