Ajker Patrika

সত্যি কি কিডনিটি বিক্রি হয়ে গেছে

রজত কান্তি রায়, ঢাকা
আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ২০: ১৪
সত্যি কি কিডনিটি বিক্রি হয়ে গেছে

ব্যাপক ভিড় ঠেলতে ঠেলতে মীরপুর রোড ধরে এগিয়ে চলেছি ভাড়ার বাইকে সওয়ার হয়ে। জ্যৈষ্ঠের গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের সামনে রোগী, অ্যাম্বুলেন্স, বাইক, প্রাইভেট কার, বাস ইত্যাদির অসম দৌড় প্রতিযোগিতা খানিক বেশি বলে গতি মন্থর। হঠাৎ ফুটপাথ লাগোয়া হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের সীমানা প্রাচীরের একটি পিলারে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন চোখে পড়ল। চার রঙে ছাপা কিংবা আর্টিস্টিক ক্যালিগ্রাফিতে বড় অক্ষরে লেখা নয়। অফহোয়াইট পিলারের ওপর সম্ভবত মোটা পেনসিলের কালো কালিতে লেখা আছে ‘একটি কিডনি বিক্রি করা হইবে রক্তের গ্রো (গ্রুপ) A+ পজিটিভ’। তার নিচে মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া।

বাইকারকে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করে ফিরে গেলাম পিলারটির কাছে। একজন ভিক্ষুক সেখানে বসে ভিক্ষা করছেন। তাঁকে উপেক্ষা করে ছবি তুললাম। অফিসে এসে বিজ্ঞাপনে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরটিতে কয়েকবার ফোন করলে সেটা বন্ধ পাওয়া গেল। ফলে জানা গেল না, কিডনি বিক্রি করতে চাওয়া মানুষটি কেন কিডনি বিক্রি করতে চাচ্ছেন বা তাঁর প্রকৃত অবস্থা কী। 

‘একটি কিডনি বিক্রি করা হইবে রক্তের গ্রো (গ্রুপ) A+ পজিটিভ’ যতি চিহ্নহীন এই নয় বা দশটি শব্দ যেকোনো মানুষের বুকে কাঁপন ধরাতে বাধ্য। দেশের বিদ্যমান আইনে শরীরের কোনো অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ বিক্রি নিষেধ। সেখানে মীরপুর রোডের মতো একটি ভীষণ ব্যস্ত রাস্তার পাশে জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরে মোবাইল নম্বর দিয়ে কিডনি বিক্রির ঘোষণা দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বটে। এই ঘটনা অনেকগুলো ইঙ্গিত দেয়। সব ইঙ্গিত বাদ দিয়ে যা বলার তা হলো, কিডনি বিক্রি করতে চাওয়া মানুষটি কি সত্যি সেটা বিক্রি করে দিয়েছেন?

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত