দেশের মানুষকে বিভিন্ন মুখরোচক কথা বলে বিএনপি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ রোববার রাজধানীর কাকরাইলের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে জাতীয় স্যানিটেশন মাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপি দেশের মানুষকে স্বর্গের স্বপ্ন দেখাচ্ছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে দেশকে তারা নরক বানিয়ে রেখেছিল। এখন তারা নতুনভাবে অনেক রকম মুখরোচক কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের ভয়ংকর শাসনামল সম্পর্কে দেশের মানুষ ভালোভাবেই অবগত আছে।’ 

কারও মিথ্যা আশ্বাসে বিভ্রান্ত না হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগতভাবে আমাদের ভিন্নতা থাকতে পারে; কিন্তু দিন শেষে সবাই এ দেশের মানুষ। দেশটাকে নিয়ে অনেক সময় অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সকল অপশক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।’ 

দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় এসেছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক খাত। মন্ত্রী বলেন, ‘সকলের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ ও শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি, যা এখন পর্যন্ত আমরা স্পর্শ করতে পারিনি। দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-ছাত্রসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।’ 

বর্তমানে দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে দাবি করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও স্যানিটেশন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্যানিটেশনকে সব সময় সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। ফলে বর্তমান সময়ে দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থায় দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে।’ 

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি ভিরা মেনডোনকা, ডিপিএইচইর প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান প্রমুখ।