নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সরকারের আরেকটা ‘ভোট চুরির ভাঁওতাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশের দিনটি ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘ওরা (সরকার) উপজেলা নির্বাচন দিয়েছে। যে দেশে ভোট নাই, সেই দেশে ভোটে অংশগ্রহণ করার কোনো সুযোগ নাই। যেখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাই, যেখানে কোনো পার্টিসিপেশন নাই, সেখানে আবার কিসের ভোট? সুতরাং, এই যে উপজেলা নির্বাচন, এটা আরেকটা দেশের মানুষকে একটা ধাপ্পাবাজির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা ভোটের নামে ভাঁওতাবাজি। ভোট বলে কিছু নাই এ দেশে। একটা ভোট চুরি প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত জাতিকে আজকে তারা (সরকার) জিম্মি করে রেখেছে।’
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৭ জানুয়ারি ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এবার সেই চিন্তা থেকে সরকার ভোটারদের আনতে নতুন কৌশল নিয়েছে। এবার তারা চিন্তা করেছে যে মানুষ নৌকাকে ভয় পায়, নৌকার কথা শুনলে বোধ হয় ভোটকেন্দ্রে যাবে না। সে জন্য নির্বাচনে তারা এবার দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে দিয়েছে।’
খসরু বলেন, ‘আমাদের সুখবর হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ আজকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। আমরা যারা বিরোধী দলে আছি, আমাদের ঐক্য অটুট আছে, বিএনপির ঐক্য অটুট আছে। এই ঐক্য ভাঙতে টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে ভয়ভীতি, জেল-জুলুম, নিপীড়ন-নির্যাতন সব চেষ্টা করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা ধানখেতে ঘুমিয়েছে, বাঁধে ঘুমিয়েছে। কিন্তু নেতা-কর্মীরা কম্প্রোমাইজ করেনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সাম্য-মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ইত্যাদি বিষয়ে এক হয়েছি। আমাদের এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। আমরা এই আন্দোলন চলমান আছে।’
ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ব্যাংক মার্জার (একীভূত) করার। মার্জার তো কোনো সরকারের সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এটা বাজারের সিদ্ধান্ত। এটা করতে শেয়ার হোল্ডারদের মতামত প্রয়োজন হয়। কিন্তু কী দেখা যাচ্ছে? শেয়ার হোল্ডারদের কোনো খবর নাই। তারা (সরকার) সিদ্ধান্ত দিচ্ছে মার্জার করতে হবে।’
খসরু বলেন, ‘যারা ব্যাংক লুটপাট করে খেয়ে ফেলেছে, তাদের জন্য এই মার্জার আরেকটা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তাদের রক্ষা করার জন্য, যারা লুটপাট করে বাংলাদেশের সম্পদ নিয়ে গেছে, যারা ব্যাংকের আমানতের টাকা লুটপাট করেছে, তাদের আরও সুবিধা দেওয়ার জন্য জোর করে এই প্রক্রিয়া সরকার নিয়েছে।’
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘এই দেশ আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম এমন দৃশ্য, এমন পরিবেশ দেখার জন্য নয়। গণতন্ত্র থাকবে না, সে জন্য তো আমরা যুদ্ধ করিনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না, সে জন্য তো আমরা যুদ্ধ করিনি। এই কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না।’
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘মানুষের মধ্যে বিক্ষোভের যে আগুন জ্বলছে, সেই আগুনকে ঠিকমতো গুছিয়ে সেটাকে একটা দাবানল তৈরি না করলে, বিক্ষোভে আন্দোলনে রূপান্তরিত করা সম্ভব নয়। আমি মনে করি, এটার জন্য কোনো হঠকারী কর্মসূচির কথা আমি তো বলবই না, কারণ হঠকারী কোনো দিন গণতন্ত্রের জন্য সুখকর হয় না, সফলতার দিকে নিয়ে যায় না। গঠনমূলকভাবে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। যত দেরি হবে, তত আমাদের জন্য ক্ষতি হবে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সরকারের আরেকটা ‘ভোট চুরির ভাঁওতাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশের দিনটি ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘ওরা (সরকার) উপজেলা নির্বাচন দিয়েছে। যে দেশে ভোট নাই, সেই দেশে ভোটে অংশগ্রহণ করার কোনো সুযোগ নাই। যেখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাই, যেখানে কোনো পার্টিসিপেশন নাই, সেখানে আবার কিসের ভোট? সুতরাং, এই যে উপজেলা নির্বাচন, এটা আরেকটা দেশের মানুষকে একটা ধাপ্পাবাজির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা ভোটের নামে ভাঁওতাবাজি। ভোট বলে কিছু নাই এ দেশে। একটা ভোট চুরি প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত জাতিকে আজকে তারা (সরকার) জিম্মি করে রেখেছে।’
