নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের মুখে দেশের উন্নয়নের কথা শুনতে শুনতে দেশবাসী চরম অতিষ্ঠ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, ‘সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১ গোলচত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের দাবিতে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীরা বলেছিলেন, বাংলাদেশে এমন সময় আসছে যখন গ্রামেগঞ্জে ঝুড়িতে করে বিদ্যুৎ বিক্রি হবে। অথচ সেই সরকারেরই জ্বালানি উপদেষ্টা গত কয়েক দিন আগে জানিয়ে দিলেন আসুন আমরা শপথ করি দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না। তিনি তাদের অক্ষমতার কথা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রিজার্ভ খরচ করে তেল গ্যাস ক্রয় করার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। জ্বালানি উপদেষ্টা এত উন্নয়নের গল্পের মধ্যে যে শপথ করাতে চান তাতেই প্রমাণিত হয় সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তার মুখ দিয়ে প্রকৃত কথাটাই বেরিয়ে এসেছে।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী আরও বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে লোডশেডিংয়ের কথা চিন্তাই করা যায় না। সেখানে আমাদের দেশে শহরেই গড়ে প্রতিদিন ৫-৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। গ্রামাঞ্চলেতো বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ আর উন্নয়নের মুখরোচক গল্প প্রচার করা হয়। জনগণের সঙ্গে মিথ্যাচারেরও একটা সীমা থাকা উচিত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শুধু বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের বিপর্যয় নয়, দেশের জনগণ এরই মধ্যে অঘোষিত দুর্ভিক্ষে পতিত হয়েছে। অধিকাংশ মানুষই বর্তমানে খাবার কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। ব্যর্থতার দায়ে সরকারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘দেশের মানুষকে দুর্ভিক্ষের জন্য সচেতন হতে বলা হলেও পত্রপত্রিকার মাধ্যমে যখন দেখা যায় হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে তখন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমাদের লজ্জা লাগে। জ্বালানি সংকটের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই সংকট দীর্ঘমেয়াদি হলে পুরো অর্থনীতিকে স্থবির করে দিতে পারে। যা দেশের জন্য অশনিসংকেত। অবিলম্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নইলে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ে রাজপথে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়দাতা আওয়ামী সরকারকে সমুচিত জবাব দেবে।’
সমাবেশ শেষে মিরপুর-১ গোলচত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল মিরপুর নিউমার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল ইসলাম নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেনসহ প্রমুখ।
সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের মুখে দেশের উন্নয়নের কথা শুনতে শুনতে দেশবাসী চরম অতিষ্ঠ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, ‘সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১ গোলচত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের দাবিতে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীরা বলেছিলেন, বাংলাদেশে এমন সময় আসছে যখন গ্রামেগঞ্জে ঝুড়িতে করে বিদ্যুৎ বিক্রি হবে। অথচ সেই সরকারেরই জ্বালানি উপদেষ্টা গত কয়েক দিন আগে জানিয়ে দিলেন আসুন আমরা শপথ করি দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না। তিনি তাদের অক্ষমতার কথা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রিজার্ভ খরচ করে তেল গ্যাস ক্রয় করার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। জ্বালানি উপদেষ্টা এত উন্নয়নের গল্পের মধ্যে যে শপথ করাতে চান তাতেই প্রমাণিত হয় সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তার মুখ দিয়ে প্রকৃত কথাটাই বেরিয়ে এসেছে।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী আরও বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে লোডশেডিংয়ের কথা চিন্তাই করা যায় না। সেখানে আমাদের দেশে শহরেই গড়ে প্রতিদিন ৫-৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। গ্রামাঞ্চলেতো বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ আর উন্নয়নের মুখরোচক গল্প প্রচার করা হয়। জনগণের সঙ্গে মিথ্যাচারেরও একটা সীমা থাকা উচিত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শুধু বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের বিপর্যয় নয়, দেশের জনগণ এরই মধ্যে অঘোষিত দুর্ভিক্ষে পতিত হয়েছে। অধিকাংশ মানুষই বর্তমানে খাবার কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। ব্যর্থতার দায়ে সরকারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘দেশের মানুষকে দুর্ভিক্ষের জন্য সচেতন হতে বলা হলেও পত্রপত্রিকার মাধ্যমে যখন দেখা যায় হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে তখন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমাদের লজ্জা লাগে। জ্বালানি সংকটের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই সংকট দীর্ঘমেয়াদি হলে পুরো অর্থনীতিকে স্থবির করে দিতে পারে। যা দেশের জন্য অশনিসংকেত। অবিলম্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নইলে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ে রাজপথে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়দাতা আওয়ামী সরকারকে সমুচিত জবাব দেবে।’
সমাবেশ শেষে মিরপুর-১ গোলচত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল মিরপুর নিউমার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল ইসলাম নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেনসহ প্রমুখ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
২ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১৩ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১৬ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে