ফখরুল ইসলাম
বাস মালিক সমিতি ২০১৭ সালে তথাকথিত ‘সিটিং সার্ভিস’ ও ‘গেটলক’ পদ্ধতি বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল তারা। এবার আবারও একই উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। গত রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকে তিন দিনের মধ্যে ঢাকায় সিটিং সার্ভিস ও গেটলক ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি। তবে তিন দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কতটুকু সম্ভব?
গত বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছিলেন, রোববার থেকে সিটিং বা গেটলক সার্ভিস বন্ধ করতে হবে। না করা হলে তারা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) অনুরোধ করবেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু এবারই এনায়েত উল্যাহ এই ঘোষণা দেননি। এ নিয়ে তিনবারের মতো তিনি একই ঘোষণা দিলেন। ২০১৭ সালে ‘আইনে নেই’ এই যুক্তিতে সিটিং সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছিল সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও মালিক সমিতি। পাশাপাশি সরকারও সিটিং সার্ভিস বন্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। এতে রুষ্ট হন মালিকেরা। আর মালিকেরা মন খারাপ করলে সাধারণ জনগণ কি আর শান্তিতে থাকে? ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি চরম আকার নেয়। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার নমনীয় হয়ে যায়। যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ দেখা দিলে চার দিনের মাথায় অভিযান বন্ধ রেখে ১৫ দিনের জন্য সিটিং সার্ভিস চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি সরকার সিটিং ও গেটলক বাসের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে একটি কমিটি করে দেয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি সিদ্ধান্ত দেয় যে ঢাকায় যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী একটি রুটের ২০-২৫ শতাংশ বাস সিটিং হিসেবে চালানো যেতে পারে, যার ভাড়া লোকালের চেয়ে কিছু বেশি হবে। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি (আরটিসি) তা অনুমোদন করেনি সে সময়।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আরও দুবার একই বিষয়ে ঘোষণার পরও এ অবৈধ সার্ভিস বন্ধ করেননি বাসমালিকেরা। ফলে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে যে এই ঘোষণার মাধ্যমে অবৈধ সার্ভিসের নামে সরকারনির্ধারিত বর্ধিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় বন্ধ হবে কি না।
যেভাবে সিটিং সার্ভিস চালু
ঢাকায় ২০০০ সালের দিকে প্রথম সিটিং ও গেটলক বাস চালু হয়। আসনের সমানসংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলায় এসব বাস সিটিং সার্ভিস হিসেবে পরিচিতি পায় পরবর্তী সময়ে। অর্থাৎ, সিটিং বা গেটলক সার্ভিস হলো বাসের সব যাত্রী বসে যাবেন। কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে নেওয়া হবে না। অন্যদিকে কিছু বাস সব স্টপেজের পরিবর্তে নির্দিষ্ট কিছু স্টপেজে থেমে চলাচলের সুবাদে গেটলক নামে পরিচিত হয়ে যায়। এসব বাস সরকারনির্ধারিত তালিকার চেয়ে বেশি ভাড়া নেয়। মধ্যবিত্ত শ্রেণি, বিশেষ করে কর্মজীবী নারী ও শিশুরা এর যাত্রী। এই বাসগুলোতে সরকারনির্ধারিত যে ভাড়া রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হয়। কিন্তু এই সার্ভিস সম্পূর্ণ অবৈধ।
বাস্তবায়ন কি আদৌ সম্ভব?
গত রোববার থেকে সিটিং সার্ভিস বন্ধের কথা থাকলেও বিভিন্ন সড়কে বাসের গায়ে সিটিং সার্ভিস লেখা চোখে পড়ছেই। বিশেষ করে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি সড়কে সিটিং সার্ভিস লেখা দেখা গেছে বিভিন্ন বাসে। পরিস্থান, প্রজাপতি, বিহঙ্গ, অছিমসহ বিভিন্ন কোম্পানির বাসে সিটিং সার্ভিস লেখা এখনো মুছে ফেলা হয়নি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ডিজেলের দাম বাড়ায় নগর পরিবহনের বাসের ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এখন ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে। সিটিং ও গেটলক বাস আগে থেকেই কিলোমিটারে দুই টাকা ১৫ পয়সার বেশি ভাড়া নিত। যাত্রী যেখানেই নামুক না কেন, দূরবর্তী স্টপেজের ভাড়া নেয় তারা। এখন ভাড়া বৃদ্ধির পর সিটিং সার্ভিসও বেশি ভাড়া আদায় করছে। আগেই এসব বাস যেখানে ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা নিত, এখন ২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা নিচ্ছে। গত কয়েক দিনের অভিযানে যেসব বাস বাড়তি ভাড়া নেওয়ায় জরিমানা গুনেছে, তার অধিকাংশই ছিল তথাকথিত সিটিং সার্ভিস।
এদিকে সিটিং বাসের মালিকদের দাবি হচ্ছে, তাঁরা দাঁড়িয়ে যাত্রী নেন না, তাই খরচ পোষাতে একটু বেশি ভাড়া নেন। কিন্তু ঢাকায় বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫ শতাংশ আসন পূর্ণ ধরে। ফলে কাগজে-কলমে সব বাসই সিটিং সার্ভিস হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সকাল-বিকাল অফিস টাইমে বাদুড়ঝোলা করে যাত্রী তোলা হয় ‘লোকাল বাসে’।
কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, দীর্ঘদিনের অভ্যস্ততার কারণে সিটিং সার্ভিস না থাকলে যাত্রীদের দুর্ভোগ হবে। চলতি পথে এক বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কথা হলো কিছু বাসের মালিক ও কর্মচারীর সঙ্গে। তাঁদের আশা, সরকার এবারও পৃথক ভাড়ায় সিটিং সার্ভিস চালানোর অনুমতি দেবে। তাঁদের চাওয়া পৃথক ভাড়ায় সিটিং সার্ভিসের অনুমোদন। সিটিং সার্ভিসের ভাড়া নির্ধারণে স্টপেজের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথাও বলছেন পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ।
পথ চলতি আলাপে চালক-শ্রমিকেরা আরও বললেন, চাপে পড়লেই বড় নেতারা সিটিং-গেটলক সার্ভিস বন্ধ করার কথা তোলেন। কিন্তু তা আর বন্ধ হয় না। আর ট্রিপভিত্তিক ইজারা ও চাঁদা বন্ধ না হলে নাকি সত্যিকারের সুফলও মিলবে না।
তবে কি এবারও ‘ঘোষণা’ শুধু ঘোষণাই থেকে যাবে? তিনটি দিন গেলেই হয়তো লক্ষণ বোঝা যাবে।
বাস মালিক সমিতি ২০১৭ সালে তথাকথিত ‘সিটিং সার্ভিস’ ও ‘গেটলক’ পদ্ধতি বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল তারা। এবার আবারও একই উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। গত রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকে তিন দিনের মধ্যে ঢাকায় সিটিং সার্ভিস ও গেটলক ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি। তবে তিন দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কতটুকু সম্ভব?
গত বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছিলেন, রোববার থেকে সিটিং বা গেটলক সার্ভিস বন্ধ করতে হবে। না করা হলে তারা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) অনুরোধ করবেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু এবারই এনায়েত উল্যাহ এই ঘোষণা দেননি। এ নিয়ে তিনবারের মতো তিনি একই ঘোষণা দিলেন। ২০১৭ সালে ‘আইনে নেই’ এই যুক্তিতে সিটিং সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছিল সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও মালিক সমিতি। পাশাপাশি সরকারও সিটিং সার্ভিস বন্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। এতে রুষ্ট হন মালিকেরা। আর মালিকেরা মন খারাপ করলে সাধারণ জনগণ কি আর শান্তিতে থাকে? ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি চরম আকার নেয়। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার নমনীয় হয়ে যায়। যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ দেখা দিলে চার দিনের মাথায় অভিযান বন্ধ রেখে ১৫ দিনের জন্য সিটিং সার্ভিস চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি সরকার সিটিং ও গেটলক বাসের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে একটি কমিটি করে দেয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি সিদ্ধান্ত দেয় যে ঢাকায় যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী একটি রুটের ২০-২৫ শতাংশ বাস সিটিং হিসেবে চালানো যেতে পারে, যার ভাড়া লোকালের চেয়ে কিছু বেশি হবে। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি (আরটিসি) তা অনুমোদন করেনি সে সময়।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আরও দুবার একই বিষয়ে ঘোষণার পরও এ অবৈধ সার্ভিস বন্ধ করেননি বাসমালিকেরা। ফলে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে যে এই ঘোষণার মাধ্যমে অবৈধ সার্ভিসের নামে সরকারনির্ধারিত বর্ধিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় বন্ধ হবে কি না।
যেভাবে সিটিং সার্ভিস চালু
ঢাকায় ২০০০ সালের দিকে প্রথম সিটিং ও গেটলক বাস চালু হয়। আসনের সমানসংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলায় এসব বাস সিটিং সার্ভিস হিসেবে পরিচিতি পায় পরবর্তী সময়ে। অর্থাৎ, সিটিং বা গেটলক সার্ভিস হলো বাসের সব যাত্রী বসে যাবেন। কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে নেওয়া হবে না। অন্যদিকে কিছু বাস সব স্টপেজের পরিবর্তে নির্দিষ্ট কিছু স্টপেজে থেমে চলাচলের সুবাদে গেটলক নামে পরিচিত হয়ে যায়। এসব বাস সরকারনির্ধারিত তালিকার চেয়ে বেশি ভাড়া নেয়। মধ্যবিত্ত শ্রেণি, বিশেষ করে কর্মজীবী নারী ও শিশুরা এর যাত্রী। এই বাসগুলোতে সরকারনির্ধারিত যে ভাড়া রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হয়। কিন্তু এই সার্ভিস সম্পূর্ণ অবৈধ।
বাস্তবায়ন কি আদৌ সম্ভব?
