রাবি প্রতিনিধি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘আমরা এখনো গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যেই আছি। আমাদের সমষ্টিগত মর্যাদার ওপর আঘাত হানায় চব্বিশের জুলাই বিপ্লব সম্ভব হয়েছে। লাশের কাফেলা বানিয়েও কাউকে রুখে দেওয়া যায়নি। আমাদের মধ্যে জুলাইয়ের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, তা বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে অনেক ফারাক আছে। এই জায়গায় অভ্যুত্থানের নতুন শক্তিকে সংগঠিত করতে হবে। তাহলেই এই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সকল শক্তির পরিবর্তন আসবে।’
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স ভবনের সভাকক্ষে ‘গণ-অভ্যুত্থান, জ্ঞান আকাঙ্ক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘কাঠামোগত দিক থেকে যাদের হাতে আপনারা ক্ষমতা তুলে দিচ্ছেন, তাঁদের হাতে এমন ভারসাম্য ও জবাবদিহি আছে কি না যেখানে আপনার সুরক্ষা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। এখন প্রশ্ন আপনারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবেন কি না এবং কোন ধরনের সংস্কার ও পরিবর্তন আপনাদেরকে নিশ্চয়তা দেবে। সংস্কার সবাই বলছে। সংস্কারের ভেতরে যদি না প্রবেশ করেন তাহলে কিন্তু আপনারা ছুঁই ছুঁইয়ের মধ্যে থেকে যাবেন। আপনাদের আশা ও বাস্তবতার মধ্যে বড় ফারাক তৈরি হতে থাকবে। আপনারা হতাশ হবেন। এই হতাশা কাটানো এবং লড়াই করার প্রধান উপায় হচ্ছে আমাদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক প্রস্তাবনায় বলছি, রাষ্ট্র মেরামত করতে চাই কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক ব্যবহার সেই আগের মতোই আছে। এটা বদলানোর জন্য জনগণের অভ্যুত্থানের ভেতরের শক্তি প্রয়োজন। জুলাই অভ্যুত্থানের আগে দেশে যে রাজনৈতিক চর্চা চর্চিত হয়েছে তাতে জনপ্রতিনিধিরা জনগণের ওপর প্রভুত্ব করেছেন। অথচ গণতন্ত্রের মূল কথা ছিল জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস।’
আলোচক হিসেবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, ‘আমাদের মুক্তি শাহবাগ অথবা শাপলা চত্বর থেকে চূড়ান্ত হয়নি। এই দুটো বাইনারির ওপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট রূপ ধারণ করেছিল। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আমরা সেটির চূড়ান্ত রূপ দেখতে পাই। ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা রাজাকারের নাতিপুতি বলায় পুরো জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এই গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান অস্ত্র ছিল মৃত্যু অথবা স্বাধীনতা। এই বাক্যই আমাদের স্বাধীন করেছে। সকল মৃত্যুকে উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে অভ্যুত্থান, তা বাংলাদেশে এর আগে হয়নি। ধর্মবোধ ও অচেতনবোধ আমাদের জুলাই অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এরই চূড়ান্ত রূপ শেখ হাসিনার পতন।’
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন লেখক, পাঠকের সূতিকাগার ‘উত্তরণ’ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার সংগঠন ‘যোগসূত্র’।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘আমরা এখনো গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যেই আছি। আমাদের সমষ্টিগত মর্যাদার ওপর আঘাত হানায় চব্বিশের জুলাই বিপ্লব সম্ভব হয়েছে। লাশের কাফেলা বানিয়েও কাউকে রুখে দেওয়া যায়নি। আমাদের মধ্যে জুলাইয়ের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, তা বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে অনেক ফারাক আছে। এই জায়গায় অভ্যুত্থানের নতুন শক্তিকে সংগঠিত করতে হবে। তাহলেই এই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সকল শক্তির পরিবর্তন আসবে।’
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স ভবনের সভাকক্ষে ‘গণ-অভ্যুত্থান, জ্ঞান আকাঙ্ক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘কাঠামোগত দিক থেকে যাদের হাতে আপনারা ক্ষমতা তুলে দিচ্ছেন, তাঁদের হাতে এমন ভারসাম্য ও জবাবদিহি আছে কি না যেখানে আপনার সুরক্ষা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। এখন প্রশ্ন আপনারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবেন কি না এবং কোন ধরনের সংস্কার ও পরিবর্তন আপনাদেরকে নিশ্চয়তা দেবে। সংস্কার সবাই বলছে। সংস্কারের ভেতরে যদি না প্রবেশ করেন তাহলে কিন্তু আপনারা ছুঁই ছুঁইয়ের মধ্যে থেকে যাবেন। আপনাদের আশা ও বাস্তবতার মধ্যে বড় ফারাক তৈরি হতে থাকবে। আপনারা হতাশ হবেন। এই হতাশা কাটানো এবং লড়াই করার প্রধান উপায় হচ্ছে আমাদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক প্রস্তাবনায় বলছি, রাষ্ট্র মেরামত করতে চাই কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক ব্যবহার সেই আগের মতোই আছে। এটা বদলানোর জন্য জনগণের অভ্যুত্থানের ভেতরের শক্তি প্রয়োজন। জুলাই অভ্যুত্থানের আগে দেশে যে রাজনৈতিক চর্চা চর্চিত হয়েছে তাতে জনপ্রতিনিধিরা জনগণের ওপর প্রভুত্ব করেছেন। অথচ গণতন্ত্রের মূল কথা ছিল জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস।’
আলোচক হিসেবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, ‘আমাদের মুক্তি শাহবাগ অথবা শাপলা চত্বর থেকে চূড়ান্ত হয়নি। এই দুটো বাইনারির ওপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট রূপ ধারণ করেছিল। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আমরা সেটির চূড়ান্ত রূপ দেখতে পাই। ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা রাজাকারের নাতিপুতি বলায় পুরো জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এই গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান অস্ত্র ছিল মৃত্যু অথবা স্বাধীনতা। এই বাক্যই আমাদের স্বাধীন করেছে। সকল মৃত্যুকে উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে অভ্যুত্থান, তা বাংলাদেশে এর আগে হয়নি। ধর্মবোধ ও অচেতনবোধ আমাদের জুলাই অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এরই চূড়ান্ত রূপ শেখ হাসিনার পতন।’
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন লেখক, পাঠকের সূতিকাগার ‘উত্তরণ’ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার সংগঠন ‘যোগসূত্র’।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ জানিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
১১ ঘণ্টা আগে১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ দাবি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অবজ্ঞা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত অহংকার করে নিজেদের প্রভু মনে করে। ভারতের প্রধানমন্ত
১৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বক্তব্যে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। প্রেস সচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে উনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) বক্তব্য কোনটা বিশ্বাস করব?
১৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর পৃথক সাত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
১৫ ঘণ্টা আগে