অনলাইন ডেস্ক
প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা ‘খুব অল্প অর্থ–সম্পদ’ নিয়েও উন্নত ধনী দেশের মানুষের মতোই সুখী। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ‘টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায়’—এই বহুল প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণাটি।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকেরা বিশ্বব্যাপী ১৯টি আদিবাসী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ২ হাজার ৯৬৬ জন মানুষের সাক্ষাৎকার নেন। গবেষকেরা দেখেছেন, প্রত্যন্ত ও অনুন্নত এলাকায় বসবাসকারী এই মানুষগুলো উচ্চ আয়ের পশ্চিমা বিশ্বের মানুষের চেয়ে বেশি না হলেও কোনোভাবেই কম সুখী নয়।
ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের (পিএসএএস) বৈজ্ঞানিক জার্নাল প্রসিডিংয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক এরিক গালব্রেথ বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে, কম আয়ের অনেক মানুষের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি উচ্চ পর্যায়ে থাকে, আর এই সন্তুষ্টির স্কোর ধনী দেশগুলোর মতোই। এই বৈচিত্র্যময় সম্প্রদায়ের জীবন কীসে পরিতৃপ্ত হয় সে সম্পর্কে আরও জানার মাধ্যমে, সংকটগুলো চিহ্নিত করে আরও অনেক মানুষকে অধিকতর সন্তোষজনক জীবনযাপনের উপায় বাতলে দেওয়া যেতে পারে।
ইউনিভার্সিটাট অটোনোমা ডি বার্সেলোনার ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইসিটিএ–ইউএবি) গবেষণায়, ১৯টি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির স্কোরে ১০–এর গড়ে ৬ দশমিক ৮ পেয়েছে। যেখানে তাদের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১ হাজার ডলারেরও কম। উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো–অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ভুক্ত দেশগুলোর গড় স্কোর ৬ দশমিক ৭।
মন্ট্রিলের আইসিটিএ–ইউএবি ও ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক গালব্রেথ বলেন, চারটি ছোট সম্প্রদায়ের সুখের গড় স্কোর ৮–এর বেশি, যা ওইসিডি গবেষণায় সর্বোচ্চ রেটিংয়ের দেশ ফিনল্যান্ডের চেয়েও বেশি। ফিনল্যান্ডের সুখের গড় স্কোর ৭ দশমিক ৯।
এই চারটি সম্প্রদায় হলো—আর্জেন্টিনার কোল্লা আতাকামেনা (৮), প্যারাগুয়ের পাই তাভিতেরা বা গুয়ারানি (৮ দশমিক ২), ব্রাজিলের রিবেরিনহোস (৮ দশমিক ৪) এবং গুয়াতেমালার পশ্চিম উচ্চভূমির কৃষিজীবী সম্প্রদায় (৮ দশমিক ৬)।
ওয়েস্টার্ন হাইল্যান্ডে সাক্ষাৎকার নেওয়া ৭০ জনের মধ্যে ৩০ জনকে তাঁদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা ১০–এ ১০ পেয়েছেন। ওয়েস্টার্ন হাইল্যান্ডস সম্প্রদায়ের গড় মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ ৫৬০ ডলার (৪৫০ ইউরো) সমমূল্যের। যেখানে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের (ওনস) মতে, এটি গ্রেট ব্রিটেনে মাথাপিছু গড় সম্পদ ৩ লাখ ৫ হাজার ইউরোর সমান।
ইউকে পরিসংখ্যান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ‘সম্পদের অসম বণ্টন’–এর কারণে ব্রিটেনে সম্পদের গড় সব সময় মধ্যকের (১ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড) চেয়ে বেশি হয়।
আইসিটিএ–ইউএবি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার ফলাফলগুলো সুখ সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এই গবেষণা দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করে, মানসিকভাবে ভালো থাকার জন্য অনেক বেশি সম্পদের দরকার নেই।
তবে আইসিটিএ–ইউএবির গবেষক ভিক্টোরিয়া রেয়েস গার্সিয়া বলেন, ‘আয় ও জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির মধ্যে যে দৃঢ় সম্পর্ক দেখা যায় তা সর্বজনীন নয়। এই গবেষণা প্রমাণ করে, শিল্পোন্নত অর্থনীতিতে যে পরিমাণে সম্পদ উৎপাদিত হয় তা সুখী হওয়ার জন্য জরুরি নয়।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা ‘খুব অল্প অর্থ–সম্পদ’ নিয়েও উন্নত ধনী দেশের মানুষের মতোই সুখী। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ‘টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায়’—এই বহুল প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণাটি।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকেরা বিশ্বব্যাপী ১৯টি আদিবাসী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ২ হাজার ৯৬৬ জন মানুষের সাক্ষাৎকার নেন। গবেষকেরা দেখেছেন, প্রত্যন্ত ও অনুন্নত এলাকায় বসবাসকারী এই মানুষগুলো উচ্চ আয়ের পশ্চিমা বিশ্বের মানুষের চেয়ে বেশি না হলেও কোনোভাবেই কম সুখী নয়।
ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের (পিএসএএস) বৈজ্ঞানিক জার্নাল প্রসিডিংয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক এরিক গালব্রেথ বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে, কম আয়ের অনেক মানুষের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি উচ্চ পর্যায়ে থাকে, আর এই সন্তুষ্টির স্কোর ধনী দেশগুলোর মতোই। এই বৈচিত্র্যময় সম্প্রদায়ের জীবন কীসে পরিতৃপ্ত হয় সে সম্পর্কে আরও জানার মাধ্যমে, সংকটগুলো চিহ্নিত করে আরও অনেক মানুষকে অধিকতর সন্তোষজনক জীবনযাপনের উপায় বাতলে দেওয়া যেতে পারে।
ইউনিভার্সিটাট অটোনোমা ডি বার্সেলোনার ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইসিটিএ–ইউএবি) গবেষণায়, ১৯টি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির স্কোরে ১০–এর গড়ে ৬ দশমিক ৮ পেয়েছে। যেখানে তাদের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১ হাজার ডলারেরও কম। উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো–অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ভুক্ত দেশগুলোর গড় স্কোর ৬ দশমিক ৭।
মন্ট্রিলের আইসিটিএ–ইউএবি ও ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক গালব্রেথ বলেন, চারটি ছোট সম্প্রদায়ের সুখের গড় স্কোর ৮–এর বেশি, যা ওইসিডি গবেষণায় সর্বোচ্চ রেটিংয়ের দেশ ফিনল্যান্ডের চেয়েও বেশি। ফিনল্যান্ডের সুখের গড় স্কোর ৭ দশমিক ৯।
এই চারটি সম্প্রদায় হলো—আর্জেন্টিনার কোল্লা আতাকামেনা (৮), প্যারাগুয়ের পাই তাভিতেরা বা গুয়ারানি (৮ দশমিক ২), ব্রাজিলের রিবেরিনহোস (৮ দশমিক ৪) এবং গুয়াতেমালার পশ্চিম উচ্চভূমির কৃষিজীবী সম্প্রদায় (৮ দশমিক ৬)।
ওয়েস্টার্ন হাইল্যান্ডে সাক্ষাৎকার নেওয়া ৭০ জনের মধ্যে ৩০ জনকে তাঁদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা ১০–এ ১০ পেয়েছেন। ওয়েস্টার্ন হাইল্যান্ডস সম্প্রদায়ের গড় মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ ৫৬০ ডলার (৪৫০ ইউরো) সমমূল্যের। যেখানে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের (ওনস) মতে, এটি গ্রেট ব্রিটেনে মাথাপিছু গড় সম্পদ ৩ লাখ ৫ হাজার ইউরোর সমান।
ইউকে পরিসংখ্যান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ‘সম্পদের অসম বণ্টন’–এর কারণে ব্রিটেনে সম্পদের গড় সব সময় মধ্যকের (১ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড) চেয়ে বেশি হয়।
আইসিটিএ–ইউএবি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার ফলাফলগুলো সুখ সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এই গবেষণা দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করে, মানসিকভাবে ভালো থাকার জন্য অনেক বেশি সম্পদের দরকার নেই।
তবে আইসিটিএ–ইউএবির গবেষক ভিক্টোরিয়া রেয়েস গার্সিয়া বলেন, ‘আয় ও জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির মধ্যে যে দৃঢ় সম্পর্ক দেখা যায় তা সর্বজনীন নয়। এই গবেষণা প্রমাণ করে, শিল্পোন্নত অর্থনীতিতে যে পরিমাণে সম্পদ উৎপাদিত হয় তা সুখী হওয়ার জন্য জরুরি নয়।
সেলিব্রিটি শেফ বা ইতালি নানিরা যা কখনোই কল্পনা করতে পারেননি তাই তৈরি করে দেখালেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্প্যাগেটি তৈরি করলেন তাঁরা। গবেষকেরা এমন এক স্টার্চ ন্যানোফাইবারের তৈরি স্প্যাগেটি তৈরি করেছে, যা মাত্র ৩৭২ ন্যানোমিটার চওড়া। চুলের চেয়ে ২০০ গুণ পাত
৭ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। ছবিতে নক্ষত্রটিকে অদ্ভুত ডিম আকারের কোকুনের (রেশমগুটি) মতো দেখা যায়।
১০ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৩ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৯ দিন আগে