গত রোববার থেকে সিটিং সার্ভিস বন্ধের কথা থাকলেও বিভিন্ন সড়কে বাসের গায়ে সিটিং সার্ভিস লেখা চোখে পড়ছেই। বিশেষ করে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি সড়কে সিটিং সার্ভিস লেখা দেখা গেছে বিভিন্ন বাসে। পরিস্থান, প্রজাপতি, বিহঙ্গ, অছিমসহ বিভিন্ন কোম্পানির বাসে সিটিং সার্ভিস লেখা এখনো মুছে ফেলা হয়নি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ডিজেলের দাম বাড়ায় নগর পরিবহনের বাসের ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এখন ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে। সিটিং ও গেটলক বাস আগে থেকেই কিলোমিটারে দুই টাকা ১৫ পয়সার বেশি ভাড়া নিত। যাত্রী যেখানেই নামুক না কেন, দূরবর্তী স্টপেজের ভাড়া নেয় তারা। এখন ভাড়া বৃদ্ধির পর সিটিং সার্ভিসও বেশি ভাড়া আদায় করছে। আগেই এসব বাস যেখানে ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা নিত, এখন ২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা নিচ্ছে। গত কয়েক দিনের অভিযানে যেসব বাস বাড়তি ভাড়া নেওয়ায় জরিমানা গুনেছে, তার অধিকাংশই ছিল তথাকথিত সিটিং সার্ভিস।
এদিকে সিটিং বাসের মালিকদের দাবি হচ্ছে, তাঁরা দাঁড়িয়ে যাত্রী নেন না, তাই খরচ পোষাতে একটু বেশি ভাড়া নেন। কিন্তু ঢাকায় বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫ শতাংশ আসন পূর্ণ ধরে। ফলে কাগজে-কলমে সব বাসই সিটিং সার্ভিস হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সকাল-বিকাল অফিস টাইমে বাদুড়ঝোলা করে যাত্রী তোলা হয় ‘লোকাল বাসে’।
কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, দীর্ঘদিনের অভ্যস্ততার কারণে সিটিং সার্ভিস না থাকলে যাত্রীদের দুর্ভোগ হবে। চলতি পথে এক বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কথা হলো কিছু বাসের মালিক ও কর্মচারীর সঙ্গে। তাঁদের আশা, সরকার এবারও পৃথক ভাড়ায় সিটিং সার্ভিস চালানোর অনুমতি দেবে। তাঁদের চাওয়া পৃথক ভাড়ায় সিটিং সার্ভিসের অনুমোদন। সিটিং সার্ভিসের ভাড়া নির্ধারণে স্টপেজের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথাও বলছেন পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ।
পথ চলতি আলাপে চালক-শ্রমিকেরা আরও বললেন, চাপে পড়লেই বড় নেতারা সিটিং-গেটলক সার্ভিস বন্ধ করার কথা তোলেন। কিন্তু তা আর বন্ধ হয় না। আর ট্রিপভিত্তিক ইজারা ও চাঁদা বন্ধ না হলে নাকি সত্যিকারের সুফলও মিলবে না।
তবে কি এবারও ‘ঘোষণা’ শুধু ঘোষণাই থেকে যাবে? তিনটি দিন গেলেই হয়তো লক্ষণ বোঝা যাবে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