রংপুর প্রতিনিধি
সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের পল্লিনিবাসে শায়িত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ। নির্বাচন যাদের মাধ্যমে হবে তারাও সরকারের পক্ষে। সবকিছুই এখন সরকারদলীয় হয়ে গেছে। সরকার যখন পক্ষ হয় তখন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আর হয় না বরং পক্ষপাতিত্ব হয়। সরকারি কর্মকর্তারা, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরাসরি সরকারদলীয় হিসেবে কাজ করে। এ জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও সম্ভব নয়।
স্বাধীন দেশের নাগরিকদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে একটা অনীহা দেখা দিয়েছে দাবি করে জিএম কাদের বলেন, ‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। রাষ্ট্রীয় সকল কাজকর্ম জনগণের ইচ্ছেমতো হবে, এটাই আমাদের প্রজাতন্ত্র বা গণতন্ত্র। কিন্তু জনগণের প্রতিনিধি যেভাবে প্রতিনিধিত্ব করবে, তা এখন আর হচ্ছে না। জনপ্রতিনিধি কথামতো না চললে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাঁকে পরিবর্তন করবে। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণ এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ কারণে জনগণ এখন রাজনীতি ও নির্বাচনবিমুখ হয়েছে।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু যেভাবে বিরাজনীতিকরণ চলছে, তা দেশের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক নয়। আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের যে মূল চেতনা, তা এখন সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কারণ, জনগণ এখন দেশের প্রকৃত মালিক নয়। সঠিক নির্বাচন যত দিন হবে না, তত দিন আমরা প্রজাতন্ত্রে বা গণতন্ত্রে আছি এটা বলা যাবে না।’
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের সংবিধান এবং ভারতের সংবিধানে মিল রয়েছে। কিন্তু ভারতের মতো আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারছি না। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এ কারণে এখন জবাবদিহিমূলক নির্বাচন হচ্ছে না। সার্বিকভাবে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠান এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। সরকার সবকিছু নিজে কুক্ষিগত করে রেখেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এখন দেশের যে সার্বিক অবস্থা তা থেকে উত্তরণে সরকারকে আগে উদ্যোগ নিতে হবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারের ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সবাইকে নিয়ে বসে এর সমাধানও বের করতে হবে। কারণ, এখন সরকারই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কারণে সামনের দিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চিত। নির্বাচনের আগের পরিবেশপরিস্থিতি বুঝে জাতীয় পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে।’
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কোনো সুযোগ নেওয়ার রাজনীতি করে না। আমরা দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করছি। মানুষ এখনো জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমাদের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে। আর বিএনপি-আওয়ামী লীগ যেভাবে একে অপরকে কামড়াকামড়ি করছে, এ কারণে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কাকে ভোট দেবে। কাজেই আমরা যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রত্যাশার রাজনীতি করতে পারি, তাহলে ৮০ ভাগ মানুষের অনেকেই ভোট দেবে।’
এ সময় রংপুর জেলা ও মহানগর জাপার সভাপতি রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জেলার সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগরের সহসভাপতি লোকমান হোসেনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের পল্লিনিবাসে শায়িত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ। নির্বাচন যাদের মাধ্যমে হবে তারাও সরকারের পক্ষে। সবকিছুই এখন সরকারদলীয় হয়ে গেছে। সরকার যখন পক্ষ হয় তখন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আর হয় না বরং পক্ষপাতিত্ব হয়। সরকারি কর্মকর্তারা, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরাসরি সরকারদলীয় হিসেবে কাজ করে। এ জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও সম্ভব নয়।
স্বাধীন দেশের নাগরিকদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে একটা অনীহা দেখা দিয়েছে দাবি করে জিএম কাদের বলেন, ‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। রাষ্ট্রীয় সকল কাজকর্ম জনগণের ইচ্ছেমতো হবে, এটাই আমাদের প্রজাতন্ত্র বা গণতন্ত্র। কিন্তু জনগণের প্রতিনিধি যেভাবে প্রতিনিধিত্ব করবে, তা এখন আর হচ্ছে না। জনপ্রতিনিধি কথামতো না চললে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাঁকে পরিবর্তন করবে। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণ এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ কারণে জনগণ এখন রাজনীতি ও নির্বাচনবিমুখ হয়েছে।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু যেভাবে বিরাজনীতিকরণ চলছে, তা দেশের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক নয়। আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের যে মূল চেতনা, তা এখন সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কারণ, জনগণ এখন দেশের প্রকৃত মালিক নয়। সঠিক নির্বাচন যত দিন হবে না, তত দিন আমরা প্রজাতন্ত্রে বা গণতন্ত্রে আছি এটা বলা যাবে না।’
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের সংবিধান এবং ভারতের সংবিধানে মিল রয়েছে। কিন্তু ভারতের মতো আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারছি না। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এ কারণে এখন জবাবদিহিমূলক নির্বাচন হচ্ছে না। সার্বিকভাবে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠান এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। সরকার সবকিছু নিজে কুক্ষিগত করে রেখেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এখন দেশের যে সার্বিক অবস্থা তা থেকে উত্তরণে সরকারকে আগে উদ্যোগ নিতে হবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারের ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সবাইকে নিয়ে বসে এর সমাধানও বের করতে হবে। কারণ, এখন সরকারই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কারণে সামনের দিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চিত। নির্বাচনের আগের পরিবেশপরিস্থিতি বুঝে জাতীয় পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে।’
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কোনো সুযোগ নেওয়ার রাজনীতি করে না। আমরা দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করছি। মানুষ এখনো জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমাদের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে। আর বিএনপি-আওয়ামী লীগ যেভাবে একে অপরকে কামড়াকামড়ি করছে, এ কারণে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কাকে ভোট দেবে। কাজেই আমরা যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রত্যাশার রাজনীতি করতে পারি, তাহলে ৮০ ভাগ মানুষের অনেকেই ভোট দেবে।’
এ সময় রংপুর জেলা ও মহানগর জাপার সভাপতি রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জেলার সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগরের সহসভাপতি লোকমান হোসেনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৮ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১১ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
১৪ ঘণ্টা আগে