হেফাজতের সঙ্গে বিএনপির কোনো সংযোগ নেই: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২১, ১৮: ৩৩

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছি। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে হত্যার বিচার চেয়েছি। আমাদের নৈতিক এ চাওয়াকে সরকার ও কিছু গণমাধ্যম ভিন্নভাবে প্রচার করছে।বলা হচ্ছে হেফাজতের কর্মসূচিতে বিএনপির সমর্থন ছিল। বিএনপির ইন্ধন ও উস্কানিতে হেফাজত কর্মীরা দেশব্যাপি তাণ্ডব চালিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট উত্তর, হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এবং তাদের সাথে আমাদের কোন সংযোগ নেই।   

আজ মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার প্রচার চালাচ্ছে আমরা হেফাজতকে সমর্থন ও উস্কানি দিয়েছি। হেফাজতকে উস্কানি দিয়েছে সরকার। তারা বায়তুল মোকাররমে সাধারণ একটি বিক্ষোভ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও পুলিশ তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। হেফাজতের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের এক নেতা গুলি করেছে, সেই ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশও হয়েছে।    

সোমবার ও মঙ্গলবার বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলা, মামলা, গ্রেফতার, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, পুলিশ ও সরকারদলের লোকজন যৌথভাবে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি চলাকালে  পুলিশ ও সরকারদলের লোকেরা আমাদের নেতাকর্মীদের বেধড়ক লাঠিচার্জ করে গুরুতর আহত করেছে। কোথাও কোথাও দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের দাবি করছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সভা-সমাবেশ করা মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। অথচ ভোটবিহীন সরকার তাদের অনৈতিক ও ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে সভা-সমাবেশে হামলা, মামলা, গ্রেফতারসহ দমন, নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন,  করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নের কোনও লক্ষণ দেখছি না। সরকারের উদ্যোগটা কোথায়? সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ থাকবে, সেটি কোথায়?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি করোনার এই পরিস্থিতিতে বিএনপির কর্মসূচি পালন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি তো আগেই স্থগিত করেছি। বর্তমানে সাধারণ মানুষের উপর হামলার কারণে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধ্য হয়েছি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, করোনার সংক্রমন বাড়ছে, আমাদের অনেক নেতা কর্মী আক্রান্ত হয়েছে। অল্প বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছে। ঠিক মতো করোনার টেস্ট হচ্ছে না। আমার ধারণা ১০ শতাংশও করোনা টেষ্ট হচ্ছে না। সরকার কখনই করোনার বিষয়টি সঠিকভাবে উপলব্ধি করেনি। সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবের আগেই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। অবিলম্বে এসব অনুষ্ঠান বন্ধ করা দরকার। কিন্তু সরকার গত বছর মার্চেও উৎসব পালন বন্ধ করেনি। এবারও তারা উৎসব পালন বন্ধ করেনি। যখন তাদের বিদেশি মেহমান ও মহারথিরা চলে গেছে, তখন করোনার বিষয়টি আবারও সামনে এনেছে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ্  প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত