নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকসমূহকে ‘অসম’ উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায় ভারত। সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্নকারী এসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
একই সঙ্গে সার্বভৌমত্ববিরোধী অসম চুক্তির প্রতিবাদে আগামী ৫ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ছয় দলের এই জোট।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্টনের তোপখানা রোডে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মঞ্চের সমন্বয়ক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ভারতের সঙ্গে হওয়া এসব চুক্তির কোনোটাই বাংলাদেশকে লাভবান করবে না, বরং বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। বাংলাদেশের জনগণ কোনোভাবেই নিজের অর্থ খরচ করে পরের জন্য এই ঝুঁকি নিতে পারে না। ইন্ডিয়ান রাষ্ট্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়াকে একটা পিপলস ফেডারেশন ইউনিয়নে পরিণত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ইন্ডিয়া তা হতে দিতে চায় না। এ জন্যই তারা সার্ককে পরিকল্পিতভাবে অকার্যকর করে রেখেছে।
সাকি বলেন, এই চুক্তির বিনিময়ে তাঁরা গদিতে থাকতে চান। ভারতকে নানাভাবে ট্রানজিট-করিডর কিংবা সমুদ্রবিজ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ গবেষণা ইত্যাদি চুক্তির নামে প্রকারান্তরে মোংলা বন্দরে ভারত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ডামি সরকার ভারতের সহায়তায় নিজেদের গদি রক্ষা করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যরা বলেন, ‘গঙ্গা চুক্তি ছাড়া আরও যে ৫৩টি যৌথ নদী আছে, সেগুলোর কোনোটা নিয়ে আমরা চুক্তি করতে পারিনি। তিস্তার চুক্তি ২০১১ সালে প্রস্তুত হলেও তা স্বাক্ষর হয়নি। এই চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি। এ চুক্তির বিষয়ে ভারতের দিক থেকেও অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু এবার ঘোষণায় এ চুক্তি নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ নেই।’
তাঁরা আরও বলেন, এই সফরে তিস্তার পানিবণ্টন নয়, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। যাদের হাতে তিস্তা ধ্বংস হয়েছে, তাদেরই তিস্তা ব্যবস্থাপনার অংশীদার করার আলাপ করে এসেছেন উনি। প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে চীন-ভারতের আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক ব্যাটল গ্রাউন্ড তৈরি করে ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বের’ সাংবিধানিক পররাষ্ট্রনীতি উপেক্ষা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি প্রমুখ।
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকসমূহকে ‘অসম’ উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায় ভারত। সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্নকারী এসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
একই সঙ্গে সার্বভৌমত্ববিরোধী অসম চুক্তির প্রতিবাদে আগামী ৫ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ছয় দলের এই জোট।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্টনের তোপখানা রোডে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মঞ্চের সমন্বয়ক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ভারতের সঙ্গে হওয়া এসব চুক্তির কোনোটাই বাংলাদেশকে লাভবান করবে না, বরং বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। বাংলাদেশের জনগণ কোনোভাবেই নিজের অর্থ খরচ করে পরের জন্য এই ঝুঁকি নিতে পারে না। ইন্ডিয়ান রাষ্ট্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়াকে একটা পিপলস ফেডারেশন ইউনিয়নে পরিণত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ইন্ডিয়া তা হতে দিতে চায় না। এ জন্যই তারা সার্ককে পরিকল্পিতভাবে অকার্যকর করে রেখেছে।
সাকি বলেন, এই চুক্তির বিনিময়ে তাঁরা গদিতে থাকতে চান। ভারতকে নানাভাবে ট্রানজিট-করিডর কিংবা সমুদ্রবিজ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ গবেষণা ইত্যাদি চুক্তির নামে প্রকারান্তরে মোংলা বন্দরে ভারত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ডামি সরকার ভারতের সহায়তায় নিজেদের গদি রক্ষা করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যরা বলেন, ‘গঙ্গা চুক্তি ছাড়া আরও যে ৫৩টি যৌথ নদী আছে, সেগুলোর কোনোটা নিয়ে আমরা চুক্তি করতে পারিনি। তিস্তার চুক্তি ২০১১ সালে প্রস্তুত হলেও তা স্বাক্ষর হয়নি। এই চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি। এ চুক্তির বিষয়ে ভারতের দিক থেকেও অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু এবার ঘোষণায় এ চুক্তি নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ নেই।’
তাঁরা আরও বলেন, এই সফরে তিস্তার পানিবণ্টন নয়, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। যাদের হাতে তিস্তা ধ্বংস হয়েছে, তাদেরই তিস্তা ব্যবস্থাপনার অংশীদার করার আলাপ করে এসেছেন উনি। প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে চীন-ভারতের আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক ব্যাটল গ্রাউন্ড তৈরি করে ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বের’ সাংবিধানিক পররাষ্ট্রনীতি উপেক্ষা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি প্রমুখ।
সংস্কারও চলবে, নির্বাচন হবে এবং যে সরকার আসবে, তারা সংস্কারগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলতে পারি- আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যাব...
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি’ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে এক কর্মসূচিতে এ দাবি জানিয়েছে দলটি। এ সময় দলটির নেতারা বলেন, যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো এই রাজনীতি করা হয়, তাহল
২০ ঘণ্টা আগেক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিএনপি। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসন কার্যালয়ে মতবিনময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সর্বহারা পার্টির নেতা সিরাজ সিকদারের গ্ৰাফিতি মুছে ফেলেছে একদল শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশের পর তাঁরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে গ্রা
১ দিন আগে