গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ৪২
Thumbnail image
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের আয়োজনে ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল-জুলাই গণঅভ্যুত্থান’—শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন, তাঁকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে।’

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল আয়োজিত ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল—জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ফয়জুল হাকিম এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিচারণা করেন। এতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি কমরেড বদরুদ্দীন উমর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।

ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর গণদুশমন, ফ্যাসিবাদের দোসর, খুনি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি অনেকে পালিয়ে গেছেন। কীভাবে তাঁরা পালিয়ে যান, কারা তাঁদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন—তাঁদের কি চিহ্নিত করা হয়েছে?’

অন্তর্বর্তী সরকারে মেহনতি মানুষের প্রতিনিধি নেই জানিয়ে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের এই নেতা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর এই সরকার গঠিত হলে এই সংগ্রামে যারা নিহত হয়েছেন, প্রতিরোধ যাঁরা গড়ে তুলেছিলেন, বিশেষ করে যাঁরা গরিব মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ, মেহনতি মানুষ, তাঁদের একটা প্রতিনিধিত্ব থাকত। কিন্তু আমরা দেখেছি, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত শ্রমজীবী জনগণ তাঁরা মুক্তি কোন পথে, তার সন্ধান করছেন।’

সংবিধান বিষয়ে ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘এই জনপদে বহু আন্দোলন হয়েছে। সংবিধান পড়লে মনে হয়, শুধু পাকিস্তান আমলে আন্দোলন হয়েছে। ইতিহাসের পাতা খুলে দেখুন, ব্রিটিশ উপনিবেশ শাসনের বিরুদ্ধে কত কৃষক বিদ্রোহ হয়েছে, কত ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ হয়েছে, তিতুমীরের বিদ্রোহ হয়েছে! ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই, এই সংবিধান পড়লে তো বোঝা যায় না। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের জন্য। সংবিধান সভার নির্বাচন দিতে হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনগণকে সমান অধিকার দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি মঈনউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত