ক্রীড়া ডেস্ক
ক্যারিয়ারের শুরুতে নেইমার জুনিয়রের নাম উচ্চারিত হতো লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। শুরুটা এমন উজ্জ্বলই ছিল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দেন নেইমার। বিশ্বসেরা ক্লাবে খেলে চার বছরে নিজেও হয়েছেন বেশ পরিপক্ব। জিতেছেন দুটি লা লিগা শিরোপা, তিনটি কোপা দেল রে এবং একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ।
২০১৭ সালে তিনি ফুটবল বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে ২২২ মিলিয়ন ইউরোয়—রেকর্ড ট্রান্সফারে পিএসজিতে চলে যান নেই। যদিও লিওনেল মেসি তখন তাঁকে থেকে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। নেইমার সেই অনুরোধ রাখেননি। পরবর্তীতে পিএসজিতেও গিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঝামেলায় জড়াতে হয়েছে নেইমারকে।
বার্সা ছেড়ে যাওয়ার পর নেইমারের ক্যারিয়ারটা আর সেভাবে মসৃণ ছিল না। ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন, এমবাপ্পের সঙ্গে ঝামেলা, মেসির অনুরোধ এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ৩২ বছর বয়সী ফুটবল তারকা। স্বদেশি কিংবদন্তি রোমারিওর সাক্ষাৎকারে নেইমার স্বীকার করেছেন, তাঁর ফুটবল যাত্রায় ইগো, হিংসা এবং ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তগুলো কতটা প্রভাব ফেলেছে।
নেইমার জানিয়েছেন, বার্সেলোনার হয়ে খেলার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয় ২০১৩ সালে, যখন তিনি রিয়াল মাদ্রিদের বদলে কাতালান ক্লাবটিকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু শুরুর সময়টা মোটেই মসৃণ ছিল না। ইউটিউব চ্যানেল ‘রোমারিও টিভি’তে নেইমার বলেন, ‘বার্সেলোনায় প্রথম ছয় মাস ভয়াবহ ছিল। আমি ঠিকমতো ড্রিবল করতে পারতাম না, পাস দিতে পারতাম না, আর মনে হতো সবকিছু ভুল করছি। একদিন আমি খুব হতাশ ছিলাম। প্রথমার্ধ চলছিল। আজও মনে আছে, অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে...আমি নিজের উপর রেগে ড্রেসিংরুমে ঢুকেছিলাম। আমি খুব খারাপ খেলছিলাম। আমি কী করছি? ভেবে কাঁদতে কাঁদতে ওয়াশ রুমে ঢুকে গেলাম। তারপর দরজায় ধাক্কা, লিও মেসি এল।’
সেই সময় এগিয়ে এসেছিলেন মেসি। সে ঘটনা উল্লেখ করে নেইমার বললেন, ‘তুমি কাঁদছ কেন? আমি (নেইমার) বলেছি, না, আমি ঠিক আছি, আমি ঠিক আছি। এরপর দানি আলভেস এলেন এবং মেসি বললেন, শান্ত হও, আমরা তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি। আমরা চাই তুমি সান্তোসে যেমন করেছ তেমনই কোনো চাপ ছাড়াই তোমার সেরা ফুটবল খেলো। আমি তোমাকে সান্তোসের মতো খেলতে সাহায্য করব। যদি তোমার কিছু লাগে, তুমি আমার ওপর নির্ভর করতে পার। তারপর আমি আমি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। খেলতে আরও আগ্রহী হয়ে উঠি এবং সবকিছু ঠিকঠাক হতে শুরু করে।’
এত অর্জনের পরও বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। মেসি অনুরোধ করেছিলেন থেকে যেতে। সে প্রসঙ্গ টেনে নেইমার বলেন, ‘মেসি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি কেন যাচ্ছ? তুমি কি বিশ্বসেরা হতে চাও? আমি তোমাকে তা অর্জনে সহায়তা করতে পারি। কিন্তু আমার জন্য এটা ওই রকম ব্যাপার ছিল না। এটা ছিল ব্যক্তিগত। পিএসজি আমাকে বেশি কিছু প্রস্তাব করেছিল। অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে আমি বার্সেলোনায় যা পেতাম তার চেয়ে ভালো ছিল...এবং সেখানে ব্রাজিলিয়ানরাও (ফুটবলার) ছিল। থিয়াগো সিলভা, দানি আলভেস, মার্কিনহোস ও লুকাস মৌরার মতো ব্রাজিলিয়ানদের সঙ্গে খেলতে চেয়েছিলাম। তারা সবাই আমার বন্ধু ছিল।’
২০২১ সালে মেসিও বার্সেলোনা অধ্যায়ের পর পিএসজিতে নাম লেখান। পিএসজির আক্রমণভাগে তখন বিশ্বকাপজয়ী এমবাপ্পেও ছিলেন। ফরাসি তারকার সঙ্গে নেইমার ও মেসির তিক্ত সম্পর্কের কথা অনেকবার উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। মেসি পিএসজিতে ভেড়ার পর এমবাপ্পে কিছুটা ঈর্ষান্বিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার বলেন, ‘তার (এমবাপ্পে) সঙ্গে আমার কিছু ব্যাপার ছিল, আমাদের মধ্যে একটু ঝগড়া হতো। তাকে যখন প্রথমে পাই তখন বয়স অনেক কম ছিল। শুরুতে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণই ছিল। আমি তাকে গোল্ডেন বয় বলে ডাকতাম। তার সঙ্গে আমার কথা হতো, তার সঙ্গে খেলা হতো। তাকে বলতাম, সে সেরাদের একজন হবে। আমি সব সময় সাহায্য করতাম, সব সময় তার সঙ্গে কথা বলতাম। তবে যখন লিও এল, সে একটু ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠল। সে আমার ভাগ কাউকে দিতে চায়নি (হাসি দিয়ে)। এভাবেই দুজনের (নেইমার-এমবাপ্পে) মধ্যে ঝগড়ার শুরু, আচরণে পরিবর্তন।’
ক্যারিয়ারের শুরুতে নেইমার জুনিয়রের নাম উচ্চারিত হতো লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। শুরুটা এমন উজ্জ্বলই ছিল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দেন নেইমার। বিশ্বসেরা ক্লাবে খেলে চার বছরে নিজেও হয়েছেন বেশ পরিপক্ব। জিতেছেন দুটি লা লিগা শিরোপা, তিনটি কোপা দেল রে এবং একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ।
২০১৭ সালে তিনি ফুটবল বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে ২২২ মিলিয়ন ইউরোয়—রেকর্ড ট্রান্সফারে পিএসজিতে চলে যান নেই। যদিও লিওনেল মেসি তখন তাঁকে থেকে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। নেইমার সেই অনুরোধ রাখেননি। পরবর্তীতে পিএসজিতেও গিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঝামেলায় জড়াতে হয়েছে নেইমারকে।
বার্সা ছেড়ে যাওয়ার পর নেইমারের ক্যারিয়ারটা আর সেভাবে মসৃণ ছিল না। ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন, এমবাপ্পের সঙ্গে ঝামেলা, মেসির অনুরোধ এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ৩২ বছর বয়সী ফুটবল তারকা। স্বদেশি কিংবদন্তি রোমারিওর সাক্ষাৎকারে নেইমার স্বীকার করেছেন, তাঁর ফুটবল যাত্রায় ইগো, হিংসা এবং ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তগুলো কতটা প্রভাব ফেলেছে।
নেইমার জানিয়েছেন, বার্সেলোনার হয়ে খেলার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয় ২০১৩ সালে, যখন তিনি রিয়াল মাদ্রিদের বদলে কাতালান ক্লাবটিকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু শুরুর সময়টা মোটেই মসৃণ ছিল না। ইউটিউব চ্যানেল ‘রোমারিও টিভি’তে নেইমার বলেন, ‘বার্সেলোনায় প্রথম ছয় মাস ভয়াবহ ছিল। আমি ঠিকমতো ড্রিবল করতে পারতাম না, পাস দিতে পারতাম না, আর মনে হতো সবকিছু ভুল করছি। একদিন আমি খুব হতাশ ছিলাম। প্রথমার্ধ চলছিল। আজও মনে আছে, অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে...আমি নিজের উপর রেগে ড্রেসিংরুমে ঢুকেছিলাম। আমি খুব খারাপ খেলছিলাম। আমি কী করছি? ভেবে কাঁদতে কাঁদতে ওয়াশ রুমে ঢুকে গেলাম। তারপর দরজায় ধাক্কা, লিও মেসি এল।’
সেই সময় এগিয়ে এসেছিলেন মেসি। সে ঘটনা উল্লেখ করে নেইমার বললেন, ‘তুমি কাঁদছ কেন? আমি (নেইমার) বলেছি, না, আমি ঠিক আছি, আমি ঠিক আছি। এরপর দানি আলভেস এলেন এবং মেসি বললেন, শান্ত হও, আমরা তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি। আমরা চাই তুমি সান্তোসে যেমন করেছ তেমনই কোনো চাপ ছাড়াই তোমার সেরা ফুটবল খেলো। আমি তোমাকে সান্তোসের মতো খেলতে সাহায্য করব। যদি তোমার কিছু লাগে, তুমি আমার ওপর নির্ভর করতে পার। তারপর আমি আমি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। খেলতে আরও আগ্রহী হয়ে উঠি এবং সবকিছু ঠিকঠাক হতে শুরু করে।’
এত অর্জনের পরও বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। মেসি অনুরোধ করেছিলেন থেকে যেতে। সে প্রসঙ্গ টেনে নেইমার বলেন, ‘মেসি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি কেন যাচ্ছ? তুমি কি বিশ্বসেরা হতে চাও? আমি তোমাকে তা অর্জনে সহায়তা করতে পারি। কিন্তু আমার জন্য এটা ওই রকম ব্যাপার ছিল না। এটা ছিল ব্যক্তিগত। পিএসজি আমাকে বেশি কিছু প্রস্তাব করেছিল। অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে আমি বার্সেলোনায় যা পেতাম তার চেয়ে ভালো ছিল...এবং সেখানে ব্রাজিলিয়ানরাও (ফুটবলার) ছিল। থিয়াগো সিলভা, দানি আলভেস, মার্কিনহোস ও লুকাস মৌরার মতো ব্রাজিলিয়ানদের সঙ্গে খেলতে চেয়েছিলাম। তারা সবাই আমার বন্ধু ছিল।’
২০২১ সালে মেসিও বার্সেলোনা অধ্যায়ের পর পিএসজিতে নাম লেখান। পিএসজির আক্রমণভাগে তখন বিশ্বকাপজয়ী এমবাপ্পেও ছিলেন। ফরাসি তারকার সঙ্গে নেইমার ও মেসির তিক্ত সম্পর্কের কথা অনেকবার উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। মেসি পিএসজিতে ভেড়ার পর এমবাপ্পে কিছুটা ঈর্ষান্বিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার বলেন, ‘তার (এমবাপ্পে) সঙ্গে আমার কিছু ব্যাপার ছিল, আমাদের মধ্যে একটু ঝগড়া হতো। তাকে যখন প্রথমে পাই তখন বয়স অনেক কম ছিল। শুরুতে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণই ছিল। আমি তাকে গোল্ডেন বয় বলে ডাকতাম। তার সঙ্গে আমার কথা হতো, তার সঙ্গে খেলা হতো। তাকে বলতাম, সে সেরাদের একজন হবে। আমি সব সময় সাহায্য করতাম, সব সময় তার সঙ্গে কথা বলতাম। তবে যখন লিও এল, সে একটু ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠল। সে আমার ভাগ কাউকে দিতে চায়নি (হাসি দিয়ে)। এভাবেই দুজনের (নেইমার-এমবাপ্পে) মধ্যে ঝগড়ার শুরু, আচরণে পরিবর্তন।’
আকাশে উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সকে মাটিতে নামিয়ে আনার দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল চিটাগং কিংস। ১৬৪ রানেই তারা আটকে দিয়েছিল রংপুর রাইডার্সকে। কিন্তু ঘরের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শকের সমর্থন নিয়েও ব্যাটিংয়ে অনুজ্জ্বল চিটাগং; ২০ ওভার খেললেও ৮ উইকেটে ১৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। তাতে রংপুর রাইডার্সের জয় ৩
৬ ঘণ্টা আগেবোঝাই যাচ্ছিল, একটা অস্বস্তিতে আছেন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর। চিকিৎসা বিরতি নিয়ে ইনহেলার সেবন করতেও দেখা গেল। তারপরও তৃতীয় রাউন্ডে সরাসরি সেটে হারিয়ে দিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস ম্যাচাককে।
৮ ঘণ্টা আগেপয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের লড়াই যেমন হওয়ার উচিত, ঠিক তেমনই হলো রংপুরের ইনিংস পর্যন্ত। আলিস আল ইসলাম-বিনুরা ফার্নান্দোদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপক্ষে ৬৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল রংপুর। ধুঁকতে ধুঁকতে ১৪ ওভারে রান তুলতে পেরেছিল কেবল...
৮ ঘণ্টা আগেআগে বেশ কয়েকবারই মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আয়োজনের কথা শোনা গেলেও আলোর মুখে দেখেনি। তবে এবার মেয়েদের বিপিএল আলোর মুখ দেখার পথে। সবকিছু পরিকল্পনা মতো হলে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই হবে মেয়েদের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)।
৯ ঘণ্টা আগে