নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার জন্য সরকারকে দায়ী করছে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। শিক্ষার্থীদের একটি শান্তিপূর্ণ, অরাজনৈতিক আন্দোলনকে উদ্দেশ্য করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকলাপ, কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট বন্ধসহ সরকারের নানান ভূমিকায় নাখোশ দলটির নেতা-কর্মীরা।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীর জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দেশের চলমান অবস্থায় দিকনির্দেশনা ও দলের করণীয় নির্ধারণ করতে জরুরি যৌথ সভার আয়োজন করে জাতীয় পার্টি। সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের ৪২ জন নেতা বক্তব্য দেন। সভায় তাঁরা উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করে সরকারের সামগ্রিক ভূমিকার চরম সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে শহীদদের তালিকা প্রকাশ; ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও ভুক্তভোগীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ নানান দাবি জানিয়েছে দলটি।
সভায় সরকারের সমালোচনার বিষয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজনকেও দেখি নাই সরকারের পক্ষে আলোচনা করতে, এমপিরাও সরকারের সমালোচনা করেছে। এতগুলো মৃত্যু হয়েছে, টিভি, পত্রিকা সংবাদ প্রচার করতে পারছে না। কেন দেখাচ্ছে না? সরকার দেখাতে বাধা দিচ্ছে। পাকিস্তান আমলেও কোনো আন্দোলনে এত ছাত্র-জনতা হত্যা হয় নাই।’
আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন আজকের পত্রিকাকে জানান, সভায় দলের পক্ষে যাঁরাই বক্তব্য রেখেছেন, তাঁরা সকলেই সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান তিনি। লোটন বলেন, `ন্যায়সংগত দাবির কারণে গুলি করে মেরে ফেলবে, ধরে নিয়ে যাবে এগুলো মেনে নেওয়া যায় না। এগুলোর সঙ্গে আমরা কম্প্রোমাইজ করতে রাজি না। সরকারের যে ভূমিকা তার প্রতিবাদ জানিয়ে আসন্ন সংসদ অধিবেশনে জাপা যেন ওয়াক আউট করে সেই প্রস্তাব রেখেছি।’
জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান খলিল আজকের পত্রিকাকে জানান, সরকার এবং সরকারের মন্ত্রীদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণেই বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হয়নি, তবে যেসব মন্ত্রী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেননি, তাঁদের পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে।’
সভা শেষে শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনে জাতীয় পার্টির সমর্থন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সভার বিভিন্ন সিদ্ধান্তসমূহ গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে শহীদদের তালিকা প্রকাশ; ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার; ছাত্রদের নামে দায়ের সকল মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার সকল ছাত্র ও নেতাদের মুক্তি; নিহতদের পরিবার পরিজনকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসা; দেশের ইন্টারনেটসহ সকল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসমূহ খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ সময় তিনি চুন্নু বলেন, সরকারের অনেকগুলো ভুল পদক্ষেপের কারণে বর্তমান সংকট তৈরি হয়েছে। সরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে এমন অবস্থা তৈরি হতো না।
তিনি পুরো ঘটনায় হতাহতদের সঠিক হিসাব নিরূপণের জন্য একটি কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কতজন মারা গেল তা নিয়ে এখনো অনেক সংশয় আছে। সরকার যা বলছে তাতে মানুষের আস্থা নেই। পত্রপত্রিকা-টিভিতেও পুরো হিসাব আসছে না।
যেসব সরকারি ভবন ও দপ্তরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে সেসব রক্ষা করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘জনগুরুত্বপূর্ণ বা কেপিআই এলাকা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। তারা এগুলো রক্ষা করতে পারেনি। এই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সংশ্লিষ্টদের চলে যাওয়া উচিত। সরকারি স্থাপনাগুলো রক্ষায় তাদের কোনো উদ্যোগ ছিল না।’
বিএনপির আহ্বান করা ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, ‘এটা বিএনপির বিষয়, তাদের এটা নিয়ে আমাদের কোনো ভাবনা নেই।’
