নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারের পদত্যাগই দেশের বিরাজমান সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দাবি না মানলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ঘোষণা দেন তিনি।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন তো রাজপথই একমাত্র সমাধান। সরকার যদি নিজেরা উদ্যোগ না নেয়, আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেয় তাহলে রাজপথেই সমাধান হবে।’
রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপির অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। বিএনপি হচ্ছে একমাত্র বিকল্প যারা এই সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে পারে।’
সরকার পুরোপুরিভাবে গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একদিকে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে এবং তারা (সরকার) বিভিন্ন খাতে ব্যর্থ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। এই বিষয়গুলোতে সরকার এমনিতেই কোণঠাসা আছে। আমরা আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী এবার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে আমরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরিবর্তন করব।’
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে করণীয় কী, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। সরকারের পদত্যাগই হচ্ছে একমাত্র সমাধান। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সংলাপের কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে রাজপথে সমাধান হবে।’
বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচি নিয়ে আসবে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকেই আমরা আন্দোলন করছি। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যখন রাস্তায় নামব, তখনই সেটা ঠিক করব। আন্দোলনই বলে দেবে তার ধারা কোন দিকে যাবে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এরই মধ্যে তার প্রভাবও পড়েছে। গ্যাসও পুরোপুরি আমদানিনির্ভর করেছে সরকার। দুর্ভাগ্যক্রমে এই সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেও নিজেদের গ্যাস উত্তোলনের কোনো ব্যবস্থা করেনি। ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সার কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গার্মেন্টস সেক্টর বিপদে পড়েছে। গ্যাস না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সব কল-কারখানা জ্বালানি সংকটে ভুগছে। পরিবহন খরচও বেড়ে যাচ্ছে। অনেক ধরনের বড় সংকট তৈরি হচ্ছে।’
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন না করলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার যদি দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা, মারামারি-কাটাকাটি দেখতে না চায়, তাহলে অবশ্যই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্রুত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে মিল দেখছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমে যাওয়া, বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংকট, লোডশেডিংসহ অনেক কিছুই দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। সেটাই আমরা বারবার সতর্ক করে আসছি।’
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ আনেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। সেখানে সেই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তিনি এ কথাও বলেছিলেন যে, আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে নির্বাচনটি সুষ্ঠু হবে, সেই দিন থেকে কোনো ধরপাকড় হবে না, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, কোনোরকম বাধা দেওয়া হবে না। আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে সেই নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। কয়েক দিন পর থেকেই তিনি ধরপাকড় শুরু করেছিলেন এবং যত রকমের নির্যাতন-নিপীড়ন করা দরকার বিরোধী দলের ওপর তা-ই করেছিলেন।’
বিদেশি গণমাধ্যমে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা কাদির কল্লোল, সদস্যসচিব জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডিপিএর প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মিঠুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও বিদেশি গণমাধ্যমের বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সরকারের পদত্যাগই দেশের বিরাজমান সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দাবি না মানলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ঘোষণা দেন তিনি।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন তো রাজপথই একমাত্র সমাধান। সরকার যদি নিজেরা উদ্যোগ না নেয়, আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেয় তাহলে রাজপথেই সমাধান হবে।’
রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপির অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। বিএনপি হচ্ছে একমাত্র বিকল্প যারা এই সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে পারে।’
সরকার পুরোপুরিভাবে গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একদিকে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে এবং তারা (সরকার) বিভিন্ন খাতে ব্যর্থ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। এই বিষয়গুলোতে সরকার এমনিতেই কোণঠাসা আছে। আমরা আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী এবার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে আমরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরিবর্তন করব।’
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে করণীয় কী, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। সরকারের পদত্যাগই হচ্ছে একমাত্র সমাধান। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সংলাপের কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে রাজপথে সমাধান হবে।’
বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচি নিয়ে আসবে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকেই আমরা আন্দোলন করছি। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যখন রাস্তায় নামব, তখনই সেটা ঠিক করব। আন্দোলনই বলে দেবে তার ধারা কোন দিকে যাবে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এরই মধ্যে তার প্রভাবও পড়েছে। গ্যাসও পুরোপুরি আমদানিনির্ভর করেছে সরকার। দুর্ভাগ্যক্রমে এই সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেও নিজেদের গ্যাস উত্তোলনের কোনো ব্যবস্থা করেনি। ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সার কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গার্মেন্টস সেক্টর বিপদে পড়েছে। গ্যাস না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সব কল-কারখানা জ্বালানি সংকটে ভুগছে। পরিবহন খরচও বেড়ে যাচ্ছে। অনেক ধরনের বড় সংকট তৈরি হচ্ছে।’
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন না করলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার যদি দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা, মারামারি-কাটাকাটি দেখতে না চায়, তাহলে অবশ্যই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্রুত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে মিল দেখছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমে যাওয়া, বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংকট, লোডশেডিংসহ অনেক কিছুই দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। সেটাই আমরা বারবার সতর্ক করে আসছি।’
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ আনেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। সেখানে সেই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তিনি এ কথাও বলেছিলেন যে, আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে নির্বাচনটি সুষ্ঠু হবে, সেই দিন থেকে কোনো ধরপাকড় হবে না, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, কোনোরকম বাধা দেওয়া হবে না। আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে সেই নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। কয়েক দিন পর থেকেই তিনি ধরপাকড় শুরু করেছিলেন এবং যত রকমের নির্যাতন-নিপীড়ন করা দরকার বিরোধী দলের ওপর তা-ই করেছিলেন।’
বিদেশি গণমাধ্যমে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা কাদির কল্লোল, সদস্যসচিব জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডিপিএর প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মিঠুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও বিদেশি গণমাধ্যমের বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তাঁদের দায়িত্ব হচ্ছে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা এবং ভোটের একটা সময় নির্ধারণ করা। সে জন্য আমরা বলছি, অতি দ্রুত একটি নির্বাচনী রোডম্য
৮ ঘণ্টা আগেদেশের শত্রুরা পেছনে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি
৯ ঘণ্টা আগেসাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. জয়নুল আবদীন ফারুককে দুর্নীতির একটি মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এসএম জিয়াউর রহমান রায়ে খালাসের এই আদেশ দেন।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবের মূল অংশে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র পরিবর্তনের বিধান ১৫ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যা করেছিল সেগুলোসহ কিছু নতুন প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।
১৪ ঘণ্টা আগে