নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে যুক্তরাজ্য। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমে এ কথা জানান।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশ ও সংগঠনগুলোর নজর আছে। দেশের জনগণের মতো তারাও এখানে একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে। তেমন একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদ হবে, সরকার হবে—ব্রিটিশ সরকারও এটাই চায়। এসব বিষয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারে ব্রিটিশদের সমর্থন আছে কি না জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধু গ্রেট ব্রিটেন না, সারা বিশ্বের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক দেশ বাংলাদেশে কেন আসছে, কেন বার্তা দিচ্ছে, কেন অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে? তারা অন্য কোথাও যাচ্ছে না। কেন আসছে? বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয় না—এটা কি বলার অপেক্ষা রাখে? তারা যেভাবে কথাগুলো বলছে এটার অর্থই হচ্ছে, বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে না, বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিতে পারছে না, জনগণ তাদের সংসদ ও সরকার নির্বাচন করতে পারছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক দেশগুলো নির্বাচন নিয়ে কথাগুলো বলছে।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ করেন খসরু। তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই ভোট চুরির প্রকল্প শুরু করেছে সরকার। বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে, হামলা করা হচ্ছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘গত এক সপ্তাহের প্রেক্ষাপটটা যদি ব্যাখ্যা করি, কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, কতজন আহত হয়েছে, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, কত মামলা হয়েছে, কোথাও কোথাও ডিসি পোস্টিং হচ্ছে, কোথাও কোথাও পুলিশ অফিসার পোস্টিং হচ্ছে, কোথাও কোথাও টিএনও পোস্টিং হচ্ছে। এই নির্বাচনে চুরি করার যে প্রকল্প, তা অব্যাহত আছে।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এই ভোট চুরির প্রকল্প ভাঙার একমাত্র পথ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই আলোচনা এখন সব জায়গায় চলছে। আমাদের আজকের আলোচনায় এগুলো উঠে এসেছে।’
বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায় জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়, তার ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়, আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক রাজনীতি, সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে চায়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চায়, জীবনের নিরাপত্তা চায়। এগুলো বিএনপির দাবি নয়, এগুলো এ দেশের কোটি কোটি মানুষের দাবি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের তিন ঘণ্টা পর ব্রিটিশ হাইকমিশনারের পতাকাবাহী গাড়ি গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। বেলা ৩টায় শুরু হয়ে বৈঠক চলে ৪টা পর্যন্ত। এ সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর টিমোথি ডকেট।
বিদেশিরা নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না—সরকার দলের এমন দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আমীর খসরু বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া হবে না, এটা কে না বুঝে বাংলাদেশে! বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো, তাহলে এসব আলোচনা হতো না। আর ব্রিটিশ হাইকমিশনারও এখানে এসে এসব আলোচনা করতেন না।’
বাংলাদেশে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে যুক্তরাজ্য। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমে এ কথা জানান।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশ ও সংগঠনগুলোর নজর আছে। দেশের জনগণের মতো তারাও এখানে একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে। তেমন একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদ হবে, সরকার হবে—ব্রিটিশ সরকারও এটাই চায়। এসব বিষয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারে ব্রিটিশদের সমর্থন আছে কি না জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধু গ্রেট ব্রিটেন না, সারা বিশ্বের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক দেশ বাংলাদেশে কেন আসছে, কেন বার্তা দিচ্ছে, কেন অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে? তারা অন্য কোথাও যাচ্ছে না। কেন আসছে? বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয় না—এটা কি বলার অপেক্ষা রাখে? তারা যেভাবে কথাগুলো বলছে এটার অর্থই হচ্ছে, বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে না, বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিতে পারছে না, জনগণ তাদের সংসদ ও সরকার নির্বাচন করতে পারছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক দেশগুলো নির্বাচন নিয়ে কথাগুলো বলছে।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ করেন খসরু। তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই ভোট চুরির প্রকল্প শুরু করেছে সরকার। বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে, হামলা করা হচ্ছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘গত এক সপ্তাহের প্রেক্ষাপটটা যদি ব্যাখ্যা করি, কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, কতজন আহত হয়েছে, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, কত মামলা হয়েছে, কোথাও কোথাও ডিসি পোস্টিং হচ্ছে, কোথাও কোথাও পুলিশ অফিসার পোস্টিং হচ্ছে, কোথাও কোথাও টিএনও পোস্টিং হচ্ছে। এই নির্বাচনে চুরি করার যে প্রকল্প, তা অব্যাহত আছে।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এই ভোট চুরির প্রকল্প ভাঙার একমাত্র পথ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই আলোচনা এখন সব জায়গায় চলছে। আমাদের আজকের আলোচনায় এগুলো উঠে এসেছে।’
বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায় জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়, তার ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়, আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক রাজনীতি, সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে চায়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চায়, জীবনের নিরাপত্তা চায়। এগুলো বিএনপির দাবি নয়, এগুলো এ দেশের কোটি কোটি মানুষের দাবি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের তিন ঘণ্টা পর ব্রিটিশ হাইকমিশনারের পতাকাবাহী গাড়ি গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। বেলা ৩টায় শুরু হয়ে বৈঠক চলে ৪টা পর্যন্ত। এ সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর টিমোথি ডকেট।
বিদেশিরা নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না—সরকার দলের এমন দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আমীর খসরু বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া হবে না, এটা কে না বুঝে বাংলাদেশে! বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো, তাহলে এসব আলোচনা হতো না। আর ব্রিটিশ হাইকমিশনারও এখানে এসে এসব আলোচনা করতেন না।’
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৩ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৬ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৯ ঘণ্টা আগে