সরকারের এমন ভূমিকার প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির রাজপথে কোনো কর্মসূচি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আপনারা আমাদের মাঠে দেখতে পাবেন।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার জন্য সরকারকে দায়ী করছে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। শিক্ষার্থীদের একটি শান্তিপূর্ণ, অরাজনৈতিক আন্দোলনকে উদ্দেশ্য করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকলাপ, কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট বন্ধসহ সরকারের নানান ভূমিকায় নাখোশ দলটির নেতা-কর্মীরা।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীর জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দেশের চলমান অবস্থায় দিকনির্দেশনা ও দলের করণীয় নির্ধারণ করতে জরুরি যৌথ সভার আয়োজন করে জাতীয় পার্টি। সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের ৪২ জন নেতা বক্তব্য দেন। সভায় তাঁরা উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করে সরকারের সামগ্রিক ভূমিকার চরম সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে শহীদদের তালিকা প্রকাশ; ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও ভুক্তভোগীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ নানান দাবি জানিয়েছে দলটি।
সভায় সরকারের সমালোচনার বিষয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজনকেও দেখি নাই সরকারের পক্ষে আলোচনা করতে, এমপিরাও সরকারের সমালোচনা করেছে। এতগুলো মৃত্যু হয়েছে, টিভি, পত্রিকা সংবাদ প্রচার করতে পারছে না। কেন দেখাচ্ছে না? সরকার দেখাতে বাধা দিচ্ছে। পাকিস্তান আমলেও কোনো আন্দোলনে এত ছাত্র-জনতা হত্যা হয় নাই।’
আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন আজকের পত্রিকাকে জানান, সভায় দলের পক্ষে যাঁরাই বক্তব্য রেখেছেন, তাঁরা সকলেই সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান তিনি। লোটন বলেন, `ন্যায়সংগত দাবির কারণে গুলি করে মেরে ফেলবে, ধরে নিয়ে যাবে এগুলো মেনে নেওয়া যায় না। এগুলোর সঙ্গে আমরা কম্প্রোমাইজ করতে রাজি না। সরকারের যে ভূমিকা তার প্রতিবাদ জানিয়ে আসন্ন সংসদ অধিবেশনে জাপা যেন ওয়াক আউট করে সেই প্রস্তাব রেখেছি।’
জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান খলিল আজকের পত্রিকাকে জানান, সরকার এবং সরকারের মন্ত্রীদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণেই বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হয়নি, তবে যেসব মন্ত্রী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেননি, তাঁদের পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে।’
সভা শেষে শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনে জাতীয় পার্টির সমর্থন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সভার বিভিন্ন সিদ্ধান্তসমূহ গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে শহীদদের তালিকা প্রকাশ; ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার; ছাত্রদের নামে দায়ের সকল মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার সকল ছাত্র ও নেতাদের মুক্তি; নিহতদের পরিবার পরিজনকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসা; দেশের ইন্টারনেটসহ সকল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসমূহ খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ সময় তিনি চুন্নু বলেন, সরকারের অনেকগুলো ভুল পদক্ষেপের কারণে বর্তমান সংকট তৈরি হয়েছে। সরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে এমন অবস্থা তৈরি হতো না।
তিনি পুরো ঘটনায় হতাহতদের সঠিক হিসাব নিরূপণের জন্য একটি কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কতজন মারা গেল তা নিয়ে এখনো অনেক সংশয় আছে। সরকার যা বলছে তাতে মানুষের আস্থা নেই। পত্রপত্রিকা-টিভিতেও পুরো হিসাব আসছে না।
যেসব সরকারি ভবন ও দপ্তরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে সেসব রক্ষা করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘জনগুরুত্বপূর্ণ বা কেপিআই এলাকা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। তারা এগুলো রক্ষা করতে পারেনি। এই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সংশ্লিষ্টদের চলে যাওয়া উচিত। সরকারি স্থাপনাগুলো রক্ষায় তাদের কোনো উদ্যোগ ছিল না।’
বিএনপির আহ্বান করা ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, ‘এটা বিএনপির বিষয়, তাদের এটা নিয়ে আমাদের কোনো ভাবনা নেই।’
সরকারের এমন ভূমিকার প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির রাজপথে কোনো কর্মসূচি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আপনারা আমাদের মাঠে দেখতে পাবেন।’
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১৫ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ দিন আগে