এই সরকার ভারত, চীন, রাশিয়ার সরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ২৩
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ৪৪

‘এই সরকার জনগণের সরকার নয়, এই সরকার ভারত, চীন, রাশিয়ার সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘এ কারণে আমরা এই সরকারকে মানতে বাধ্য নই।’

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল, গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবিতে দেশব্যাপী পালিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে এই মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি। 

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এই দেশ আমাদের, এই দেশের সমস্যা আমাদের আর তার সমাধান আমরাই করব। হাসিনার সরকার ভারত, রাশিয়া, চীনের সরকার, বাংলাদেশের মানুষের সরকার না। এই সরকার আমরা মানতে বাধ্য নই।’ 

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর এটাই বিএনপির বড় জমায়েত। এ সময় নবগঠিত দ্বাদশ সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন গয়েশ্বর। ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভাসহ সব ইউনিটে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি। গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে চাই।’ 

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে সমাবেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোনো প্রতিবাদ নাই কেন? কী কারণে, কোন অধিকারে তারা আমার দেশের সীমান্তরক্ষীকে গুলি করে? কথায় কথায় ধরে নিয়ে যায়? আমার দেশের সীমান্তরক্ষীরা খালি হাতে অথবা রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে থাকে।’ 

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আজকে আমরা সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজাতে রাজপথে নেমেছি। জনগণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন চায়নি বলেই ওই নির্বাচন বর্জন করেছে। ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে জনগণ এই সরকারকে নিপাত করেছে।’

আবদুল মঈন খান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আমাদের চলতেই থাকবে। যত দিন পর্যন্ত না দেশের গণতন্ত্র ফিরে আসে।’ 

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের সঞ্চালনায় মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।

বেলা দুইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে কালো পতাকা মিছিল উপলক্ষে হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমবেত হয়। শনিবার ঢাকাসহ সব মহানগরে কালো পতাকা মিছিল হয়েছে। এর আগের দিন শুক্রবার জেলায় জেলায় কালো পতাকা মিছিল করেছে বিএনপি।

সমাবেশের পর আনুষ্ঠানিকভাবে কালো পতাকা মিছিলের উদ্বোধন করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বেলা সাড়ে তিনটায় মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল রেস্টুরেন্ট মোড় হয়ে ফকিরাপুল, আরামবাগ মোড় হয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত