নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘সাগরে শয়ন যার শিশিরে কী ভয় তার’-১৯৬৭ সালে নিজের নামে হওয়া এক মামলার বিষয়ে আদালতে এই কথা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হত্যা, মামলা-হামলা, অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ওই কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, ‘আমিতো সমুদ্রেই বাসা বেঁধেছি। সেখানে এক ফোটা শিশিরকে আমি ভয় পাই না। আজকে বাংলাদেশের মানুষ সেই শপথ নিয়ে জেগে উঠেছে। তারা এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের পতন ঘটাবেই ঘটাবে।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া পরোয়ানা নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষ যার দিকে তাকিয়ে আছে, সেই নেতা ও তার সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো গুরুত্ব নেই। কারণ এতে তার কিছুই যায় আসে না। দেশের জনগণ রাষ্ট্রনায়কের বেশে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। খালেদা জিয়াকে তারা মুক্ত করবে।’
ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। গণতন্ত্র উদ্ধারের চলমান আন্দোলনে মামলা দেওয়া হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে নেতা-কর্মীদের। এই হত্যা, এই মিথ্যা মামলা, এই অত্যাচার-নির্যাতন আমাদের কি দমিয়ে রাখতে পেরেছে? বাংলাদেশের মানুষকে কি দাবানো সম্ভব হয়েছে? হয়নি আর হবেও না।’
সরকার পতনের আন্দোলনে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার আর শুধু চেষ্টা নয়। এবার বিজয় ছিনিয়ে আনব। সারা দেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। কোনো বাধাই কাজে আসছে না। এ লড়াই গণতন্ত্র উদ্ধারের লড়াই, এ লড়াই মুক্তির লড়াই। এ সংগ্রামে জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে ও সকল রাজনৈতিক দলকে এক হতে হবে, জাতিকে এ ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে উদ্ধার করতে হবে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তারেক রহমানের মামলা কবর খুঁড়ে বের করা হয়েছে। আর আপনাদের (সরকার) দুর্নীতি প্রকাশ্যে হচ্ছে। এর সাক্ষী দেশের জনগণ। আজকে ওবায়দুল কাদের বলেন-খেলা হবে। কার সঙ্গে খেলা হবে? দেশের মানুষের সঙ্গে খেলতে চান? বিএনপির সঙ্গে খেলতে চান? পারবেন না। সেই খেলায় পরাজিত হবেন। কারণ দেশের সকল মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছে।’
বর্তমান সরকারকে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দেন দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তিনি আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে মাথা নত করবেন না।’ সরকার পালাবে কিন্তু পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছেন না বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
বেলা ২টা থেকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও দুপুর ১২টা থেকেই ঢাকা মহানগরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে যুবদলের নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন।
‘সাগরে শয়ন যার শিশিরে কী ভয় তার’-১৯৬৭ সালে নিজের নামে হওয়া এক মামলার বিষয়ে আদালতে এই কথা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হত্যা, মামলা-হামলা, অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ওই কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, ‘আমিতো সমুদ্রেই বাসা বেঁধেছি। সেখানে এক ফোটা শিশিরকে আমি ভয় পাই না। আজকে বাংলাদেশের মানুষ সেই শপথ নিয়ে জেগে উঠেছে। তারা এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের পতন ঘটাবেই ঘটাবে।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া পরোয়ানা নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষ যার দিকে তাকিয়ে আছে, সেই নেতা ও তার সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো গুরুত্ব নেই। কারণ এতে তার কিছুই যায় আসে না। দেশের জনগণ রাষ্ট্রনায়কের বেশে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। খালেদা জিয়াকে তারা মুক্ত করবে।’
ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। গণতন্ত্র উদ্ধারের চলমান আন্দোলনে মামলা দেওয়া হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে নেতা-কর্মীদের। এই হত্যা, এই মিথ্যা মামলা, এই অত্যাচার-নির্যাতন আমাদের কি দমিয়ে রাখতে পেরেছে? বাংলাদেশের মানুষকে কি দাবানো সম্ভব হয়েছে? হয়নি আর হবেও না।’
সরকার পতনের আন্দোলনে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার আর শুধু চেষ্টা নয়। এবার বিজয় ছিনিয়ে আনব। সারা দেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। কোনো বাধাই কাজে আসছে না। এ লড়াই গণতন্ত্র উদ্ধারের লড়াই, এ লড়াই মুক্তির লড়াই। এ সংগ্রামে জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে ও সকল রাজনৈতিক দলকে এক হতে হবে, জাতিকে এ ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে উদ্ধার করতে হবে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তারেক রহমানের মামলা কবর খুঁড়ে বের করা হয়েছে। আর আপনাদের (সরকার) দুর্নীতি প্রকাশ্যে হচ্ছে। এর সাক্ষী দেশের জনগণ। আজকে ওবায়দুল কাদের বলেন-খেলা হবে। কার সঙ্গে খেলা হবে? দেশের মানুষের সঙ্গে খেলতে চান? বিএনপির সঙ্গে খেলতে চান? পারবেন না। সেই খেলায় পরাজিত হবেন। কারণ দেশের সকল মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছে।’
বর্তমান সরকারকে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দেন দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তিনি আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে মাথা নত করবেন না।’ সরকার পালাবে কিন্তু পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছেন না বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
বেলা ২টা থেকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও দুপুর ১২টা থেকেই ঢাকা মহানগরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে যুবদলের নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ডেলিগেশন অব ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. সেবাস্টিয়ান রিগার ব্রাউনের আমন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার গুলশানে তাঁর বাসায় ইইউ অন্তর্ভুক্ত আটটি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে পবিত্র ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আমরা মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকারের সকল সিদ্ধান্ত, সকল নীতি, সকল ভূমিকার মধ্যে জনআকাঙক্ষার প্রতিফলন থাকা উচিত। কিন্তু তিন মাস অতিবাহিত হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি দুর্ভাগ্যজনক হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো নীতি, কোনো কোনো সিদ্ধ
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। যাঁরা ‘সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে’— ধরনের প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির
৯ ঘণ্টা আগে