আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, জুনের শেষ সপ্তাহে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। আগামীকাল (রোববার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উদ্বোধনের সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। তিনি যখন সময় দেবেন, তখনই উদ্বোধন করা হবে। 

আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করছি। বঙ্গবন্ধুকন্যার সে স্বপ্ন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। আর বেশি দূরে নয়, চন্দ্রাদীপ্ত পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাবে। আগামীকাল (রোববার) সারসংক্ষেপ (সামারি) পাঠাব নেত্রীকে। তিনি যখন সময় দেবেন সেই সময় আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করব। নেতা-কর্মীদের আগাম দাওয়াত দিয়ে গেলাম।’ 

সেতুমন্ত্রী বলেন, যত দিন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকবে তত দিন বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা নয়, বাংলাদেশকে তুলনা করা হবে আমেরিকা, ইউরোপের সঙ্গে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৩ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ কোথায়! শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই দেশের চেহারা পাল্টে গেছে। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রী। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এই জাতিকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন আর শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন। আমাদের আজকের মুক্তিসংগ্রামের কান্ডারি তিনি।’ 

আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস করে পরবর্তী নির্বাচনে জিততে চায়—বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সন্ত্রাসী হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দল বিএনপি। সন্ত্রাস করে বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় তারা এসেছিল। আমাদের শক্তির উৎস হলো এই দেশের মাটি ও জনগণ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবারও বিজয়ে পৌঁছাব।’ 

বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন-অর্জনের চিত্র তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, দেশের মানুষ ভালো আছে বলেই তাঁদের মন খারাপ। 

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন প্রমুখ।