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৭ জানুয়ারি ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এবার সেই চিন্তা থেকে সরকার ভোটারদের আনতে নতুন কৌশল নিয়েছে। এবার তারা চিন্তা করেছে যে মানুষ নৌকাকে ভয় পায়, নৌকার কথা শুনলে বোধ হয় ভোটকেন্দ্রে যাবে না। সে জন্য নির্বাচনে তারা এবার দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে দিয়েছে।’
খসরু বলেন, ‘আমাদের সুখবর হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ আজকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। আমরা যারা বিরোধী দলে আছি, আমাদের ঐক্য অটুট আছে, বিএনপির ঐক্য অটুট আছে। এই ঐক্য ভাঙতে টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে ভয়ভীতি, জেল-জুলুম, নিপীড়ন-নির্যাতন সব চেষ্টা করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা ধানখেতে ঘুমিয়েছে, বাঁধে ঘুমিয়েছে। কিন্তু নেতা-কর্মীরা কম্প্রোমাইজ করেনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সাম্য-মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ইত্যাদি বিষয়ে এক হয়েছি। আমাদের এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। আমরা এই আন্দোলন চলমান আছে।’
ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ব্যাংক মার্জার (একীভূত) করার। মার্জার তো কোনো সরকারের সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এটা বাজারের সিদ্ধান্ত। এটা করতে শেয়ার হোল্ডারদের মতামত প্রয়োজন হয়। কিন্তু কী দেখা যাচ্ছে? শেয়ার হোল্ডারদের কোনো খবর নাই। তারা (সরকার) সিদ্ধান্ত দিচ্ছে মার্জার করতে হবে।’
খসরু বলেন, ‘যারা ব্যাংক লুটপাট করে খেয়ে ফেলেছে, তাদের জন্য এই মার্জার আরেকটা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তাদের রক্ষা করার জন্য, যারা লুটপাট করে বাংলাদেশের সম্পদ নিয়ে গেছে, যারা ব্যাংকের আমানতের টাকা লুটপাট করেছে, তাদের আরও সুবিধা দেওয়ার জন্য জোর করে এই প্রক্রিয়া সরকার নিয়েছে।’
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘এই দেশ আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম এমন দৃশ্য, এমন পরিবেশ দেখার জন্য নয়। গণতন্ত্র থাকবে না, সে জন্য তো আমরা যুদ্ধ করিনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না, সে জন্য তো আমরা যুদ্ধ করিনি। এই কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না।’
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘মানুষের মধ্যে বিক্ষোভের যে আগুন জ্বলছে, সেই আগুনকে ঠিকমতো গুছিয়ে সেটাকে একটা দাবানল তৈরি না করলে, বিক্ষোভে আন্দোলনে রূপান্তরিত করা সম্ভব নয়। আমি মনে করি, এটার জন্য কোনো হঠকারী কর্মসূচির কথা আমি তো বলবই না, কারণ হঠকারী কোনো দিন গণতন্ত্রের জন্য সুখকর হয় না, সফলতার দিকে নিয়ে যায় না। গঠনমূলকভাবে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। যত দেরি হবে, তত আমাদের জন্য ক্ষতি হবে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
যে কোটা বিলোপের দাবিতে আমাদের এত সংগ্রাম, মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে সে কোটা আবার ফিরে এসেছে। কোটা চালুর মাধ্যমে সরকার গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা মনে করি-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যায়নের মাপকাঠি মেধা ছাড়া অন্য কিছু হওয়া উচিত না...
৩০ মিনিট আগেভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জ, সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়সহ নানা ইস্যুতে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে জামায়াতে ইসলামীর নামও নিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বই মেলায় রাতে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ছিল। সেখানে প্রচুর ধুলাবালি থাকার কারণে তিনি অসুস্থ অনুভব করছিলেন। দুদিন ধরেই তাঁর অসুস্থ বোধ হচ্ছিল। গতকাল চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে...
৪ ঘণ্টা আগেএবি পার্টির নেতারা বলেছেন, রাজনীতিতে অতীতমুখিতা ও পরিবারতান্ত্রিক বন্দোবস্তের ধারণা থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। তরুণেরা পুরোনো রাজনীতিতে ক্লান্ত এবং সত্যিকার অর্থেই একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তন দেখতে চায়। এবি পার্টি ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর।
২০ ঘণ্টা আগে