পঞ্চগড় প্রতিনিধি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কেউ যেন অন্যায়ভাবে আমাদের দেশের ভেতর হাত না দেয়। দেশকে বিভক্ত করতে না পারে। সে জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।’
আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওপারে পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে। শেখ হাসিনা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এই দেশে বলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আমরা এই অঞ্চলের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এখানে হিন্দু–মুসলিম–বৌদ্ধ–খ্রিষ্টান সবাই একসঙ্গে বাস করি। পুজোয় এখানে মন্দির পাহারা দিয়েছে আমাদের লোকজন। তারা আমাদের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বিপদে ফেলতে চাচ্ছে। আমাদের তাদের বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন একাত্তর ভুলে যাবে। একাত্তর আমরা ভুলতে পারি না। একাত্তরে আমাদের একটা স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছে। আমি আমার নিজেকে চিনতে পেরেছি একাত্তর সালে। আমরা আমাদের জন্য একটা ভূখণ্ড তৈরি করতে পেরেছি। প্রায় ১৫ বছর আমরা একটি ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানব সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বারবার জেলে গেছি। এখানেও অনেক মানুষ আছে যারা জেলে গেছে। পালিয়ে ছিলেন, ঘরে থাকতে পারেননি। সারা দেশে একটা ভয়ের রাজত্ব গড়ে তোলা হয়েছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ হলো যখন একটা সরকার নির্বাচনের নাম করে ক্ষমতায় গিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে, খুন, গুম করে। যেভাবেই হোক সে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। হাসিনা তা–ই করেছে। সে জনগণকে বোকা বানিয়ে জোর করে তিনটি নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থেকেছে। সে ভেবেছিল কোনো দিন ক্ষমতা থেকে যাবে না। যে নেত্রী বলেছিল আমি মুজিবের বেটি—আমি পালাই না, সে জীবন নিয়ে তার নেতা–কর্মীদের ছেড়ে দিয়ে, বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছে। এই হলো ফ্যাসিবাদের পরিণতি।’
ফখরুল বলেন, ‘যারা লুটপাট করে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। কেউ যেন আমাদের দেশের ওপর অন্যায়ভাবে হাত না দেয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর যে অত্যাচার করেছে, তা আর কেউ করেনি। আলেম–ওলামাদের ফাঁসি দিয়েছে। আমাদের রাজনীতিবিদদের ধরে নিয়ে গেছে। জেলে দিয়েছে। এইভাবে কেউ যেন আর অন্যায় করতে না পারে, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এখন যেন কেউ দেশকে বিভক্ত করতে না পারে। আমরা সবাই এক। আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা সবাই বাংলাদেশের উন্নয়ন চাই। এভাবেই আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
‘আমি আহ্বান জানাতে চাই সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ সকলে আসুন আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি এই সুযোগটাকে কাজে লাগাই। আবার আমরা বাংলাদেশকে সব বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে গড়ে তুলি। একটা শান্তির দেশ, প্রেমের দেশ, উন্নতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলি। আমাদের মাথায় যেন কেউ কাঁঠাল ভাঙতে না পারে—সে জন্য সজাগ থাকি।’
বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বেবী নাজনীন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরসহ দলের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিএনপি মহাসচিব আগস্ট বিপ্লবে নিহত পাঁচটি পরিবার ও পঞ্চগড়ের বিএনপি জনসভায় নিহত একটি পরিবারের স্বজনদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কেউ যেন অন্যায়ভাবে আমাদের দেশের ভেতর হাত না দেয়। দেশকে বিভক্ত করতে না পারে। সে জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।’
আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওপারে পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে। শেখ হাসিনা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এই দেশে বলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আমরা এই অঞ্চলের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এখানে হিন্দু–মুসলিম–বৌদ্ধ–খ্রিষ্টান সবাই একসঙ্গে বাস করি। পুজোয় এখানে মন্দির পাহারা দিয়েছে আমাদের লোকজন। তারা আমাদের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বিপদে ফেলতে চাচ্ছে। আমাদের তাদের বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন একাত্তর ভুলে যাবে। একাত্তর আমরা ভুলতে পারি না। একাত্তরে আমাদের একটা স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছে। আমি আমার নিজেকে চিনতে পেরেছি একাত্তর সালে। আমরা আমাদের জন্য একটা ভূখণ্ড তৈরি করতে পেরেছি। প্রায় ১৫ বছর আমরা একটি ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানব সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বারবার জেলে গেছি। এখানেও অনেক মানুষ আছে যারা জেলে গেছে। পালিয়ে ছিলেন, ঘরে থাকতে পারেননি। সারা দেশে একটা ভয়ের রাজত্ব গড়ে তোলা হয়েছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ হলো যখন একটা সরকার নির্বাচনের নাম করে ক্ষমতায় গিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে, খুন, গুম করে। যেভাবেই হোক সে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। হাসিনা তা–ই করেছে। সে জনগণকে বোকা বানিয়ে জোর করে তিনটি নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থেকেছে। সে ভেবেছিল কোনো দিন ক্ষমতা থেকে যাবে না। যে নেত্রী বলেছিল আমি মুজিবের বেটি—আমি পালাই না, সে জীবন নিয়ে তার নেতা–কর্মীদের ছেড়ে দিয়ে, বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছে। এই হলো ফ্যাসিবাদের পরিণতি।’
ফখরুল বলেন, ‘যারা লুটপাট করে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। কেউ যেন আমাদের দেশের ওপর অন্যায়ভাবে হাত না দেয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর যে অত্যাচার করেছে, তা আর কেউ করেনি। আলেম–ওলামাদের ফাঁসি দিয়েছে। আমাদের রাজনীতিবিদদের ধরে নিয়ে গেছে। জেলে দিয়েছে। এইভাবে কেউ যেন আর অন্যায় করতে না পারে, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এখন যেন কেউ দেশকে বিভক্ত করতে না পারে। আমরা সবাই এক। আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা সবাই বাংলাদেশের উন্নয়ন চাই। এভাবেই আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
‘আমি আহ্বান জানাতে চাই সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ সকলে আসুন আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি এই সুযোগটাকে কাজে লাগাই। আবার আমরা বাংলাদেশকে সব বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে গড়ে তুলি। একটা শান্তির দেশ, প্রেমের দেশ, উন্নতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলি। আমাদের মাথায় যেন কেউ কাঁঠাল ভাঙতে না পারে—সে জন্য সজাগ থাকি।’
বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বেবী নাজনীন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরসহ দলের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিএনপি মহাসচিব আগস্ট বিপ্লবে নিহত পাঁচটি পরিবার ও পঞ্চগড়ের বিএনপি জনসভায় নিহত একটি পরিবারের স্বজনদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক পর দেশে ফিরলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশে পৌঁছান তিনি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশে ফেরার বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেসমমনা ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। শুরুতেই ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করে।
১ দিন আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রবল আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। গুঞ্জন রয়েছে, নতুন বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন। বিএনপির সূত্রগুলো বলেছে, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এমনকি তারেক রহমানের জন্য বাড়িও খোঁজা হচ
২ দিন আগেবিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে রোডম্যাপ দিয়েছে, তা প্রলম্বিত রোডম্যাপ। জনগণ তা প্রত্যাশা করেনি
২ দিন আগে