‘১৪০-১৪৫ কিলোমিটার গতির বোলার কেনা যায় না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন কোচ ফিল সিমন্স। ছবি: আজকের পত্রিকা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাহিদ রানার পথচলা কেবল ছয় মাসের। এই অল্প সময়ের মধ্যেই অনেকের নজর কেড়েছেন তিনি। গতির ঝড় তুলে ব্যাটারদের ভড়কে দেন নিয়মিতই। তরুণ এই পেসারের গতিতে মুগ্ধ বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও।

পাকিস্তান সিরিজ থেকেই পাদপ্রদীপের আলোয় নাহিদ। দুই ম্যাচের সেই সিরিজে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি নিজের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে রাওয়ালপিন্ডির পিচ থেকে বাউন্স আদায় করেছিলেন তিনি। ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বারংবার বল করে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের খাবি খাইয়েছিলেন নাহিদ। সেই সিরিজে সিমন্স বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্বে না থাকলেও এই তরুণ পেসারের বোলিং দেখে আসছিলেন। চট্টগ্রামে আজ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে যখন সিমন্স আসেন, তখন উঠে এসেছে নাহিদের প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘তাকে পাকিস্তানেই দেখেছি। মুগ্ধ আমি। ১৪০-১৪৫ কিনে পাওয়া যায় না। তাই এটি প্রশংসনীয় এবং এখন আমাদের তাকে নিয়ে এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে সে দ্রুত গতিতে এবং সঠিক জায়গায় বোলিং করতে পারে।’

চট্টগ্রামের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটের সুবিধা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম দিনে কাজে লাগিয়েছে দারুণভাবে। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ২ উইকেটে ৩০৭ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে সফরকারীরা। দুটি উইকেটই পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। নাহিদ কোনো উইকেট না পেলেও তাঁর আজকের বোলিং দেখে মুগ্ধ সিমন্স। প্রথম দিন দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে ৩.৭৬ রানরেটে ব্যাটিং করেছেন, সেখানে ২.৬১ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন নাহিদ। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাঁর ইকোনমিই সর্বনিম্ন।

ইকোনমিই নয়, নাহিদ গতির ঝড়ও তুলেছেন আজ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। যার মধ্যে ৩৩তম ওভারের পঞ্চম বলে ঘণ্টায় ১৪৭.৭ কিলোমিটার গতিতে নাহিদ বোলিং করেছেন স্তাবসের বিপক্ষে। পরবর্তীতে ৩৫তম ওভারে নাহিদ যে মেডেন দিয়েছেন, সেই ওভারে ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতির বোলিং নাহিদ করেন তিন বার। ২২ বছর বয়সী এই তরুণ পেসারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে সিমন্স বলেন, ‘আমি মনে করি সে দ্বিতীয় স্পেলে সেটা করে দেখিয়েছে। আমি এতে মুগ্ধ। আমি সবসময় পেসারদের প্রতি আগ্রহী।’

হাসান মাহমুদ, নাহিদ, তাইজুল, মেহেদী হাসান মিরাজ-স্বীকৃত এই চার বোলার নিয়েই বাংলাদেশ সাজিয়েছে চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশ। কেন ব্যাটার বেশি নেওয়া হলো, সেই ব্যাখ্যায় সিমন্স বলেন, ‘পঞ্চম বোলার নিয়ে যাওয়ার ভাবনা ছিল। যখন আপনার ব্যাটিং এমন চলছে, তখন মাঝে মাঝে এই দিকেই একটু ঝোঁকা লাগে। আর আমি মনে করি, সেটি বিবেচনাতেই ছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত