নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে চা খেতে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এলে চা খাওয়াব। তার আগে বলে দেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেম এনে দিচ্ছি। তাহলে চা খাওয়াতে অসুবিধা কী? সমস্যার সমাধান তো হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার।’
এর আগে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অমানিশা: দুর্নীতি আর লুটপাটের খেসারত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। অ্যাবের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাবের সহসভাপতি প্রকৌশলী মনজুর মোরশেদ।
আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ব্যবস্থা সরকার করেছে। কিন্তু ১৫ বছরেও জ্বালানি কোথা থেকে আসবে সেই ব্যবস্থা সরকার করতে পারেনি। জ্বালানির ব্যাপারে সরকার কোনো পরিকল্পনা করেনি। পরিকল্পনা না করার কারণে দেশে আজ বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে।’
লোডশেডিং প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘লোডশেডিং গ্রামে বেশি হয়। সেখানে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। শহরের মানুষদের খুশি রাখার জন্য শহরে লোডশেডিং কম হচ্ছে। কারণ শহরের মানুষ একটু বেশি হইচই করে, আন্দোলন করে। এ জন্য শহরে কম লোডশেডিং হচ্ছে। শহরের মানুষদের খুশি রেখে গ্রামে যাঁরা কৃষিকাজ করেন, ফসল ফলান, তাঁদের লোডশেডিং বেশি দিচ্ছে। ফলে ফসল উৎপাদন কমে যাবে। খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে চলে যাবে। এভাবেই সরকারের পতন অনিবার্য হবে।’
খনার বচন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি একটি খনার বচন বলতে চাই। সেটা হলো—‘রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, প্রজা কষ্ট পায়’। এটাই এখন যথাযথ শব্দ। আমাদের যাঁরা শাসনকর্তা, যাঁরা শাসন করছেন, তাঁদের দুর্নীতি, লুটপাট, অশিক্ষা, ব্যর্থতা সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ করে ফেলেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। অথচ মুখে মুখে উন্নয়ন করে তারা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া বানিয়ে দিচ্ছে। কেউ কেউ কানাডাও বানিয়ে দিচ্ছে। যে দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে, সেখানে এরা সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, কানাডা বানাচ্ছে। আবার নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বেগমপাড়াকে সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে। এইটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের আসল চেহারা।’
মেগা প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি করা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘মেগা প্রজেক্টে মেগা লুটের কারণে বাংলাদেশের আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বললে মনে হবে তারা একটা স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে এবং উন্নয়নের রোল মডেল। এখন রেমিট্যান্স কমে আসছে। আওয়ামী লীগ চোখে সরষে ফুল দেখা শুরু করেছে। যার জন্য এখন আবোল-তাবোল বলছে।’
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে চা খেতে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এলে চা খাওয়াব। তার আগে বলে দেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেম এনে দিচ্ছি। তাহলে চা খাওয়াতে অসুবিধা কী? সমস্যার সমাধান তো হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার।’
এর আগে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অমানিশা: দুর্নীতি আর লুটপাটের খেসারত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। অ্যাবের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাবের সহসভাপতি প্রকৌশলী মনজুর মোরশেদ।
আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ব্যবস্থা সরকার করেছে। কিন্তু ১৫ বছরেও জ্বালানি কোথা থেকে আসবে সেই ব্যবস্থা সরকার করতে পারেনি। জ্বালানির ব্যাপারে সরকার কোনো পরিকল্পনা করেনি। পরিকল্পনা না করার কারণে দেশে আজ বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে।’
লোডশেডিং প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘লোডশেডিং গ্রামে বেশি হয়। সেখানে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। শহরের মানুষদের খুশি রাখার জন্য শহরে লোডশেডিং কম হচ্ছে। কারণ শহরের মানুষ একটু বেশি হইচই করে, আন্দোলন করে। এ জন্য শহরে কম লোডশেডিং হচ্ছে। শহরের মানুষদের খুশি রেখে গ্রামে যাঁরা কৃষিকাজ করেন, ফসল ফলান, তাঁদের লোডশেডিং বেশি দিচ্ছে। ফলে ফসল উৎপাদন কমে যাবে। খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে চলে যাবে। এভাবেই সরকারের পতন অনিবার্য হবে।’
খনার বচন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি একটি খনার বচন বলতে চাই। সেটা হলো—‘রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, প্রজা কষ্ট পায়’। এটাই এখন যথাযথ শব্দ। আমাদের যাঁরা শাসনকর্তা, যাঁরা শাসন করছেন, তাঁদের দুর্নীতি, লুটপাট, অশিক্ষা, ব্যর্থতা সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ করে ফেলেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। অথচ মুখে মুখে উন্নয়ন করে তারা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া বানিয়ে দিচ্ছে। কেউ কেউ কানাডাও বানিয়ে দিচ্ছে। যে দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে, সেখানে এরা সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, কানাডা বানাচ্ছে। আবার নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বেগমপাড়াকে সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে। এইটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের আসল চেহারা।’
মেগা প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি করা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘মেগা প্রজেক্টে মেগা লুটের কারণে বাংলাদেশের আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বললে মনে হবে তারা একটা স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে এবং উন্নয়নের রোল মডেল। এখন রেমিট্যান্স কমে আসছে। আওয়ামী লীগ চোখে সরষে ফুল দেখা শুরু করেছে। যার জন্য এখন আবোল-তাবোল বলছে।’
দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তাঁদের দায়িত্ব হচ্ছে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা এবং ভোটের একটা সময় নির্ধারণ করা। সে জন্য আমরা বলছি, অতি দ্রুত একটি নির্বাচনী রোডম্য
৮ ঘণ্টা আগেদেশের শত্রুরা পেছনে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি
৯ ঘণ্টা আগেসাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. জয়নুল আবদীন ফারুককে দুর্নীতির একটি মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এসএম জিয়াউর রহমান রায়ে খালাসের এই আদেশ দেন।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবের মূল অংশে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র পরিবর্তনের বিধান ১৫ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যা করেছিল সেগুলোসহ কিছু নতুন প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।
১৪ ঘণ্টা আগে