নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কিছু মন্ত্রী এবং পুলিশের কতিপয় লোক সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার তদন্ত ব্যাহত করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর ছেলে রেজা কিবরিয়া। একই সময় দলীয় কোন্দলে সাবেক এই অর্থমন্ত্রীকে হত্যা করে রাজনৈতিক ফায়দা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ এমন অভিযোগও করেন গণ অধিকার পরিষদের বেশ কিছু নেতা।
শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘কিবরিয়া পরিবারের’ ব্যানারে আয়োজিত বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁর পরিবারের পক্ষে এক মানববন্ধনে এমন মন্তব্য করেন রেজা কিবরিয়া এবং গণ অধিকার পরিষদের নেতারা।
মানববন্ধনে রেজা কিবরিয়া বলেন, আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অনেককেই না করা হয়েছে। কিছুটা রাজনৈতিক প্রভাবে তদন্তকারীদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। যারা তদন্ত করতে দেয়নি তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। দে উইল বি পার্ট অব অ্যান্ড কন্সপিরেসি টু মার্ডার, ওকে? (হত্যার ষড়যন্ত্রে তারাও আসামি হবেন) কন্সপিরেসি টু কাভার আপ, কন্সপিরেসি টু মার্ডার। এই দুইটা চার্জ তাদের বিরুদ্ধে আনা হবে। যারা এখন তদন্ত আটকাচ্ছে। যারা পুলিশে, যারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, যারা মন্ত্রী তারা যে এই তদন্ত আটকাচ্ছে এবং সীমিত রাখছে তাদেরকেও একদিন বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
নিজের দল ক্ষমতায় গেলে বাবাসহ সব হত্যা ও গুমের বিচার হবে উল্লেখ গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে কোন অপরাধের বিচার চাওয়ার জন্য মানববন্ধন করে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে না। প্রত্যেকটা মানুষের সুবিচারের ব্যবস্থা করে দেব। শুধু মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী না তাদের গুষ্টি ছাড়াও অন্য মানুষও আছে এদেশে। আমাদের দল জনগণের অধিকারের দল। আমরা ক্ষমতায় গেলে জনগণ নিরাপদে থাকবে, সরকারি কোন হত্যাকাণ্ডের শিকার কেউ হবে না ভবিষ্যৎ।
এক প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তদন্ত হলে এটা বোঝা যাবে। এত বছরের তদন্ত না হওয়াতে সঠিকভাবে কিছু বলতে পারছি না। এখন তদন্ত ব্যাহত করা হচ্ছে। সরকারি হস্তক্ষেপ না থাকলে এই হত্যা মামলার তদন্ত তো আটকে থাকার কথা না। তদন্তের পরে মোট তিনটি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। একটার সঙ্গে অপরটার কোন মিল নেই। একেবারেই ভিন্ন কিন্তু তিনটি চার্জশিটই সঠিক দাবি করে জোরপূর্বক আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা তো কোনোটাই মানিনি। দ্বিতীয় চার্জশিট এনে মেনে নেওয়ার জন্য আমার মাকে ধমকা ধামকি করা হয়েছে। ধমকাধমকি করেছে মজিদ খান নামে একজন সংসদ সদস্য। যিনি এই হত্যা মামলার বাদি ছিলেন। তিনি আমার মাকে বলেছেন ‘এই চার্জশিট মানতে হবে, মানবেন না মানে!’
