নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। এখন বিদ্যুৎ, এরপরে জ্বালানি তেল, এরপর দেখবেন খাজাঞ্চিখানা শূন্য হচ্ছে, রিজার্ভ শেষ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়ে আকাশচুম্বী হচ্ছে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আর দফাটফা নাই। এখন এক দফা, এক দাবি—এই মুহূর্তে পদত্যাগ করো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করো। একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এই সংসদ বাতিল করো এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দাও। আর সময় নেই, এখন জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতিবাজ সরকারকে একটা ধাক্কা দিতে হবে। দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান।’
সমাবেশে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হাতে হ্যারিকেন নিয়ে এসেছিলেন বিএনপির নারী নেত্রী ও কর্মীরা। তাঁদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই হ্যারিকেনটা গণভবনে হাসিনার কাছে পাঠিয়ে দেন। তাঁর হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দেন। শুধু এই মিটিংয়ের মধ্যে হ্যারিকেন নিয়ে এলে হবে না। যখনই অন্ধকার আসবে, যখনই লোডশেডিং হবে, তখনই হ্যারিকেন আর মোমবাতি নিয়ে বের হবেন। কারণ এই মোমবাতি ও হ্যারিকেন নিয়ে বের না হলে আমরা আলোকিত হব না।’
সরকারের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। লুট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২২ সালে শুধু বিদ্যুৎ খাতে লোকসান হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।’
অন্যান্য বছর মিলিয়ে লাখো কোটি টাকা লোকসান ছাড়িয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগেই আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা হাতিরঝিলে আতশবাজি ফুটিয়ে উৎসব করে ঘোষণা দিল, দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে লোডশেডিং-মুক্ত হয়েছে। আর এখন শহরে দুই-তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ যায় আর গ্রামে যেখানে এখন বোরোর মৌসুমে, সব চেয়ে বেশি সেচের দরকার, যার জন্য বিদ্যুৎ দরকার, সেখানে সাত-আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না।’
বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই শত শত কোটি টাকা নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সামিট গ্রুপ এক বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা নিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে, বিদ্যুৎ না দিয়ে, ক্যাপাসিটি চার্চের টাকা নিয়ে চলে যায়। আরেক দিকে রয়েছে ন্যাশনাল, ৬ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। দ্য পাওয়ার হোল্ডিং ৬ হাজার ৯২০ কোটি টাকা, ইউনাইটেড গ্রুপ ৪ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা, কেপিপিএল নিয়েছে ৩ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এমন ১০টা কোম্পানি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারাই শত শত কোটি টাকা বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই নিয়ে চলে গেছে।’
কুইক রেন্টালের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বিদ্যুৎ আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করেছিল। এই পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো নিয়ে এসেছিল কোনো টেন্ডার না করেই হাজার হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করে এবং এটার জন্য কোনো মামলা হবে না—এমন ইনডেমনিটি আইন তৈরি করেছে এই সরকার। একদিকে টানেল নির্মাণ করছে, অন্যদিকে মানুষের খাওয়ার টাকা নাই।’ শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ দুই বেলা খাবার পায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা আইএমএফ থেকে টাকা ধার নেব না। আমরা এখনো খুব শক্তিশালী আছি অর্থনীতির মধ্যে। কিন্তু কালকে আমরা পত্রিকায় দেখলাম ৪৫০ বিলিয়ন ডলার তাঁরা ধার চেয়েছেন আইএমএফের কাছে। আপনারা দেখবেন, এই সরকার অনর্গল মিথ্যা কথা বলে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বোকা বানিয়ে রাখে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা শূন্য হয়ে গেছে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরাও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্র এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতাসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক সালাম, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের জেরিন খান, বিএনপির মনোনীত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। এখন বিদ্যুৎ, এরপরে জ্বালানি তেল, এরপর দেখবেন খাজাঞ্চিখানা শূন্য হচ্ছে, রিজার্ভ শেষ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়ে আকাশচুম্বী হচ্ছে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আর দফাটফা নাই। এখন এক দফা, এক দাবি—এই মুহূর্তে পদত্যাগ করো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করো। একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এই সংসদ বাতিল করো এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দাও। আর সময় নেই, এখন জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতিবাজ সরকারকে একটা ধাক্কা দিতে হবে। দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান।’
