আগস্ট এলে ষড়যন্ত্রকারীরা বিচলিত হয়ে যায়: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২২, ১৯: ০৭

আগস্ট মাস এলে ষড়যন্ত্রকারীরা বিচলিত হয়, তাদের ষড়যন্ত্রের ঝাঁপি খুলে যায় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয় প্রাঙ্গণে সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২১ আগস্ট আসলে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখচ্ছবি ভেসে ওঠে। ২০ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট ব্যর্থ তারা হয়েছেন, এখনো ষড়যন্ত্র আছে আমরা জানি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা এত চক্রান্তের কথা কেন বলেন, ষড়যন্ত্রের কথা কেন বলেন। বিএনপি এখন স্বপ্ন দেখছে। আগস্ট এলে এত ভয় পান কেন? আগস্ট হলো আপনাদের চক্রান্তের মাস। বিদেশিদের দরবারে গিয়ে নালিশ করছেন। নালিশের রাজনীতি করছেন।’ 

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। দেশে ভোট হলে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। বঙ্গবন্ধু এত জনপ্রিয় ছিলেন যে নির্বাচনে তাকে হারানো কোনো অবস্থায় সম্ভব ছিল না, সে জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ড কেন? নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। সে কারণেই তাঁকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট প্রধান টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা। এত জনপ্রিয় বঙ্গবন্ধুর কন্যা। সারা বাংলায় ভোট হলে বিপুল ভোটে আবারও বিজয়ী হবেন। সেই জন্যই আজকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্বে বহু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। কোনো হত্যাকাণ্ডে অবলা নারী ও শিশুকে টার্গেট করা হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশে ৭৫ সালে সেটিও হয়েছে। সেখানে শিশু রাসেলকে বাদ দেওয়া হয়নি। অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে রেহাই দেওয়া হয়নি। বেগম মুজিব যিনি কখনো রাজনীতি করেননি। অথচ তাঁকেও হত্যা করা হয়েছে।’ 

আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একুশে আগস্টের ঘটনায় মুফতি হান্নান আদালতে বলেছেন, হাওয়া ভবনের গ্রিন সিগনালে আমরা অপারেশন শুরু করেছি। এবার আমরা খুব সজাগ ও সতর্ক রয়েছি। আমরাও জানি কোথায় কে কী করছেন। বিদেশিদের দরবারে কোথায় কোথায় বৈঠক হচ্ছে। এবার চোখ-কান খোলা রেখেছি, শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে পার পাবেন না। মুচলেকা দিয়ে আর রাজনীতি করব না, কোন কাপুরুষটা বিদেশ চলে গিয়েছিলেন, তিনি হলো আপনার প্রধান নেতা। মুচলেকা দিয়ে বলেছিলেন-আর রাজনীতি করবেন না, এখন বিদেশে বসে টেমস নদীর পাশে বসে কলকাঠি নাড়ছেন। সেখান থেকে ফখরুল সাহেবকে ফরমায়েশ দেন এবং তিনি এখান থেকে কথা বলেন।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, তেলের দাম বাড়ে, জ্বালানির দাম বাড়ে? কোথায় বাড়েনি বলুন? জিনিসপত্রের দাম কোথায় বাড়েনি। লন্ডনে হুট করে মুদ্রাস্ফীতি এখন ১০ দশমিক ১। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার কথা নাই বললাম, সেখানে লাগামহীনভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের দায়িত্বশীলতার ভূমিকা নিতে হবে।’

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পাণি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত