
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাত্র এক সপ্তাহেই অনেক কিছু ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ব্যাপক সহিংসতা, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং শনিবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। নির্বাচন কবে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত।
গতকাল শনিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র বিক্ষোভের মুখেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ‘অনেক মানুষ হত্যা করা’ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং দলটি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। দেশে হিন্দুদের ওপর যেসব আক্রমণ হয়েছে, সেগুলো কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ঘটানো কোনো ‘পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডার’ অংশ নয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো চরমপন্থীদের সংযোগ ছিল না।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাবেক শাসনামলের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই শাসনামলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছিল। তিনি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ ছিলেন না এবং সে কারণেই দাবিটি খুব বেশি ছিল।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত শাসনামলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
নির্বাচন কবে
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন, তখন সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশে আবার কবে নির্বাচন হবে।
এই সপ্তাহেই কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তা হয়নি...চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখন ভ্রমণের অবস্থায় নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় লাগবে বলেও মানেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোনো জবরদস্তি বা কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষের ভিড় হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল—হয় এখানে থেকে জনস্রোতের মুখোমুখি হন, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ
এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় থাকবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। আমাদের দেশ বা কোনো দেশে যখন কোনো পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কিছু লোক আছে, যারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি বিপ্লবের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুসলিম কিংবা হিন্দু যা-ই হোন না কেন, কোনো বাছবিচার না করেই রোষের শিকার হন। কিন্তু এটি মোটেও রাজনৈতিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ দেশে অসাধারণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মূল করা হবে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের পরিকল্পিত হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মামলাগুলো তদন্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন না বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে যে তারাই দেশের ত্রাণকর্তা। তাই আমি মনে করি না, তারা এমন কিছু করবে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে।’
চরমপন্থী সংযোগ?
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে সহিংসতা অনেকাংশে কমে গেছে এবং হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো চরমপন্থী উপাদান জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত (জামায়াতে ইসলামী) চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয়। তবে বাংলাদেশে কিছু চরমপন্থী দল ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি না যে এখন তাদের অস্তিত্ব আছে। চরমপন্থীরা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অসাধারণ মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাত্র এক সপ্তাহেই অনেক কিছু ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ব্যাপক সহিংসতা, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং শনিবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। নির্বাচন কবে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত।
গতকাল শনিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র বিক্ষোভের মুখেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ‘অনেক মানুষ হত্যা করা’ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং দলটি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। দেশে হিন্দুদের ওপর যেসব আক্রমণ হয়েছে, সেগুলো কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ঘটানো কোনো ‘পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডার’ অংশ নয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো চরমপন্থীদের সংযোগ ছিল না।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাবেক শাসনামলের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই শাসনামলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছিল। তিনি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ ছিলেন না এবং সে কারণেই দাবিটি খুব বেশি ছিল।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত শাসনামলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
নির্বাচন কবে
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন, তখন সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশে আবার কবে নির্বাচন হবে।
এই সপ্তাহেই কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তা হয়নি...চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখন ভ্রমণের অবস্থায় নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় লাগবে বলেও মানেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোনো জবরদস্তি বা কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষের ভিড় হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল—হয় এখানে থেকে জনস্রোতের মুখোমুখি হন, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ
এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় থাকবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। আমাদের দেশ বা কোনো দেশে যখন কোনো পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কিছু লোক আছে, যারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি বিপ্লবের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুসলিম কিংবা হিন্দু যা-ই হোন না কেন, কোনো বাছবিচার না করেই রোষের শিকার হন। কিন্তু এটি মোটেও রাজনৈতিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ দেশে অসাধারণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মূল করা হবে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের পরিকল্পিত হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মামলাগুলো তদন্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন না বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে যে তারাই দেশের ত্রাণকর্তা। তাই আমি মনে করি না, তারা এমন কিছু করবে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে।’
চরমপন্থী সংযোগ?
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে সহিংসতা অনেকাংশে কমে গেছে এবং হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো চরমপন্থী উপাদান জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত (জামায়াতে ইসলামী) চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয়। তবে বাংলাদেশে কিছু চরমপন্থী দল ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি না যে এখন তাদের অস্তিত্ব আছে। চরমপন্থীরা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অসাধারণ মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাত্র এক সপ্তাহেই অনেক কিছু ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ব্যাপক সহিংসতা, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং শনিবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। নির্বাচন কবে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত।
গতকাল শনিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র বিক্ষোভের মুখেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ‘অনেক মানুষ হত্যা করা’ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং দলটি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। দেশে হিন্দুদের ওপর যেসব আক্রমণ হয়েছে, সেগুলো কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ঘটানো কোনো ‘পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডার’ অংশ নয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো চরমপন্থীদের সংযোগ ছিল না।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাবেক শাসনামলের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই শাসনামলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছিল। তিনি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ ছিলেন না এবং সে কারণেই দাবিটি খুব বেশি ছিল।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত শাসনামলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
নির্বাচন কবে
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন, তখন সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশে আবার কবে নির্বাচন হবে।
এই সপ্তাহেই কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তা হয়নি...চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখন ভ্রমণের অবস্থায় নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় লাগবে বলেও মানেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোনো জবরদস্তি বা কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষের ভিড় হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল—হয় এখানে থেকে জনস্রোতের মুখোমুখি হন, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ
এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় থাকবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। আমাদের দেশ বা কোনো দেশে যখন কোনো পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কিছু লোক আছে, যারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি বিপ্লবের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুসলিম কিংবা হিন্দু যা-ই হোন না কেন, কোনো বাছবিচার না করেই রোষের শিকার হন। কিন্তু এটি মোটেও রাজনৈতিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ দেশে অসাধারণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মূল করা হবে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের পরিকল্পিত হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মামলাগুলো তদন্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন না বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে যে তারাই দেশের ত্রাণকর্তা। তাই আমি মনে করি না, তারা এমন কিছু করবে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে।’
চরমপন্থী সংযোগ?
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে সহিংসতা অনেকাংশে কমে গেছে এবং হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো চরমপন্থী উপাদান জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত (জামায়াতে ইসলামী) চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয়। তবে বাংলাদেশে কিছু চরমপন্থী দল ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি না যে এখন তাদের অস্তিত্ব আছে। চরমপন্থীরা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অসাধারণ মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাত্র এক সপ্তাহেই অনেক কিছু ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ব্যাপক সহিংসতা, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং শনিবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। নির্বাচন কবে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত।
গতকাল শনিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র বিক্ষোভের মুখেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ‘অনেক মানুষ হত্যা করা’ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং দলটি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। দেশে হিন্দুদের ওপর যেসব আক্রমণ হয়েছে, সেগুলো কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ঘটানো কোনো ‘পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডার’ অংশ নয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো চরমপন্থীদের সংযোগ ছিল না।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাবেক শাসনামলের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই শাসনামলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছিল। তিনি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ ছিলেন না এবং সে কারণেই দাবিটি খুব বেশি ছিল।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত শাসনামলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
নির্বাচন কবে
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন, তখন সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশে আবার কবে নির্বাচন হবে।
এই সপ্তাহেই কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তা হয়নি...চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখন ভ্রমণের অবস্থায় নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় লাগবে বলেও মানেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোনো জবরদস্তি বা কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষের ভিড় হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল—হয় এখানে থেকে জনস্রোতের মুখোমুখি হন, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ
এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় থাকবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। আমাদের দেশ বা কোনো দেশে যখন কোনো পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কিছু লোক আছে, যারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি বিপ্লবের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুসলিম কিংবা হিন্দু যা-ই হোন না কেন, কোনো বাছবিচার না করেই রোষের শিকার হন। কিন্তু এটি মোটেও রাজনৈতিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ দেশে অসাধারণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মূল করা হবে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের পরিকল্পিত হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মামলাগুলো তদন্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন না বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে যে তারাই দেশের ত্রাণকর্তা। তাই আমি মনে করি না, তারা এমন কিছু করবে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে।’
চরমপন্থী সংযোগ?
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে সহিংসতা অনেকাংশে কমে গেছে এবং হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো চরমপন্থী উপাদান জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত (জামায়াতে ইসলামী) চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয়। তবে বাংলাদেশে কিছু চরমপন্থী দল ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি না যে এখন তাদের অস্তিত্ব আছে। চরমপন্থীরা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অসাধারণ মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ আগস্ট ২০২৪
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ আগস্ট ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ আগস্ট ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ আগস্ট ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৯ ঘণ্টা আগে