অনলাইন ডেস্ক
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাত্র এক সপ্তাহেই অনেক কিছু ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ব্যাপক সহিংসতা, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং শনিবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। নির্বাচন কবে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত।
গতকাল শনিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র বিক্ষোভের মুখেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ‘অনেক মানুষ হত্যা করা’ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং দলটি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। দেশে হিন্দুদের ওপর যেসব আক্রমণ হয়েছে, সেগুলো কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ঘটানো কোনো ‘পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডার’ অংশ নয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো চরমপন্থীদের সংযোগ ছিল না।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাবেক শাসনামলের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই শাসনামলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছিল। তিনি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ ছিলেন না এবং সে কারণেই দাবিটি খুব বেশি ছিল।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত শাসনামলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
নির্বাচন কবে
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন, তখন সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশে আবার কবে নির্বাচন হবে।
এই সপ্তাহেই কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তা হয়নি...চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখন ভ্রমণের অবস্থায় নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় লাগবে বলেও মানেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোনো জবরদস্তি বা কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষের ভিড় হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল—হয় এখানে থেকে জনস্রোতের মুখোমুখি হন, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ
এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় থাকবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। আমাদের দেশ বা কোনো দেশে যখন কোনো পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কিছু লোক আছে, যারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি বিপ্লবের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুসলিম কিংবা হিন্দু যা-ই হোন না কেন, কোনো বাছবিচার না করেই রোষের শিকার হন। কিন্তু এটি মোটেও রাজনৈতিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ দেশে অসাধারণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মূল করা হবে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের পরিকল্পিত হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মামলাগুলো তদন্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন না বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে যে তারাই দেশের ত্রাণকর্তা। তাই আমি মনে করি না, তারা এমন কিছু করবে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে।’
চরমপন্থী সংযোগ?
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে সহিংসতা অনেকাংশে কমে গেছে এবং হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো চরমপন্থী উপাদান জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত (জামায়াতে ইসলামী) চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয়। তবে বাংলাদেশে কিছু চরমপন্থী দল ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি না যে এখন তাদের অস্তিত্ব আছে। চরমপন্থীরা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অসাধারণ মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাত্র এক সপ্তাহেই অনেক কিছু ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ব্যাপক সহিংসতা, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং শনিবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। নির্বাচন কবে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত।
গতকাল শনিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র বিক্ষোভের মুখেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ‘অনেক মানুষ হত্যা করা’ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং দলটি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। দেশে হিন্দুদের ওপর যেসব আক্রমণ হয়েছে, সেগুলো কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ঘটানো কোনো ‘পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডার’ অংশ নয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো চরমপন্থীদের সংযোগ ছিল না।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাবেক শাসনামলের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই শাসনামলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছিল। তিনি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ ছিলেন না এবং সে কারণেই দাবিটি খুব বেশি ছিল।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত শাসনামলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
নির্বাচন কবে
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন, তখন সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশে আবার কবে নির্বাচন হবে।
এই সপ্তাহেই কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তা হয়নি...চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখন ভ্রমণের অবস্থায় নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় লাগবে বলেও মানেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোনো জবরদস্তি বা কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষের ভিড় হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল—হয় এখানে থেকে জনস্রোতের মুখোমুখি হন, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ
এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় থাকবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। আমাদের দেশ বা কোনো দেশে যখন কোনো পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কিছু লোক আছে, যারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি বিপ্লবের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুসলিম কিংবা হিন্দু যা-ই হোন না কেন, কোনো বাছবিচার না করেই রোষের শিকার হন। কিন্তু এটি মোটেও রাজনৈতিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ দেশে অসাধারণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মূল করা হবে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের পরিকল্পিত হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মামলাগুলো তদন্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন না বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে যে তারাই দেশের ত্রাণকর্তা। তাই আমি মনে করি না, তারা এমন কিছু করবে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে।’
চরমপন্থী সংযোগ?
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে সহিংসতা অনেকাংশে কমে গেছে এবং হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো চরমপন্থী উপাদান জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত (জামায়াতে ইসলামী) চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয়। তবে বাংলাদেশে কিছু চরমপন্থী দল ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি না যে এখন তাদের অস্তিত্ব আছে। চরমপন্থীরা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অসাধারণ মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৪ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৭ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
১০ ঘণ্টা আগে