সমাবেশে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হাতে হ্যারিকেন নিয়ে এসেছিলেন বিএনপির নারী নেত্রী ও কর্মীরা। তাঁদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই হ্যারিকেনটা গণভবনে হাসিনার কাছে পাঠিয়ে দেন। তাঁর হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দেন। শুধু এই মিটিংয়ের মধ্যে হ্যারিকেন নিয়ে এলে হবে না। যখনই অন্ধকার আসবে, যখনই লোডশেডিং হবে, তখনই হ্যারিকেন আর মোমবাতি নিয়ে বের হবেন। কারণ এই মোমবাতি ও হ্যারিকেন নিয়ে বের না হলে আমরা আলোকিত হব না।’
সরকারের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। লুট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২২ সালে শুধু বিদ্যুৎ খাতে লোকসান হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।’
অন্যান্য বছর মিলিয়ে লাখো কোটি টাকা লোকসান ছাড়িয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগেই আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা হাতিরঝিলে আতশবাজি ফুটিয়ে উৎসব করে ঘোষণা দিল, দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে লোডশেডিং-মুক্ত হয়েছে। আর এখন শহরে দুই-তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ যায় আর গ্রামে যেখানে এখন বোরোর মৌসুমে, সব চেয়ে বেশি সেচের দরকার, যার জন্য বিদ্যুৎ দরকার, সেখানে সাত-আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না।’
বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই শত শত কোটি টাকা নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সামিট গ্রুপ এক বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা নিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে, বিদ্যুৎ না দিয়ে, ক্যাপাসিটি চার্চের টাকা নিয়ে চলে যায়। আরেক দিকে রয়েছে ন্যাশনাল, ৬ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। দ্য পাওয়ার হোল্ডিং ৬ হাজার ৯২০ কোটি টাকা, ইউনাইটেড গ্রুপ ৪ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা, কেপিপিএল নিয়েছে ৩ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এমন ১০টা কোম্পানি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারাই শত শত কোটি টাকা বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই নিয়ে চলে গেছে।’
কুইক রেন্টালের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বিদ্যুৎ আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করেছিল। এই পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো নিয়ে এসেছিল কোনো টেন্ডার না করেই হাজার হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করে এবং এটার জন্য কোনো মামলা হবে না—এমন ইনডেমনিটি আইন তৈরি করেছে এই সরকার। একদিকে টানেল নির্মাণ করছে, অন্যদিকে মানুষের খাওয়ার টাকা নাই।’ শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ দুই বেলা খাবার পায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা আইএমএফ থেকে টাকা ধার নেব না। আমরা এখনো খুব শক্তিশালী আছি অর্থনীতির মধ্যে। কিন্তু কালকে আমরা পত্রিকায় দেখলাম ৪৫০ বিলিয়ন ডলার তাঁরা ধার চেয়েছেন আইএমএফের কাছে। আপনারা দেখবেন, এই সরকার অনর্গল মিথ্যা কথা বলে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বোকা বানিয়ে রাখে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা শূন্য হয়ে গেছে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরাও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্র এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতাসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক সালাম, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের জেরিন খান, বিএনপির মনোনীত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তাঁদের দায়িত্ব হচ্ছে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা এবং ভোটের একটা সময় নির্ধারণ করা। সে জন্য আমরা বলছি, অতি দ্রুত একটি নির্বাচনী রোডম্য
৮ ঘণ্টা আগেদেশের শত্রুরা পেছনে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি
৯ ঘণ্টা আগেসাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. জয়নুল আবদীন ফারুককে দুর্নীতির একটি মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এসএম জিয়াউর রহমান রায়ে খালাসের এই আদেশ দেন।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবের মূল অংশে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র পরিবর্তনের বিধান ১৫ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যা করেছিল সেগুলোসহ কিছু নতুন প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।
১৪ ঘণ্টা আগে