নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কারাগারে থাকাকালীন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল কি না, জানতে চেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বন্দী থাকা অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল কি না, এটি আমরা পরিষ্কার করে জানতে চাই। এদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। যারা জোর করে আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে থাকতে পারে, যে অবলীলায় ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে পার, অবলীলায় গণতন্ত্র আন্দোলনের কর্মীদের গুলি করে হত্যা করতে পারে, তাদের পঙ্গু করে দিতে পারে, যারা আমাদের ৫০০ নেতাকর্মীকে গুম করে দিতে পারে, তাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মন্ত্রীরা চাইলেও একজনের কারণে বিদেশে যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া। মন্ত্রীরা বলছেন, জনগণ বলছে, সবাই বলছে বিদেশি চাপ আছে, কিন্তু তিনি কারও কথা শুনছেন না। শুধু প্রতিহিংসার কারণে তিনি কারও কথা শুনছেন না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া এতটাই অসুস্থ যে তাঁকে দেশে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে শুধু নয়, তাকে জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে সরকার।
খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিত্যক্ত কারাগারে রেখে খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে রেখেও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় আজ দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন।’
সরকার এই দেশকে বিক্রি করে দিয়েছে—এমন অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রকে তারা পুরোপুরি নির্বাসনে পাঠিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গণতন্ত্রের সভায় বাংলাদেশের নাম না থাকাই তার প্রমাণ।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য লাখ লাখ পুলিশ নিয়োগ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই পুলিশদের নিয়োগ করা হয় দলীয় ভিত্তিতে এবং কনস্টেবলদের জন্য কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এখন সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরমভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু একটা জায়গায় তারা ব্যর্থ হয় নাই। গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন, আমাদের বেঁচে থাকার যে আন্দোলন, বিরোধী দলের যে আন্দোলন, ভোট দেওয়ার জন্য যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন দমন করতে তারা সিদ্ধহস্ত।
বক্তব্য রাখার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আহ্বান জানান কর্মীরা। এতে মির্জা ফখরুল কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, `আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কৌশলগতভাবে কর্মসূচি পালন করতে হবে। সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে বাধ্য করা হবে।'
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, কামাল আনোয়ার আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কারাগারে থাকাকালীন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল কি না, জানতে চেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বন্দী থাকা অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল কি না, এটি আমরা পরিষ্কার করে জানতে চাই। এদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। যারা জোর করে আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে থাকতে পারে, যে অবলীলায় ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে পার, অবলীলায় গণতন্ত্র আন্দোলনের কর্মীদের গুলি করে হত্যা করতে পারে, তাদের পঙ্গু করে দিতে পারে, যারা আমাদের ৫০০ নেতাকর্মীকে গুম করে দিতে পারে, তাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মন্ত্রীরা চাইলেও একজনের কারণে বিদেশে যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া। মন্ত্রীরা বলছেন, জনগণ বলছে, সবাই বলছে বিদেশি চাপ আছে, কিন্তু তিনি কারও কথা শুনছেন না। শুধু প্রতিহিংসার কারণে তিনি কারও কথা শুনছেন না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া এতটাই অসুস্থ যে তাঁকে দেশে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে শুধু নয়, তাকে জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে সরকার।
খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিত্যক্ত কারাগারে রেখে খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে রেখেও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় আজ দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন।’
সরকার এই দেশকে বিক্রি করে দিয়েছে—এমন অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রকে তারা পুরোপুরি নির্বাসনে পাঠিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গণতন্ত্রের সভায় বাংলাদেশের নাম না থাকাই তার প্রমাণ।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য লাখ লাখ পুলিশ নিয়োগ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই পুলিশদের নিয়োগ করা হয় দলীয় ভিত্তিতে এবং কনস্টেবলদের জন্য কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এখন সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরমভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু একটা জায়গায় তারা ব্যর্থ হয় নাই। গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন, আমাদের বেঁচে থাকার যে আন্দোলন, বিরোধী দলের যে আন্দোলন, ভোট দেওয়ার জন্য যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন দমন করতে তারা সিদ্ধহস্ত।
বক্তব্য রাখার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আহ্বান জানান কর্মীরা। এতে মির্জা ফখরুল কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, `আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কৌশলগতভাবে কর্মসূচি পালন করতে হবে। সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে বাধ্য করা হবে।'
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, কামাল আনোয়ার আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়েছে এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এদেশে বিপন্ন অবস্থায় আছে বলে ক্রমাগত প্রচারণা চালাচ্ছে ভারত। বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিস
১ ঘণ্টা আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন অব্যাহতির এ আদেশ দেন
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়ের করা কর ফাঁকি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের দায়ের করা চাঁদাবাজির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক রেজাউল করিম ও ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো
২ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’ আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রি
২ ঘণ্টা আগে