‘সাবেক আইজিপি বা সেনাপ্রধান, দোষী হলে কাউকেই বাঁচাতে যাবে না সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ মে ২০২৪, ১৪: ২২
Thumbnail image

বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) স্বাধীন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সেখানে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা তাঁকে প্রটেক্ট করতে যাব না। এমনকি তিনি সাবেক আইজিপি (বেনজীর আহমেদ) বা সেনাপ্রধান (আজিজ আহমেদ) হলেও।’ 

দুদকের মামলায় গতকাল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশনা দেন আদালত। আর সম্প্রতি সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মূলত এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি দেখতে হবে। কোনো ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক—অপরাধ করতে পারে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, অপরাধের শাস্তি নিশ্চিতের ব্যাপারে সরকার সৎসাহস দেখিয়েছে কি না। শেখ হাসিনা সরকারের সেই সৎসাহস আছে। কেউ পার পাবে না। বিচার বিভাগ, দুদক স্বাধীন। সেখানে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা তাকে প্রটেক্ট করতে যাব না। সেখানে কোনো সাবেক আইজিপি বা কোনো সাবেক সেনাপ্রধান যেই হোক না কেন, সরকারের কাউকে প্রোটেকশন দেওয়ার বিষয় নেই।’ 

আবরার হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্তদের সবাই ছাত্রলীগের উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার তাদের প্রোটেকশন দিতে যায়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে যাদের ফাঁসি হয়েছিল, তাদেরও সরকার প্রোটেকশন দিতে যায়নি। কথা হচ্ছে, ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে এবং সরকার তাদের প্রোটেকশন দিচ্ছে কি না। শেখ হাসিনা সরকারের এখানে জিরো টলারেন্স। অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে।’ 

এদিকে, গত মঙ্গলবার ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নেত্রকোনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মানু মজুমদার। শুক্রবার সকালে তাঁর মরদেহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হয়। সেখানে তাঁকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

মানু মজুমদারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খুবই প্রচারবিমুখ ছিলেন। কখনো তাঁকে ক্যামেরার সামনে মুখ দেখানো, চেহারা দেখানো এবং এর জন্য আমাদের কিছু কিছু লোকের যে প্রবণতা সেটা মানু মজুমদারের মধ্যে কখনো দেখিনি। তিনি আমাদের সংসদ সদস্য ছিলেন। গত সংসদে তিনি ছিলেন।’ 

আওয়ামী লীগের প্রয়াত এই নেতা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যে প্রতিরোধ যোদ্ধা নামে একটি সংগঠন জন্ম নিয়েছিল, তিনি সেটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সুদীর্ঘ ১৩ বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। আমার সঙ্গে জেলেও দেখা হয়েছিল।’ 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত