রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির প্রতি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, সরকারকে সহায়তা না করেন, অন্তত নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। সোমবার মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে হানিফ এ আহ্বান জানান।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তারা একটা ভালো কাজ করেছে আজ দেখাতে পারে না। বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যাচারে ব্যস্ত। এই করোনার দুর্যোগের সময়ও দলটির শীর্ষ নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছে। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব সুযোগ পেলেই মিথ্যাচার করেন। এই করোনার সময়ও তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছে, মিথ্যাচার করছে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে আশি ভাগ জনগণকে যাতে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এক কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। তারা (বিএনপি) বলে এক সপ্তাহে কী এক কোটি লোককে টিকা দেওয়া যায়। আমাদের টিকা মজুত আছে এবং এক সপ্তাহে প্রতিটি ইউনিয়নে পাঁচ হাজার জনকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এতে এক কোটিরও বেশি ব্যক্তি টিকার আওতায় আসবে।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, করোনা একটি ভয়াবহ রোগ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বারবার দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলার জন্য। যথাযথভাবে মাস্ক পড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য, ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য। লকডাউন করোনার সংক্রমণ রোধের একমাত্র উপায় নয়। এর জন্য ভ্যাকসিন নিতে হবে, তবেই শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং হাত পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে হাতের মাধ্যমে নাকে, চোখে-মুখে ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে। আমরা সবাই সচেতন হিসেবে ঘরের বাইরে যখন যাব তখন অবশ্যই মাস্ক পরব। এতে আমরা নিরাপদ থাকতে পারব, অন্যকেও নিরাপদ রাখতে পারব। মাস্ক পরিধানের কোন বিকল্প নেই।

হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যারা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই ত্রাণ কার্যক্রম চলবে। বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। পাশাপাশি যে যার জায়গা থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে ভালো কোন কাজ হতে পারে না।

সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে এম রহমত উল্লাহ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।