Ajker Patrika

আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ, ভারতের দাপট কি আরও বাড়বে

ক্রীড়া ডেস্ক    
জয় শাহ। ফাইল ছবি
জয় শাহ। ফাইল ছবি

মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ। এখন সবচেয়ে কম বয়সী আইসিসি প্রধানও তিনি। আইসিসি প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে জয় শাহ বললেন, ‘আমি আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে বসতে পেরে গর্বিত এবং আইসিসির কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞ ভরসা রাখার জন্য। এটা ক্রিকেটের জন্য দারুণ সময়, কারণ আমরা ২০২৮ সালে অলিম্পিকের জন্য তৈরি হচ্ছি। ফলে বিশ্বে আরও বেশি করে সমর্থক আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে। মেয়েদের ক্রিকেটের উন্নতিতে আমাদের আরও গতি বাড়াতে হবে।’

তবে জয় শাহর আইসিসির প্রধান হওয়ায় বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের দাপট কি আরও বাড়বে, সে প্রশ্ন আপনা–আপনি এসে যাচ্ছে। বাবা অমিত শাহ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রভাবশালী নেতা ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছেলে জয় শাহ ২০ বছর বয়সেই ক্রিকেট প্রশাসনে এসেছেন। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আলাদা নেশা রয়েছে। বাবার পরিচয়, নিজের প্যাশন—ক্রিকেট সংগঠক, প্রশাসক হিসেবে তাঁর কাজ করাটা তাই কঠিন কোনো কাজ ছিল না। তবে দক্ষতাই যদি না থাকে, শুধু ক্ষমতা দিয়ে সফল হওয়া যায়, এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি আছে। জয়ের নিশ্চয়ই এমন কিছু দক্ষতা ছিল, সেটির সঙ্গে অমিত-ক্ষমতার মিশ্রণ ঘটিয়ে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিংহাসনে বসেছেন।

ক্রিকেট প্রশাসনে জয় শাহের যাত্রা শুরু ২০০৯ সালে, জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ক্রিকেট বোর্ড আহমেদাবাদে (সিবিসিএ) কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে উন্নীত হতে থাকে তাঁর অবস্থানও। এরপর গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (জিসিএ) কাজ শুরু করেন এবং ২০১৩ সালে সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক হন। এরপর জয় শাহ পৌঁছান জাতীয় পর্যায়ে। ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২১ সাল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জয় শাহ। ২০২২ সালে জয় শাহ আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ পদ আর্থিক ও বাণিজ্যিক কমিটির প্রধান হন। আর এবার হলেন আইসিসির সভাপতি। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে তাঁর আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব। তাঁর আগে ভারত থেকে জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পাওয়ার, এন শ্রীনিবাসন ও শশাঙ্ক মনোহর আইসিসির সভাপতি হয়েছেন।

আইসিসির আয়ের সবচেয়ে উৎস ও বাজার হচ্ছে ১৫০ কোটি মানুষের ভারত। আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের সব বড় রাজস্ব আসে ভারত থেকে। আর এভাবেই গত দুই দশকে আইসিসিতে সবচেয়ে বেশি দাপট প্রতিষ্ঠা করেছে ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড হওয়ায় ভারতই ‘তিন মোড়লে’র তত্ত্ব সামনে আনে। পরে সেটি বাতিল হলেও আইসিসির বর্তমান আর্থিক মডেলে ভারতের দাপটই বেশি। আইসিসির আয়ের ৬০-৭০ শতাংশ উৎস ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আইসিসির বার্ষিক আয় বণ্টনেও ভারতের অগ্রাধিকার। আইসিসি আয়ের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ভাগ দেয় ভারতকে। সব ক্রিকেট বোর্ডের এখন বড় আশা নিয়ে থাকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে। ভারতের সঙ্গে খেললেই যে কোষাগার ফুলে ওঠার নিশ্চয়তা।

বিভিন্ন দেশের আয়ের ওপর রাজস্ব বণ্টননীতি চালু থেকেই ভারতের দাপট বেড়েছে আইসিসিতে। আর সে কারণেই ভারতের পছন্দ অনুযায়ী ভেন্যু ও সূচি অনুযায়ী খেলা হয় আইসিসি কিংবা এসিসির বড় টুর্নামেন্টে। গত বছর জটিল হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ হয়েছে শুধুই ভারতের চাওয়া মেনে। পাকিস্তানে হতে যাওয়া ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত। বড় টুর্নামেন্টের সূচিও এমনভাবে সাজানো হয়, যেখানে ভারতকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ থাকবেই। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা যাবে, ভারতকে সবচেয়ে কম ভ্রমণ ধকল সইতে হয়েছে। আরব আমিরাতে হওয়া ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ২০২২ এশিয়া কাপে ভারতকে দুবাইয়ের বাইরে খেলতেই হয়নি। ভারতীয় দলের প্রতি আয়োজক দেশগুলোর বাড়তি নজরও রাখতে হয়—হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্টে যেন পান থেকে চুন খসলেই সর্বনাশ!

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এখন বেশির ভাগ টুর্নামেন্টেই গ্রুপ বা লিগ পর্বের শেষ দিনের ম্যাচটি থাকে ভারতের, তাদের জটিল সমীকরণ মেলাতে কাজে দিতে পারে বলেই এমন ব্যবস্থা। ২০১৯ বিশ্বকাপের লিগ পর্বের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০২৩ বিশ্বকাপের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস আর ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল কানাডা। এগুলো সবই ছোট ছোট উদাহরণ মাত্র।

শুধুই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভারতের দাপট প্রমাণ করতে শুধুই আইপিএল যথেষ্ট। বিসিসিআই সাধারণত ভারতীয় খেলোয়াড়দের বাইরের টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার অনুমতি দেয় না। তবে তাদের আইপিএল খেলতে বিশ্বের বেশির ভাগ তারকা ক্রিকেটার অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আর গ্ল্যামারে আইপিএল এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের সূচির সঙ্গে আইসিসিকেও মানিয়ে নিতে হয়।

আইপিএলের সময় আইসিসির কোনো ইভেন্ট তো দূরে থাক, আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজনও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে সদস্য দেশগুলোর। কারণ, বেশির ভাগ তারকা ক্রিকেটার আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকেও এ সময়ে সিরিজ খেলতে তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই নামতে হয়। দিনে দিনে আইপিএলের দলের সংখ্যা বাড়ায় টুর্নামেন্টের সময়সীমাও বেড়েছে। আগে আইপিএল শেষ হয়েছে দেড় মাসের মধ্যে। আর এখন হয় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে। মার্চ, এপ্রিল ও মে—এই তিন মাসের উইন্ডো এখন আইপিএলের জন্য ‘খালি’ রাখতে হয় বেশির ভাগ ক্রিকেট বোর্ডকে।

আইসিসিতে ‘ভারতের স্বার্থ আগে, তারপর বাকি সবকিছু’—এ অভিযোগ গত এক দশকে এত বেশি উঠেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইসিসিকে অনেকে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’ বলেও ব্যঙ্গ করে থাকেন! জয় শাহ আইসিসির প্রধান হওয়ার পর ভারতের দাপট কোনোভাবেই কমার কথা নয়, বরং সেটি কত বাড়বে, সেটিই কৌতূহলী চোখে দেখতে চাইছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত