নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের আওতায় আনাসহ চার দফা দাবিতে বাংলাদেশ যুবলীগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
দাবিগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
যুবলীগের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা। এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর ও বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
যুবলীগের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দাবিগুলো নিয়ে আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনে যাব। আমাদের দাবি অত্যন্ত পরিষ্কার। ১৯৭৫ সালে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড যে জিয়াউর রহমান, সেটি জনসাধারণের কাছে পরিষ্কার। কারণ তারাই এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তারাই বন্দুকের নল উঁচু করে দল গঠন করেছে। তারা সন্ত্রাস দ্বারা সৃষ্টি। এই সংগঠন বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে যে নির্যাতন করেছে; একাত্তরের আদলে তারা যেভাবে সন্ত্রাস, নির্যাতন, খুন, রাহাজানি করেছে; আমরা নৈতিকভাবে মনে করি বিএনপি-জামায়াতের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।’
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘দ্বিতীয়ত আমরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। এটি আজকের যুবসমাজ এবং প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে যারা সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেই সব নাগরিকের প্রত্যাশা। এটা না হলে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। তাই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি এবং একটি ন্যায্য দাবি বলে আমরা মনে করি। এই দাবি আজকে আমরা উপস্থাপন করার জন্য এসেছি।’
পরশ বলেন, ‘এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে যে ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ড হয়েছে, এর মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষ শক্তিকে সর্বোপরি আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে। সেই রায় কার্যকর করার জন্য আমরা চাই খুনি তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সে বিদেশ থেকে ন্যক্কারজনক কার্যকলাপ করে যাচ্ছে, সন্ত্রাস করছে। গতকাল আমাদের যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। প্রায় ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। আমাদের দাবি, বিএনপি-জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে, যাতে তারা এ দেশে রাজনীতি করতে না পারে।’
পরশ আরো বলেন, ‘এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে যে পলাতক খুনিরা রয়েছেন এবং তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় দাঁড় করালেই আমাদের প্রকৃতপক্ষে যে প্রগতি, উন্নয়ন ও মূল্যবোধের যে উৎকর্ষ সাধন, সেগুলো পরিপূর্ণতা লাভ করবে। একটি সভ্য দেশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বদরবারে আমাদের মর্যাদা দিয়েছেন, আমাদের নাম দিয়েছেন। সেই নামের ধারাবাহিকতা আগামী প্রজন্ম টেনে নিয়ে যাবে—এই প্রত্যাশা আমরা ব্যক্ত করছি।’
স্মারকলিপি গ্রহণের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা দরকার, সেটা আমরা করব। আমরা সমস্ত ঘটনা জানি। ইতিমধ্যে তারেক জিয়া ও তাঁর স্ত্রী আদালত দ্বারা দণ্ডিত। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যা যা করার আমরা করব।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় সবগুলো যৌক্তিক দাবি, আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেব।’
তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের আওতায় আনাসহ চার দফা দাবিতে বাংলাদেশ যুবলীগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
দাবিগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
যুবলীগের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা। এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর ও বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
যুবলীগের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দাবিগুলো নিয়ে আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনে যাব। আমাদের দাবি অত্যন্ত পরিষ্কার। ১৯৭৫ সালে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড যে জিয়াউর রহমান, সেটি জনসাধারণের কাছে পরিষ্কার। কারণ তারাই এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তারাই বন্দুকের নল উঁচু করে দল গঠন করেছে। তারা সন্ত্রাস দ্বারা সৃষ্টি। এই সংগঠন বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে যে নির্যাতন করেছে; একাত্তরের আদলে তারা যেভাবে সন্ত্রাস, নির্যাতন, খুন, রাহাজানি করেছে; আমরা নৈতিকভাবে মনে করি বিএনপি-জামায়াতের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।’
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘দ্বিতীয়ত আমরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। এটি আজকের যুবসমাজ এবং প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে যারা সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেই সব নাগরিকের প্রত্যাশা। এটা না হলে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। তাই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি এবং একটি ন্যায্য দাবি বলে আমরা মনে করি। এই দাবি আজকে আমরা উপস্থাপন করার জন্য এসেছি।’
পরশ বলেন, ‘এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে যে ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ড হয়েছে, এর মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষ শক্তিকে সর্বোপরি আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে। সেই রায় কার্যকর করার জন্য আমরা চাই খুনি তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সে বিদেশ থেকে ন্যক্কারজনক কার্যকলাপ করে যাচ্ছে, সন্ত্রাস করছে। গতকাল আমাদের যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। প্রায় ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। আমাদের দাবি, বিএনপি-জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে, যাতে তারা এ দেশে রাজনীতি করতে না পারে।’
পরশ আরো বলেন, ‘এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে যে পলাতক খুনিরা রয়েছেন এবং তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় দাঁড় করালেই আমাদের প্রকৃতপক্ষে যে প্রগতি, উন্নয়ন ও মূল্যবোধের যে উৎকর্ষ সাধন, সেগুলো পরিপূর্ণতা লাভ করবে। একটি সভ্য দেশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বদরবারে আমাদের মর্যাদা দিয়েছেন, আমাদের নাম দিয়েছেন। সেই নামের ধারাবাহিকতা আগামী প্রজন্ম টেনে নিয়ে যাবে—এই প্রত্যাশা আমরা ব্যক্ত করছি।’
স্মারকলিপি গ্রহণের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা দরকার, সেটা আমরা করব। আমরা সমস্ত ঘটনা জানি। ইতিমধ্যে তারেক জিয়া ও তাঁর স্ত্রী আদালত দ্বারা দণ্ডিত। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যা যা করার আমরা করব।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় সবগুলো যৌক্তিক দাবি, আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেব।’
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১১ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগে