রেজা করিম ও ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা

গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠ গরম করে রেখেছেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সমমনা সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নিজেদের ‘রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে জানান দিতে চাইছে। তারা সরকারের নীতি ও কার্যকলাপের ওপর কিছু প্রভাব বিস্তারে সফল হলেও রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান বাতিলের দাবি ও ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের উদ্যোগসহ কয়েকটি ইস্যুতে তাদের সঙ্গে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনকারী ছাত্রদের তরফ থেকে বিএনপিসহ দলগুলোর অবস্থানকে ‘রাজনৈতিক চাপ’ বলা হচ্ছে। অন্যদিকে এই অভিযোগকে নাকচ করে দিয়ে সংকট সমাধানে আলোচনায় গুরুত্ব দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র ও নাগরিক সমাজের তরুণ নেতাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি ছাত্রদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলটি ছাত্রদের দাবির বিপরীতে দাঁড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করছে।’
বিএনপির বিষয়ে ছাত্রদের এ মূল্যায়নের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘তাঁরা (ছাত্র) তো সংবিধান বাতিল চান। লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত যে সংবিধান, তা তো কেটে ফেলা যায় না, সংশোধন হতে পারে। এটাকে বাদ দেওয়া তো মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আলোচনায় বসার কথা বলেছে। আগে বসা হোক, তারপর কথা বলতে পারব।’
গত ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ ও ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তাঁর অপসারণ, ১৯৭২ সালে গৃহীত দেশের প্রথম সংবিধান বাতিল, বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন ছাত্ররা। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নৃশংসতার জন্য নিন্দিত ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলেও বাকি দাবিগুলো পূরণ হয়নি। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত ছিল। একই যুক্তিতে ছাত্রদের এই দাবিতে আপত্তি জানায় কয়েকবার ক্ষমতায় আসা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে জুলাই অভ্যুত্থানের ‘ঘোষণাপত্র’ আসবে বলে ২৮ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক। পরদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘মুজিববাদী সংবিধানের’ কবর রচনা করা হবে।
ঘোষণাপত্রের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে সংবিধান বিষয়ে ছাত্রদের বক্তব্যে বিএনপি অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। সংবিধান বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেই সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।... এভাবে কথা বলাটা ঠিক হলো?’
রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সর্বসম্মত’ ঘোষণাপত্র তৈরির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষণাপত্র প্রকাশের বদলে ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ নামে ঐক্য সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই সমাবেশে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি, দ্রুততম সময়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার অথবা বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। এ সমাবেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। ১ জানুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘এই নামে (মার্চ ফর ইউনিটি) কেন সমাবেশ করতে হলো? ইউনিটির নামে এ ধরনের সমাবেশ, বক্তব্য, ষড়যন্ত্রকারী, লুটপাটকারী ও ফ্যাসিবাদীদের জন্য সহায়ক নয় কি? মার্চ ফর ইউনিটির সমাবেশে আমরা লক্ষ করেছি, তাদের মুখ থেকে কী ধরনের বাক্য এসেছে, কী ধরনের বক্তব্য এসেছে, তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ (শরীরী ভাষা) কী ছিল। আমাদের প্রশ্ন, কী কারণে ইউনিটির নামে মিটিং করতে হয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মাঠে থেকে দাবি আদায় করতে পারতাম। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা দরকার। আর রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যও প্রয়োজন। আমরা প্রোক্লেমেশনের (ঘোষণাপত্রের) বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণা করা হবে। তাই আমরা মার্চ ফর ইউনিটি পালন করেছি।’
শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্নভাবে যুক্তদের নিয়ে ৫ আগস্টের পর গঠিত হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান সংস্কার অথবা বাতিল এবং প্রোক্লেমেশনের দাবি থেকে আমরা সরে আসিনি। প্রোক্লেমেশনের ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য যেন তৈরি হয়।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল চাওয়া মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বক্তব্য। বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চাওয়ার সঙ্গে অসংগতি রয়েছে। সে জন্য আমরা নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ফোর্স হিসেবে আমরা দাবি করেছি, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের ইনসিকিউরিটি (নিরাপত্তাহীনতার বোধ) তৈরি হয়েছে। তার আঁচ সরকারেও লেগেছে। তবে এ সরকার জনগণের ম্যান্ডেটের সরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে এর সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
‘বিএনপি ছাত্রদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না’—এমন অভিযোগের জবাবে ছাত্রদের সুস্থির হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। আলোচনার সুযোগ রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বয়স্কদের মস্তিষ্ক এবং তারুণ্যের শক্তিকে এক করতে চাই। সে ক্ষেত্রে তাদের (ছাত্র) অবজ্ঞা করার বা গুরুত্ব না দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা মিলিত শক্তির মাধ্যমেই সংস্কার করতে চাই।... এখন যদি আরও কিছু প্রয়োজন হয়, বিএনপির সঙ্গে তারা বসতে পারে তো আলোচনায়। শুধু বিএনপি নয়, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই বসতে পারে। বিশেষ বিশেষ দলের সঙ্গে বিশেষ বিশেষ পর্যায়ে যোগাযোগ, সেটা তো সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখে না। যোগাযোগটা তো সবার সঙ্গেই হওয়া উচিত।’
ছাত্রদের সাম্প্রতিক এসব তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে বিএনপির এককালের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ বিষয়ে বলেন, ‘জনগণ কোনটা গ্রহণ করবে, এটা তাদের বিষয়। ছাত্ররা একটা পরিবর্তন এনেছে, তাদের বিভিন্ন দাবি থাকতে পারে, আমরা কাউকে চাপ দেই না। কোনো বক্তব্য স্পষ্ট না হওয়ার আগে সে বিষয়ে কোনো কথাও বলি না।’
এ প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ছাত্ররা তাদের দাবি উত্থাপন করছে। বিভিন্ন দল-সংগঠন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। তবে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উত্তরণ প্রক্রিয়ায় জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগোনোই ঠিক হবে।’

গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠ গরম করে রেখেছেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সমমনা সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নিজেদের ‘রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে জানান দিতে চাইছে। তারা সরকারের নীতি ও কার্যকলাপের ওপর কিছু প্রভাব বিস্তারে সফল হলেও রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান বাতিলের দাবি ও ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের উদ্যোগসহ কয়েকটি ইস্যুতে তাদের সঙ্গে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনকারী ছাত্রদের তরফ থেকে বিএনপিসহ দলগুলোর অবস্থানকে ‘রাজনৈতিক চাপ’ বলা হচ্ছে। অন্যদিকে এই অভিযোগকে নাকচ করে দিয়ে সংকট সমাধানে আলোচনায় গুরুত্ব দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র ও নাগরিক সমাজের তরুণ নেতাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি ছাত্রদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলটি ছাত্রদের দাবির বিপরীতে দাঁড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করছে।’
বিএনপির বিষয়ে ছাত্রদের এ মূল্যায়নের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘তাঁরা (ছাত্র) তো সংবিধান বাতিল চান। লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত যে সংবিধান, তা তো কেটে ফেলা যায় না, সংশোধন হতে পারে। এটাকে বাদ দেওয়া তো মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আলোচনায় বসার কথা বলেছে। আগে বসা হোক, তারপর কথা বলতে পারব।’
গত ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ ও ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তাঁর অপসারণ, ১৯৭২ সালে গৃহীত দেশের প্রথম সংবিধান বাতিল, বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন ছাত্ররা। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নৃশংসতার জন্য নিন্দিত ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলেও বাকি দাবিগুলো পূরণ হয়নি। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত ছিল। একই যুক্তিতে ছাত্রদের এই দাবিতে আপত্তি জানায় কয়েকবার ক্ষমতায় আসা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে জুলাই অভ্যুত্থানের ‘ঘোষণাপত্র’ আসবে বলে ২৮ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক। পরদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘মুজিববাদী সংবিধানের’ কবর রচনা করা হবে।
ঘোষণাপত্রের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে সংবিধান বিষয়ে ছাত্রদের বক্তব্যে বিএনপি অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। সংবিধান বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেই সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।... এভাবে কথা বলাটা ঠিক হলো?’
রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সর্বসম্মত’ ঘোষণাপত্র তৈরির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষণাপত্র প্রকাশের বদলে ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ নামে ঐক্য সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই সমাবেশে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি, দ্রুততম সময়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার অথবা বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। এ সমাবেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। ১ জানুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘এই নামে (মার্চ ফর ইউনিটি) কেন সমাবেশ করতে হলো? ইউনিটির নামে এ ধরনের সমাবেশ, বক্তব্য, ষড়যন্ত্রকারী, লুটপাটকারী ও ফ্যাসিবাদীদের জন্য সহায়ক নয় কি? মার্চ ফর ইউনিটির সমাবেশে আমরা লক্ষ করেছি, তাদের মুখ থেকে কী ধরনের বাক্য এসেছে, কী ধরনের বক্তব্য এসেছে, তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ (শরীরী ভাষা) কী ছিল। আমাদের প্রশ্ন, কী কারণে ইউনিটির নামে মিটিং করতে হয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মাঠে থেকে দাবি আদায় করতে পারতাম। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা দরকার। আর রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যও প্রয়োজন। আমরা প্রোক্লেমেশনের (ঘোষণাপত্রের) বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণা করা হবে। তাই আমরা মার্চ ফর ইউনিটি পালন করেছি।’
শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্নভাবে যুক্তদের নিয়ে ৫ আগস্টের পর গঠিত হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান সংস্কার অথবা বাতিল এবং প্রোক্লেমেশনের দাবি থেকে আমরা সরে আসিনি। প্রোক্লেমেশনের ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য যেন তৈরি হয়।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল চাওয়া মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বক্তব্য। বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চাওয়ার সঙ্গে অসংগতি রয়েছে। সে জন্য আমরা নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ফোর্স হিসেবে আমরা দাবি করেছি, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের ইনসিকিউরিটি (নিরাপত্তাহীনতার বোধ) তৈরি হয়েছে। তার আঁচ সরকারেও লেগেছে। তবে এ সরকার জনগণের ম্যান্ডেটের সরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে এর সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
‘বিএনপি ছাত্রদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না’—এমন অভিযোগের জবাবে ছাত্রদের সুস্থির হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। আলোচনার সুযোগ রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বয়স্কদের মস্তিষ্ক এবং তারুণ্যের শক্তিকে এক করতে চাই। সে ক্ষেত্রে তাদের (ছাত্র) অবজ্ঞা করার বা গুরুত্ব না দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা মিলিত শক্তির মাধ্যমেই সংস্কার করতে চাই।... এখন যদি আরও কিছু প্রয়োজন হয়, বিএনপির সঙ্গে তারা বসতে পারে তো আলোচনায়। শুধু বিএনপি নয়, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই বসতে পারে। বিশেষ বিশেষ দলের সঙ্গে বিশেষ বিশেষ পর্যায়ে যোগাযোগ, সেটা তো সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখে না। যোগাযোগটা তো সবার সঙ্গেই হওয়া উচিত।’
ছাত্রদের সাম্প্রতিক এসব তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে বিএনপির এককালের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ বিষয়ে বলেন, ‘জনগণ কোনটা গ্রহণ করবে, এটা তাদের বিষয়। ছাত্ররা একটা পরিবর্তন এনেছে, তাদের বিভিন্ন দাবি থাকতে পারে, আমরা কাউকে চাপ দেই না। কোনো বক্তব্য স্পষ্ট না হওয়ার আগে সে বিষয়ে কোনো কথাও বলি না।’
এ প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ছাত্ররা তাদের দাবি উত্থাপন করছে। বিভিন্ন দল-সংগঠন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। তবে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উত্তরণ প্রক্রিয়ায় জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগোনোই ঠিক হবে।’
রেজা করিম ও ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা

গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠ গরম করে রেখেছেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সমমনা সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নিজেদের ‘রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে জানান দিতে চাইছে। তারা সরকারের নীতি ও কার্যকলাপের ওপর কিছু প্রভাব বিস্তারে সফল হলেও রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান বাতিলের দাবি ও ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের উদ্যোগসহ কয়েকটি ইস্যুতে তাদের সঙ্গে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনকারী ছাত্রদের তরফ থেকে বিএনপিসহ দলগুলোর অবস্থানকে ‘রাজনৈতিক চাপ’ বলা হচ্ছে। অন্যদিকে এই অভিযোগকে নাকচ করে দিয়ে সংকট সমাধানে আলোচনায় গুরুত্ব দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র ও নাগরিক সমাজের তরুণ নেতাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি ছাত্রদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলটি ছাত্রদের দাবির বিপরীতে দাঁড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করছে।’
বিএনপির বিষয়ে ছাত্রদের এ মূল্যায়নের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘তাঁরা (ছাত্র) তো সংবিধান বাতিল চান। লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত যে সংবিধান, তা তো কেটে ফেলা যায় না, সংশোধন হতে পারে। এটাকে বাদ দেওয়া তো মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আলোচনায় বসার কথা বলেছে। আগে বসা হোক, তারপর কথা বলতে পারব।’
গত ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ ও ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তাঁর অপসারণ, ১৯৭২ সালে গৃহীত দেশের প্রথম সংবিধান বাতিল, বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন ছাত্ররা। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নৃশংসতার জন্য নিন্দিত ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলেও বাকি দাবিগুলো পূরণ হয়নি। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত ছিল। একই যুক্তিতে ছাত্রদের এই দাবিতে আপত্তি জানায় কয়েকবার ক্ষমতায় আসা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে জুলাই অভ্যুত্থানের ‘ঘোষণাপত্র’ আসবে বলে ২৮ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক। পরদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘মুজিববাদী সংবিধানের’ কবর রচনা করা হবে।
ঘোষণাপত্রের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে সংবিধান বিষয়ে ছাত্রদের বক্তব্যে বিএনপি অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। সংবিধান বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেই সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।... এভাবে কথা বলাটা ঠিক হলো?’
রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সর্বসম্মত’ ঘোষণাপত্র তৈরির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষণাপত্র প্রকাশের বদলে ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ নামে ঐক্য সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই সমাবেশে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি, দ্রুততম সময়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার অথবা বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। এ সমাবেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। ১ জানুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘এই নামে (মার্চ ফর ইউনিটি) কেন সমাবেশ করতে হলো? ইউনিটির নামে এ ধরনের সমাবেশ, বক্তব্য, ষড়যন্ত্রকারী, লুটপাটকারী ও ফ্যাসিবাদীদের জন্য সহায়ক নয় কি? মার্চ ফর ইউনিটির সমাবেশে আমরা লক্ষ করেছি, তাদের মুখ থেকে কী ধরনের বাক্য এসেছে, কী ধরনের বক্তব্য এসেছে, তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ (শরীরী ভাষা) কী ছিল। আমাদের প্রশ্ন, কী কারণে ইউনিটির নামে মিটিং করতে হয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মাঠে থেকে দাবি আদায় করতে পারতাম। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা দরকার। আর রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যও প্রয়োজন। আমরা প্রোক্লেমেশনের (ঘোষণাপত্রের) বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণা করা হবে। তাই আমরা মার্চ ফর ইউনিটি পালন করেছি।’
শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্নভাবে যুক্তদের নিয়ে ৫ আগস্টের পর গঠিত হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান সংস্কার অথবা বাতিল এবং প্রোক্লেমেশনের দাবি থেকে আমরা সরে আসিনি। প্রোক্লেমেশনের ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য যেন তৈরি হয়।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল চাওয়া মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বক্তব্য। বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চাওয়ার সঙ্গে অসংগতি রয়েছে। সে জন্য আমরা নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ফোর্স হিসেবে আমরা দাবি করেছি, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের ইনসিকিউরিটি (নিরাপত্তাহীনতার বোধ) তৈরি হয়েছে। তার আঁচ সরকারেও লেগেছে। তবে এ সরকার জনগণের ম্যান্ডেটের সরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে এর সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
‘বিএনপি ছাত্রদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না’—এমন অভিযোগের জবাবে ছাত্রদের সুস্থির হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। আলোচনার সুযোগ রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বয়স্কদের মস্তিষ্ক এবং তারুণ্যের শক্তিকে এক করতে চাই। সে ক্ষেত্রে তাদের (ছাত্র) অবজ্ঞা করার বা গুরুত্ব না দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা মিলিত শক্তির মাধ্যমেই সংস্কার করতে চাই।... এখন যদি আরও কিছু প্রয়োজন হয়, বিএনপির সঙ্গে তারা বসতে পারে তো আলোচনায়। শুধু বিএনপি নয়, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই বসতে পারে। বিশেষ বিশেষ দলের সঙ্গে বিশেষ বিশেষ পর্যায়ে যোগাযোগ, সেটা তো সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখে না। যোগাযোগটা তো সবার সঙ্গেই হওয়া উচিত।’
ছাত্রদের সাম্প্রতিক এসব তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে বিএনপির এককালের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ বিষয়ে বলেন, ‘জনগণ কোনটা গ্রহণ করবে, এটা তাদের বিষয়। ছাত্ররা একটা পরিবর্তন এনেছে, তাদের বিভিন্ন দাবি থাকতে পারে, আমরা কাউকে চাপ দেই না। কোনো বক্তব্য স্পষ্ট না হওয়ার আগে সে বিষয়ে কোনো কথাও বলি না।’
এ প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ছাত্ররা তাদের দাবি উত্থাপন করছে। বিভিন্ন দল-সংগঠন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। তবে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উত্তরণ প্রক্রিয়ায় জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগোনোই ঠিক হবে।’

গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠ গরম করে রেখেছেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সমমনা সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নিজেদের ‘রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে জানান দিতে চাইছে। তারা সরকারের নীতি ও কার্যকলাপের ওপর কিছু প্রভাব বিস্তারে সফল হলেও রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান বাতিলের দাবি ও ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের উদ্যোগসহ কয়েকটি ইস্যুতে তাদের সঙ্গে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনকারী ছাত্রদের তরফ থেকে বিএনপিসহ দলগুলোর অবস্থানকে ‘রাজনৈতিক চাপ’ বলা হচ্ছে। অন্যদিকে এই অভিযোগকে নাকচ করে দিয়ে সংকট সমাধানে আলোচনায় গুরুত্ব দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র ও নাগরিক সমাজের তরুণ নেতাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি ছাত্রদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলটি ছাত্রদের দাবির বিপরীতে দাঁড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করছে।’
বিএনপির বিষয়ে ছাত্রদের এ মূল্যায়নের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘তাঁরা (ছাত্র) তো সংবিধান বাতিল চান। লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত যে সংবিধান, তা তো কেটে ফেলা যায় না, সংশোধন হতে পারে। এটাকে বাদ দেওয়া তো মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আলোচনায় বসার কথা বলেছে। আগে বসা হোক, তারপর কথা বলতে পারব।’
গত ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ ও ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তাঁর অপসারণ, ১৯৭২ সালে গৃহীত দেশের প্রথম সংবিধান বাতিল, বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন ছাত্ররা। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নৃশংসতার জন্য নিন্দিত ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলেও বাকি দাবিগুলো পূরণ হয়নি। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত ছিল। একই যুক্তিতে ছাত্রদের এই দাবিতে আপত্তি জানায় কয়েকবার ক্ষমতায় আসা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে জুলাই অভ্যুত্থানের ‘ঘোষণাপত্র’ আসবে বলে ২৮ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক। পরদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘মুজিববাদী সংবিধানের’ কবর রচনা করা হবে।
ঘোষণাপত্রের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে সংবিধান বিষয়ে ছাত্রদের বক্তব্যে বিএনপি অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। সংবিধান বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেই সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।... এভাবে কথা বলাটা ঠিক হলো?’
রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সর্বসম্মত’ ঘোষণাপত্র তৈরির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষণাপত্র প্রকাশের বদলে ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ নামে ঐক্য সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই সমাবেশে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি, দ্রুততম সময়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার অথবা বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। এ সমাবেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। ১ জানুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘এই নামে (মার্চ ফর ইউনিটি) কেন সমাবেশ করতে হলো? ইউনিটির নামে এ ধরনের সমাবেশ, বক্তব্য, ষড়যন্ত্রকারী, লুটপাটকারী ও ফ্যাসিবাদীদের জন্য সহায়ক নয় কি? মার্চ ফর ইউনিটির সমাবেশে আমরা লক্ষ করেছি, তাদের মুখ থেকে কী ধরনের বাক্য এসেছে, কী ধরনের বক্তব্য এসেছে, তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ (শরীরী ভাষা) কী ছিল। আমাদের প্রশ্ন, কী কারণে ইউনিটির নামে মিটিং করতে হয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মাঠে থেকে দাবি আদায় করতে পারতাম। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা দরকার। আর রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যও প্রয়োজন। আমরা প্রোক্লেমেশনের (ঘোষণাপত্রের) বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণা করা হবে। তাই আমরা মার্চ ফর ইউনিটি পালন করেছি।’
শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্নভাবে যুক্তদের নিয়ে ৫ আগস্টের পর গঠিত হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান সংস্কার অথবা বাতিল এবং প্রোক্লেমেশনের দাবি থেকে আমরা সরে আসিনি। প্রোক্লেমেশনের ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য যেন তৈরি হয়।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল চাওয়া মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বক্তব্য। বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চাওয়ার সঙ্গে অসংগতি রয়েছে। সে জন্য আমরা নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ফোর্স হিসেবে আমরা দাবি করেছি, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের ইনসিকিউরিটি (নিরাপত্তাহীনতার বোধ) তৈরি হয়েছে। তার আঁচ সরকারেও লেগেছে। তবে এ সরকার জনগণের ম্যান্ডেটের সরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে এর সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
‘বিএনপি ছাত্রদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না’—এমন অভিযোগের জবাবে ছাত্রদের সুস্থির হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। আলোচনার সুযোগ রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বয়স্কদের মস্তিষ্ক এবং তারুণ্যের শক্তিকে এক করতে চাই। সে ক্ষেত্রে তাদের (ছাত্র) অবজ্ঞা করার বা গুরুত্ব না দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা মিলিত শক্তির মাধ্যমেই সংস্কার করতে চাই।... এখন যদি আরও কিছু প্রয়োজন হয়, বিএনপির সঙ্গে তারা বসতে পারে তো আলোচনায়। শুধু বিএনপি নয়, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই বসতে পারে। বিশেষ বিশেষ দলের সঙ্গে বিশেষ বিশেষ পর্যায়ে যোগাযোগ, সেটা তো সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখে না। যোগাযোগটা তো সবার সঙ্গেই হওয়া উচিত।’
ছাত্রদের সাম্প্রতিক এসব তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে বিএনপির এককালের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ বিষয়ে বলেন, ‘জনগণ কোনটা গ্রহণ করবে, এটা তাদের বিষয়। ছাত্ররা একটা পরিবর্তন এনেছে, তাদের বিভিন্ন দাবি থাকতে পারে, আমরা কাউকে চাপ দেই না। কোনো বক্তব্য স্পষ্ট না হওয়ার আগে সে বিষয়ে কোনো কথাও বলি না।’
এ প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ছাত্ররা তাদের দাবি উত্থাপন করছে। বিভিন্ন দল-সংগঠন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। তবে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উত্তরণ প্রক্রিয়ায় জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগোনোই ঠিক হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠ গরম করে রেখেছেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সমমনা সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নিজেদের ‘রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে জানান দিতে চাইছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠ গরম করে রেখেছেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সমমনা সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নিজেদের ‘রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে জানান দিতে চাইছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠ গরম করে রেখেছেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সমমনা সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নিজেদের ‘রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে জানান দিতে চাইছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠ গরম করে রেখেছেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সমমনা সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নিজেদের ‘রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে জানান দিতে চাইছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৯ ঘণ্টা আগে