মানববন্ধনে বক্তব্যকালে গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ঘটনার সতের বছর পরেও এখন পর্যন্ত কোন বিচার হয়নি। তার মানে এখান থেকে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অবশ্যই আওয়ামী লীগ জড়িত। আর এই কারণেই তারা এই বিচার করছেন না।
মানববন্ধনে গণ অধিকার পরিষদের অন্যান্য বক্তারা বলেন, শাহ এ এস এম কিবরিয়ার মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। অথচ আজ তাঁর হত্যার বিচারের কোন সুষ্ঠু তদন্ত করছে না। বরং তারা ক্ষমতায় বসে একটা স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে আছেন। এই সরকারের কাছে আমরা আর বিচার প্রত্যাশা করি না৷ আমরা ক্ষমতায় গিয়ে একটা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করব। পিতা হত্যার বিচারের জন্য কী রেজা কিবরিয়াকে শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতায় বসতে হবে, প্রধানমন্ত্রী হতে হবে? এমন প্রশ্ন রাখেন বক্তারা ৷
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, গণ-অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর, কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক হোসেনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কিছু মন্ত্রী এবং পুলিশের কতিপয় লোক সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার তদন্ত ব্যাহত করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর ছেলে রেজা কিবরিয়া। একই সময় দলীয় কোন্দলে সাবেক এই অর্থমন্ত্রীকে হত্যা করে রাজনৈতিক ফায়দা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ এমন অভিযোগও করেন গণ অধিকার পরিষদের বেশ কিছু নেতা।
শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘কিবরিয়া পরিবারের’ ব্যানারে আয়োজিত বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁর পরিবারের পক্ষে এক মানববন্ধনে এমন মন্তব্য করেন রেজা কিবরিয়া এবং গণ অধিকার পরিষদের নেতারা।
মানববন্ধনে রেজা কিবরিয়া বলেন, আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অনেককেই না করা হয়েছে। কিছুটা রাজনৈতিক প্রভাবে তদন্তকারীদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। যারা তদন্ত করতে দেয়নি তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। দে উইল বি পার্ট অব অ্যান্ড কন্সপিরেসি টু মার্ডার, ওকে? (হত্যার ষড়যন্ত্রে তারাও আসামি হবেন) কন্সপিরেসি টু কাভার আপ, কন্সপিরেসি টু মার্ডার। এই দুইটা চার্জ তাদের বিরুদ্ধে আনা হবে। যারা এখন তদন্ত আটকাচ্ছে। যারা পুলিশে, যারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, যারা মন্ত্রী তারা যে এই তদন্ত আটকাচ্ছে এবং সীমিত রাখছে তাদেরকেও একদিন বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
নিজের দল ক্ষমতায় গেলে বাবাসহ সব হত্যা ও গুমের বিচার হবে উল্লেখ গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে কোন অপরাধের বিচার চাওয়ার জন্য মানববন্ধন করে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে না। প্রত্যেকটা মানুষের সুবিচারের ব্যবস্থা করে দেব। শুধু মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী না তাদের গুষ্টি ছাড়াও অন্য মানুষও আছে এদেশে। আমাদের দল জনগণের অধিকারের দল। আমরা ক্ষমতায় গেলে জনগণ নিরাপদে থাকবে, সরকারি কোন হত্যাকাণ্ডের শিকার কেউ হবে না ভবিষ্যৎ।
এক প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তদন্ত হলে এটা বোঝা যাবে। এত বছরের তদন্ত না হওয়াতে সঠিকভাবে কিছু বলতে পারছি না। এখন তদন্ত ব্যাহত করা হচ্ছে। সরকারি হস্তক্ষেপ না থাকলে এই হত্যা মামলার তদন্ত তো আটকে থাকার কথা না। তদন্তের পরে মোট তিনটি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। একটার সঙ্গে অপরটার কোন মিল নেই। একেবারেই ভিন্ন কিন্তু তিনটি চার্জশিটই সঠিক দাবি করে জোরপূর্বক আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা তো কোনোটাই মানিনি। দ্বিতীয় চার্জশিট এনে মেনে নেওয়ার জন্য আমার মাকে ধমকা ধামকি করা হয়েছে। ধমকাধমকি করেছে মজিদ খান নামে একজন সংসদ সদস্য। যিনি এই হত্যা মামলার বাদি ছিলেন। তিনি আমার মাকে বলেছেন ‘এই চার্জশিট মানতে হবে, মানবেন না মানে!’
মানববন্ধনে বক্তব্যকালে গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ঘটনার সতের বছর পরেও এখন পর্যন্ত কোন বিচার হয়নি। তার মানে এখান থেকে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অবশ্যই আওয়ামী লীগ জড়িত। আর এই কারণেই তারা এই বিচার করছেন না।
মানববন্ধনে গণ অধিকার পরিষদের অন্যান্য বক্তারা বলেন, শাহ এ এস এম কিবরিয়ার মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। অথচ আজ তাঁর হত্যার বিচারের কোন সুষ্ঠু তদন্ত করছে না। বরং তারা ক্ষমতায় বসে একটা স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে আছেন। এই সরকারের কাছে আমরা আর বিচার প্রত্যাশা করি না৷ আমরা ক্ষমতায় গিয়ে একটা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করব। পিতা হত্যার বিচারের জন্য কী রেজা কিবরিয়াকে শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতায় বসতে হবে, প্রধানমন্ত্রী হতে হবে? এমন প্রশ্ন রাখেন বক্তারা ৷
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, গণ-অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর, কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক হোসেনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১৬ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ দিন আগে