নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সেনানিবাসে সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হওয়া আলোচনাকে রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, সেটি হচ্ছে আমরা মনে করছি, রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি রাজনীতিবিদেরাই নির্ধারণ করবেন—রাজনীতির ঘটনাপ্রবাহ বা চলমান যা কিছুই, পরবর্তী রাজনীতি কোন দিকে যাবে, সেটি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত। তো সেই জায়গায় আমরা সন্দিহান বলেই গতকাল আমার স্ট্যাটাস দিতে হয়েছে।’
এর আগে হাসনাত আবদুল্লাহ গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি দাবি করেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা চলছে। এটি পুরোপুরি ভারতের পরিকল্পনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরীন শারমিন ও ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
হাসনাতের ভাষ্য, ‘১১ মার্চ সেনানিবাসে আমাদের দুজনের কাছে এমন একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে। আমাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদের বলা হয়, ইতিমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা নাকি ভালো।’
সেনানিবাসে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে হাসনাত বলেন, ‘আপনারা জানেন যে বর্তমানে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আমাদের আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিছুদিন আগে আপনারা সেনাপ্রধানের একটি বক্তব্য দেখেছেন, যে বক্তব্যকে আমি ব্যক্তিগতভাবে বা আমরা অনেকেই রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অসমীচীন হিসেবে ধরি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে যেভাবে অ্যাড্রেস করা হয়েছে, যে ইনক্লুসিভ নির্বাচনের ইঙ্গিত করা হয়েছে আওয়ামী লীগসহ, তো সার্বিক বিষয়ে আলোচনার কথা বলা হয়েছে, সে জন্য গিয়েছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, ‘দেখুন, ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা শক্তি ছিল, এজেন্সি ছিল। সরকারপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে ছিল, তখন তো আমরা বারবার বলেছি, লড়াই চলমান, এখনো সে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ রয়েছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি অনুভব করছি না।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আপনারা কোথাও দেখেছেন যে আওয়ামী লীগ অনুশোচনা ফিল করেছে? ওরা যে একটা গণহত্যা চালাইছে, এটা তো স্বীকারও করেনি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট বলতে চাই, আওয়ামী লীগের আগে বিচার নিশ্চিত করতে হবে, তাকে দল হিসেবে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধ স্বীকার করতে হবে, তারপর অন্য কোনো আলোচনা হলে হতে পারে, এর আগে কোনো আলোচনা নয়।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের পরে বলেছি, আওয়ামী লীগের নাম, মার্কা ও আদর্শ—এই তিনটি হচ্ছে অপ্রাসঙ্গিক। এখানে যদি বিদেশি ষড়যন্ত্র অথবা দেশি ষড়যন্ত্র বা এজেন্সি থেকে কোনো অপচেষ্টা চালানো হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা ছাত্ররা কমিটেড (অঙ্গীকারবদ্ধ), যারা নির্যাতিত–নিপীড়িত, হত্যার শিকার হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কাছে কমিটেড আওয়ামী লীগের কোনো রিফর্ম হতে দেওয়া যাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সেনানিবাসে সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হওয়া আলোচনাকে রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, সেটি হচ্ছে আমরা মনে করছি, রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি রাজনীতিবিদেরাই নির্ধারণ করবেন—রাজনীতির ঘটনাপ্রবাহ বা চলমান যা কিছুই, পরবর্তী রাজনীতি কোন দিকে যাবে, সেটি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত। তো সেই জায়গায় আমরা সন্দিহান বলেই গতকাল আমার স্ট্যাটাস দিতে হয়েছে।’
এর আগে হাসনাত আবদুল্লাহ গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি দাবি করেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা চলছে। এটি পুরোপুরি ভারতের পরিকল্পনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরীন শারমিন ও ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
হাসনাতের ভাষ্য, ‘১১ মার্চ সেনানিবাসে আমাদের দুজনের কাছে এমন একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে। আমাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদের বলা হয়, ইতিমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা নাকি ভালো।’
সেনানিবাসে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে হাসনাত বলেন, ‘আপনারা জানেন যে বর্তমানে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আমাদের আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিছুদিন আগে আপনারা সেনাপ্রধানের একটি বক্তব্য দেখেছেন, যে বক্তব্যকে আমি ব্যক্তিগতভাবে বা আমরা অনেকেই রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অসমীচীন হিসেবে ধরি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে যেভাবে অ্যাড্রেস করা হয়েছে, যে ইনক্লুসিভ নির্বাচনের ইঙ্গিত করা হয়েছে আওয়ামী লীগসহ, তো সার্বিক বিষয়ে আলোচনার কথা বলা হয়েছে, সে জন্য গিয়েছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, ‘দেখুন, ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা শক্তি ছিল, এজেন্সি ছিল। সরকারপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে ছিল, তখন তো আমরা বারবার বলেছি, লড়াই চলমান, এখনো সে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ রয়েছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি অনুভব করছি না।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আপনারা কোথাও দেখেছেন যে আওয়ামী লীগ অনুশোচনা ফিল করেছে? ওরা যে একটা গণহত্যা চালাইছে, এটা তো স্বীকারও করেনি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট বলতে চাই, আওয়ামী লীগের আগে বিচার নিশ্চিত করতে হবে, তাকে দল হিসেবে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধ স্বীকার করতে হবে, তারপর অন্য কোনো আলোচনা হলে হতে পারে, এর আগে কোনো আলোচনা নয়।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের পরে বলেছি, আওয়ামী লীগের নাম, মার্কা ও আদর্শ—এই তিনটি হচ্ছে অপ্রাসঙ্গিক। এখানে যদি বিদেশি ষড়যন্ত্র অথবা দেশি ষড়যন্ত্র বা এজেন্সি থেকে কোনো অপচেষ্টা চালানো হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা ছাত্ররা কমিটেড (অঙ্গীকারবদ্ধ), যারা নির্যাতিত–নিপীড়িত, হত্যার শিকার হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কাছে কমিটেড আওয়ামী লীগের কোনো রিফর্ম হতে দেওয়া যাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে—প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্যকে ‘অস্পষ্ট’ অভিহিত করে অবিলম্বে ‘স্পষ্ট রোডম্যাপ’ ঘোষণার দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘৭১ ও ২৪ আলাদা কিছু নয়, বরং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একাত্তরের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হওয়ার পর প্রথমবারের মতো নিজ জেলা পঞ্চগড়ে সফরে যান সারজিস আলম। কিন্তু শতাধিক গাড়িবহর নিয়ে শোডাউন করায় তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও নিজ দলের নেতা তাসনিম জারা এই মহড়ার উৎস ও অর্থায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাসনিম জারা ফ
১৪ ঘণ্টা আগে