ঢাবি প্রতিনিধি
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, ‘দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, ১০টি আসনও পাবে না।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর প্রেসক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন, বাজারি শোষণ, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে’ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘অনাচার, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে জনগণ ব্যাপকভাবে আন্দোলনে নামছেন না, কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এখানে যদি স্বাধীন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগের যে অবস্থা হয়েছে, তার চেয়ে খারাপ হবে, মুসলিম লীগ উচ্ছেদ হয়ে গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হবে।
‘মুসলিম লীগ হারার পর তাদের কেউ মারতে আসেনি, এবারে আওয়ামী লীগ হারলে লোকজন চারদিক থেকে মারতে আরম্ভ করবে, পেটাতে আরম্ভ করবে। ১৯৭৫ সালে তারা (আওয়ামী লীগ) যেমন পালিয়েছিল, এবারেও তারা সঙ্গীহীন হবে। আওয়ামী লীগ হারার সঙ্গে সঙ্গে বিস্তর লোক এ দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করবে, বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করে রেখেছে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা। কিন্তু পালাতে দেবে না এ দেশের জনতা।’
বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু পুলিশ-র্যাব দিয়ে জনগণের ওপর জুলুম করছে বিষয়টি এমন নয়, তাদের এখন ঠেকানো বাহিনী, ছাত্রলীগের গুন্ডাবাহিনী বড় আকারে সংগঠিত হয়েছে, তারা এখন বিপজ্জনক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।’
১৮ সালের নির্বাচনে দেশের সকল আমলাকে নিয়ে মিটিং করে এইচ টি ইমাম ২৫০ আসন পাওয়ার জন্য পুলিশ, র্যাব ও নির্বাচন কমিশনারের মাধ্যমে রাতের আঁধারে ভোটের আয়োজন করছিল, এই হলো শাসক দলের অবস্থা। এখন বাংলাদেশের অবস্থা ২০১৪ কিংবা ১৮ সালের মতো নেই, জনগণ ব্যাপকভাবে এখনো বিদ্রোহ করেননি, কিন্তু জনগণের ভেতরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা ব্যাপকভাবে আছে, তারা এখন বিএনপির সঙ্গে দাঁড়াচ্ছে, বিরোধী দলের মধ্যে বিএনপি এখন সংগঠিত দল, বিএনপির চরিত্র যা-ই হোক তারা এখন বিরোধী দল হিসেবে খুব শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে, তাদের সমাবেশে লাখ লাখ লোক জড়ো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বদরুদ্দীন উমর।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, সদস্য মজিবুর রহমান, ভুলন ভৌমিক, সজীব রায়, সাম্যবাদী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল হাকিম, লেখক শিবিরের সম্পাদক কাজী ইকবাল, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরাব, ছাত্র ফেডারেশনের (মুক্তি কাউন্সিল) সভাপতি মিতু সরকার, জয় ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত দাস প্রমুখ।
ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী এই সরকার জবাবদিহি থেকে সরে এসে সাম্রাজ্যবাদীদের পদলেহন করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। আমরা যারা জনগণের রাষ্ট্র, জনগণের সরকার, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম করি, তাদের সংগঠনের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। অতীতের সকল স্বৈরাচার সরকারকে ছাপিয়ে গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার সরকার দেশে গুমের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলছে, বিনা দোষে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মারধর করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে। এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন অবস্থা, বাজার করার অবস্থা মানুষের নেই, জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, ‘দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, ১০টি আসনও পাবে না।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর প্রেসক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন, বাজারি শোষণ, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে’ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘অনাচার, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে জনগণ ব্যাপকভাবে আন্দোলনে নামছেন না, কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এখানে যদি স্বাধীন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগের যে অবস্থা হয়েছে, তার চেয়ে খারাপ হবে, মুসলিম লীগ উচ্ছেদ হয়ে গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হবে।
‘মুসলিম লীগ হারার পর তাদের কেউ মারতে আসেনি, এবারে আওয়ামী লীগ হারলে লোকজন চারদিক থেকে মারতে আরম্ভ করবে, পেটাতে আরম্ভ করবে। ১৯৭৫ সালে তারা (আওয়ামী লীগ) যেমন পালিয়েছিল, এবারেও তারা সঙ্গীহীন হবে। আওয়ামী লীগ হারার সঙ্গে সঙ্গে বিস্তর লোক এ দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করবে, বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করে রেখেছে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা। কিন্তু পালাতে দেবে না এ দেশের জনতা।’
বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু পুলিশ-র্যাব দিয়ে জনগণের ওপর জুলুম করছে বিষয়টি এমন নয়, তাদের এখন ঠেকানো বাহিনী, ছাত্রলীগের গুন্ডাবাহিনী বড় আকারে সংগঠিত হয়েছে, তারা এখন বিপজ্জনক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।’
১৮ সালের নির্বাচনে দেশের সকল আমলাকে নিয়ে মিটিং করে এইচ টি ইমাম ২৫০ আসন পাওয়ার জন্য পুলিশ, র্যাব ও নির্বাচন কমিশনারের মাধ্যমে রাতের আঁধারে ভোটের আয়োজন করছিল, এই হলো শাসক দলের অবস্থা। এখন বাংলাদেশের অবস্থা ২০১৪ কিংবা ১৮ সালের মতো নেই, জনগণ ব্যাপকভাবে এখনো বিদ্রোহ করেননি, কিন্তু জনগণের ভেতরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা ব্যাপকভাবে আছে, তারা এখন বিএনপির সঙ্গে দাঁড়াচ্ছে, বিরোধী দলের মধ্যে বিএনপি এখন সংগঠিত দল, বিএনপির চরিত্র যা-ই হোক তারা এখন বিরোধী দল হিসেবে খুব শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে, তাদের সমাবেশে লাখ লাখ লোক জড়ো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বদরুদ্দীন উমর।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, সদস্য মজিবুর রহমান, ভুলন ভৌমিক, সজীব রায়, সাম্যবাদী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল হাকিম, লেখক শিবিরের সম্পাদক কাজী ইকবাল, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরাব, ছাত্র ফেডারেশনের (মুক্তি কাউন্সিল) সভাপতি মিতু সরকার, জয় ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত দাস প্রমুখ।
ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী এই সরকার জবাবদিহি থেকে সরে এসে সাম্রাজ্যবাদীদের পদলেহন করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। আমরা যারা জনগণের রাষ্ট্র, জনগণের সরকার, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম করি, তাদের সংগঠনের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। অতীতের সকল স্বৈরাচার সরকারকে ছাপিয়ে গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার সরকার দেশে গুমের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলছে, বিনা দোষে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মারধর করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে। এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন অবস্থা, বাজার করার অবস্থা মানুষের নেই, জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন নিয়োগে নগ্নভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির দাবি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনাররা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত
১১ ঘণ্টা আগেশক্ত হাতে দেশের ঘোলাটে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
১৩ ঘণ্টা আগেদেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামগ্রিকভাবে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৩ ঘণ্টা আগে৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়েছে এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এদেশে বিপন্ন অবস্থায় আছে বলে ক্রমাগত প্রচারণা চালাচ্ছে ভারত। বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিস
১৬ ঘণ্টা আগে