গত সাত দশক ধরে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা জনগণের পাশে রয়েছেন, কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয়। আজ মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন। 

সরকার নাকি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে—বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে? সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।’ 

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনো দিচ্ছে না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনো দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।’ 

স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র—এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যা বলে, করে তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলে, অথচ এর সব কটি তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।’ 

বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোনো অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন ওবায়দুল কাদের। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝে বলেই বঙ্গবন্ধুকন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন।