তানিম আহমেদ, ঢাকা
বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নিকাশ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার ভোটের লড়াই হতে পারে দুই জোটের মধ্যে। এক পক্ষে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টি। অন্য পক্ষে থাকতে পারে নতুন নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলের নতুন জোট। এই জোটের সম্ভাব্য নাম ‘জাতীয়তাবাদী জোট’।
এবারের ভোটও জোটগতভাবে হবে এমনটাই জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন জোটগতভাবে হবে। ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তবে জোটের আসনবিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসছে, এটা অনুমেয়। কিন্তু একেবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায় না দলটি। এ কারণে দলের কেউ নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে চাইলে তাঁকে এবার বাধা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে ছোট ছোট দলকেও অবস্থান শক্তিশালী করতে উৎসাহ দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি।
ভোটের দৌড়ে যোগ দেওয়া দলগুলোর মধ্যে কেবল জাতীয় পার্টিরই কোথাও কোথাও স্থানীয় পর্যায়ে কিছু ভিত্তি আছে। আওয়ামী লীগের আশঙ্কা, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে জেতার নিশ্চয়তা না পেলে শেষ মুহূর্তে হয়তো নির্বাচনে না-ও থাকতে পারে জাপা। তাই দলটিকে ভোটে ধরে রাখতে আসন ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীনেরা।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়েছেন জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
জোট গঠনের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্নু গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখা যাক, কী হয়।’
৪ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র বাছাই হয়ে গেছে। এতে বৈধ হওয়া প্রার্থীর তালিকার নানামুখী বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, দল মনোনীত প্রার্থী ও শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থীদের মিলিয়ে এবারের ভোটে প্রায় ২২০ আসনে বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা মহল থেকে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি থাকায় ভোটের পর সরকার পরিচালনায় দেশ-বিদেশে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। এমন বিবেচনায় দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র দলগুলোকে ভোটের পরও যূথবদ্ধ রাখা দরকার বলে মনে করছেন সরকারি দলের কুশীলবেরা। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের অন্তত ৫০টি আসন ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুরোনো মহাজোটকে চাঙা করার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা দলের সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাপার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নির্বাচন করছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালামের মনোনয়নও বাছাইয়ে টিকে গেছে। এখন আসনটি নিয়ে বেশ দোটানায় আওয়ামী লীগ। কারণ, আসনটি জাপা প্রার্থীকে ছেড়ে না দিলে দলটিকে ভোটে রাখা কঠিন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি আসন ছাড়া বিজয়ী হওয়ার মতো তাদের অবস্থান নেই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা তাদের আসন ছাড় না দিলে চার-পাঁচটার বেশি আসনে তারা বিজয়ী হতে পারবে না। এমনটা আমরা চাই না। এ জন্য কিছু আসনে তাদের ছাড় দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।’
ওই নেতা আরও বলেন, ‘জাপাকে আসন ছাড় দিলেও দলীয় প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হবে কি না, সেটা এখনো ঠিক করা হয়নি। প্রার্থী প্রত্যাহার না করেও কীভাবে তাদের ছাড় দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা আমরা করছি। সর্বশেষ ১৫-২০টি আসনে তাদের ছাড়ও দেওয়া হতে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। ছাড়ের আশ্বাস না পেলে তারা নির্বাচনের মাঠ থেকে সরেও যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে আরও বেশি প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা সেটা দিতে চাই না।’
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের শরিক একটি দলের প্রধান বলেন, ‘সরকারের যেমন জাতীয় পার্টিকে দরকার, জাতীয় পার্টিরও তেমনি সরকারকে দরকার। সরকারকে দলটি বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেছে, বিনিময়ে সুবিধাও পেয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান কোথায় থাকবে, সেটা আওয়ামী লীগকেই ঠিক করতে হবে। নির্বাচনের জন্য যদি তাদের মহাজোটে নেয়, সেটা আমরা মেনে নেব।’
জাপার বাইরের ছোট ছোট দলের নেতারাও ভোটের আগেই জোট গঠনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেকে গণভবনে ছুটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেতে। দলগুলোর বড় নেতারা নিজ নিজ আসনে জেতা নিশ্চিত করতে চান। পাশাপাশি কোন দল কত আসন এবং কোন কোন আসন পেতে পারে, তারও পাকা হিসাব করে ফেলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী জোট নামে একটি রাজনৈতিক মঞ্চ গঠনেরও তোড়জোড় চলছে বলে জানান রাজনীতির কুশীলবেরা। জোটবদ্ধ হতে পারলে তারা সব মিলিয়ে ৩০টি আসনে জয় পেতে পারে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জোট ও অন্যান্য দলের আসন ছাড় নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলীয় সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়গুলো বলবেন।
বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নিকাশ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার ভোটের লড়াই হতে পারে দুই জোটের মধ্যে। এক পক্ষে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টি। অন্য পক্ষে থাকতে পারে নতুন নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলের নতুন জোট। এই জোটের সম্ভাব্য নাম ‘জাতীয়তাবাদী জোট’।
এবারের ভোটও জোটগতভাবে হবে এমনটাই জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন জোটগতভাবে হবে। ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তবে জোটের আসনবিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসছে, এটা অনুমেয়। কিন্তু একেবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায় না দলটি। এ কারণে দলের কেউ নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে চাইলে তাঁকে এবার বাধা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে ছোট ছোট দলকেও অবস্থান শক্তিশালী করতে উৎসাহ দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি।
ভোটের দৌড়ে যোগ দেওয়া দলগুলোর মধ্যে কেবল জাতীয় পার্টিরই কোথাও কোথাও স্থানীয় পর্যায়ে কিছু ভিত্তি আছে। আওয়ামী লীগের আশঙ্কা, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে জেতার নিশ্চয়তা না পেলে শেষ মুহূর্তে হয়তো নির্বাচনে না-ও থাকতে পারে জাপা। তাই দলটিকে ভোটে ধরে রাখতে আসন ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীনেরা।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়েছেন জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
জোট গঠনের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্নু গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখা যাক, কী হয়।’
৪ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র বাছাই হয়ে গেছে। এতে বৈধ হওয়া প্রার্থীর তালিকার নানামুখী বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, দল মনোনীত প্রার্থী ও শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থীদের মিলিয়ে এবারের ভোটে প্রায় ২২০ আসনে বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা মহল থেকে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি থাকায় ভোটের পর সরকার পরিচালনায় দেশ-বিদেশে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। এমন বিবেচনায় দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র দলগুলোকে ভোটের পরও যূথবদ্ধ রাখা দরকার বলে মনে করছেন সরকারি দলের কুশীলবেরা। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের অন্তত ৫০টি আসন ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুরোনো মহাজোটকে চাঙা করার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা দলের সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাপার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নির্বাচন করছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালামের মনোনয়নও বাছাইয়ে টিকে গেছে। এখন আসনটি নিয়ে বেশ দোটানায় আওয়ামী লীগ। কারণ, আসনটি জাপা প্রার্থীকে ছেড়ে না দিলে দলটিকে ভোটে রাখা কঠিন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি আসন ছাড়া বিজয়ী হওয়ার মতো তাদের অবস্থান নেই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা তাদের আসন ছাড় না দিলে চার-পাঁচটার বেশি আসনে তারা বিজয়ী হতে পারবে না। এমনটা আমরা চাই না। এ জন্য কিছু আসনে তাদের ছাড় দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।’
ওই নেতা আরও বলেন, ‘জাপাকে আসন ছাড় দিলেও দলীয় প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হবে কি না, সেটা এখনো ঠিক করা হয়নি। প্রার্থী প্রত্যাহার না করেও কীভাবে তাদের ছাড় দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা আমরা করছি। সর্বশেষ ১৫-২০টি আসনে তাদের ছাড়ও দেওয়া হতে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। ছাড়ের আশ্বাস না পেলে তারা নির্বাচনের মাঠ থেকে সরেও যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে আরও বেশি প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা সেটা দিতে চাই না।’
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের শরিক একটি দলের প্রধান বলেন, ‘সরকারের যেমন জাতীয় পার্টিকে দরকার, জাতীয় পার্টিরও তেমনি সরকারকে দরকার। সরকারকে দলটি বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেছে, বিনিময়ে সুবিধাও পেয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান কোথায় থাকবে, সেটা আওয়ামী লীগকেই ঠিক করতে হবে। নির্বাচনের জন্য যদি তাদের মহাজোটে নেয়, সেটা আমরা মেনে নেব।’
জাপার বাইরের ছোট ছোট দলের নেতারাও ভোটের আগেই জোট গঠনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেকে গণভবনে ছুটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেতে। দলগুলোর বড় নেতারা নিজ নিজ আসনে জেতা নিশ্চিত করতে চান। পাশাপাশি কোন দল কত আসন এবং কোন কোন আসন পেতে পারে, তারও পাকা হিসাব করে ফেলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী জোট নামে একটি রাজনৈতিক মঞ্চ গঠনেরও তোড়জোড় চলছে বলে জানান রাজনীতির কুশীলবেরা। জোটবদ্ধ হতে পারলে তারা সব মিলিয়ে ৩০টি আসনে জয় পেতে পারে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জোট ও অন্যান্য দলের আসন ছাড় নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলীয় সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়গুলো বলবেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে এটি তুলে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে বিএনপি। এ জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল আলী রিয়াজের নেতৃত্বে গঠিত সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিটির সঙ্গে দেখা করবে।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ডেলিগেশন অব ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. সেবাস্টিয়ান রিগার ব্রাউনের আমন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার গুলশানে তাঁর বাসায় ইইউ অন্তর্ভুক্ত আটটি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন
১৩ ঘণ্টা আগেবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে পবিত্র ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন
১৫ ঘণ্টা আগে